মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের রাজৈরে বসতঘর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন স্বজনেরা। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, এ সময় শিশুর মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ছিল। এ ছাড়া তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরে খবর পেয়ে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত শিশুর নাম তিশা (১১) ওই গ্রামের ভ্যানচালক মিলন শেখের মেয়ে। সে রাজৈরের নয়াকান্দি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে বাইরে যান মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এ সময় তিশাকে ডাক দিলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করেন। শিশুটিকে ঘরের শোকেজের পাশে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শাহিনুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, নিহত তিশার বাড়ির কাছে প্রায় পাঁচ মাস আগে ঘর ভাড়া নেন মিরাজ নামের এক যুবক। এরপর প্রায়ই তিশাকে উত্ত্যক্ত করতেন মিরাজ। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে তিনি। এরপর মাদ্রাসাছাত্রীর মুখে গামছা দিয়ে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জানাজানির ভয়ে শ্বাসরোধে তিশাকে হত্যা করে পালিয়ে যান মিরাজ।
নিহতের মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘বেশ কয়েকবার ওই বখাটেকে নিষেধ করছি। কিন্তু শোনেনি সে। পরে তার বন্ধুদের নিয়ে তার ঘরের ভেতর আড্ডাখানা বানিয়েছে সে। সেখানে বন্ধুরা মিলে মাদক সেবন করত। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করবে তা বুঝতে পারিনি। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
তিশার চাচা ফারুক শেখ বলেন, ‘আমাদের ধারণা ধর্ষণ শেষে তিশাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
প্রতিবেশী কুদ্দুস ব্যাপারী বলেন, ‘তিশার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিরাজ পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ খান বলেন, এই হত্যার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদারীপুরের রাজৈরে বসতঘর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন স্বজনেরা। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, এ সময় শিশুর মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ছিল। এ ছাড়া তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরে খবর পেয়ে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত শিশুর নাম তিশা (১১) ওই গ্রামের ভ্যানচালক মিলন শেখের মেয়ে। সে রাজৈরের নয়াকান্দি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে বাইরে যান মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এ সময় তিশাকে ডাক দিলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করেন। শিশুটিকে ঘরের শোকেজের পাশে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শাহিনুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, নিহত তিশার বাড়ির কাছে প্রায় পাঁচ মাস আগে ঘর ভাড়া নেন মিরাজ নামের এক যুবক। এরপর প্রায়ই তিশাকে উত্ত্যক্ত করতেন মিরাজ। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে তিনি। এরপর মাদ্রাসাছাত্রীর মুখে গামছা দিয়ে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জানাজানির ভয়ে শ্বাসরোধে তিশাকে হত্যা করে পালিয়ে যান মিরাজ।
নিহতের মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘বেশ কয়েকবার ওই বখাটেকে নিষেধ করছি। কিন্তু শোনেনি সে। পরে তার বন্ধুদের নিয়ে তার ঘরের ভেতর আড্ডাখানা বানিয়েছে সে। সেখানে বন্ধুরা মিলে মাদক সেবন করত। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করবে তা বুঝতে পারিনি। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
তিশার চাচা ফারুক শেখ বলেন, ‘আমাদের ধারণা ধর্ষণ শেষে তিশাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
প্রতিবেশী কুদ্দুস ব্যাপারী বলেন, ‘তিশার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিরাজ পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ খান বলেন, এই হত্যার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রামে পুলিশের পাহারায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পালানো ১৩ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন জলদস্যু বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রফিক উল্লাহ (৩৪)। তিনি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মফিজুর রহমানের ছেলে।
২১ মিনিট আগেনোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আমিশাপাড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ওই বাজারের ছোট বড় নয়টি দোকান পুড়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
২৩ মিনিট আগেট্রাকটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
৪২ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গার দর্শনার জয়নগর চেকপোস্ট পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দর্শনার জয়নগর চেকপোস্টের পুলিশ ব্যারাকে তাঁর শোয়ার কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে