Ajker Patrika

চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফরিদপুরে দিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ১১: ৪২
চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফরিদপুরে দিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

রাজবাড়ী থেকে ঢাকাগামী চন্দনা কমিউটার ট্রেনের ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে আবারও অবরোধ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর ৫টায় ফরিদপুর রেলস্টেশনে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি করা হয়। এ সময় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রাবিরতি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। 

গত ৪ মে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে চালু করা হয় দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন। এর মধ্যে চন্দনা কমিউটার ট্রেন প্রতিদিন ভোর ৫টায় রাজবাড়ী ছেড়ে যায়। এই ট্রেন ফরিদপুর রেলস্টেশন পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গায় পৌঁছায়। কিন্তু ফরিদপুর স্টেশনে রাখা হয়নি যাত্রাবিরতি। প্রায় যাত্রীবিহীন অবস্থায় প্রতিদিন চলাচল করছে ট্রেনটি। 

সরেজমিনে জানা গেছে, চন্দনা কমিউটার ট্রেন উদ্বোধনের পরদিনই ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধ ও মানববন্ধন করেন ফরিদপুরবাসী। এর পরও থামানো হচ্ছে না এই ট্রেন। আজ শনিবার ভোর ৫টায় ফরিদপুর রেলস্টেশনে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। পরে ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন ফরিদপুর স্টেশনে পৌঁছায়। 

অবরোধের সময় রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে শুয়ে পড়েন। এতে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রেনটি থেমে থাকে। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তবে, ওই কর্মকর্তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রাবিরতি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। 

অবরোধের সময় বিক্ষোভকারীরা জানান, ট্রেনটিতে ছয় শতাধিক সিট রয়েছে, কিন্তু অর্ধেকই খালি যাচ্ছে। এর পরও ফরিদপুরে কেন থামানো হচ্ছে না? এতে শুধু ফরিদপুরের ক্ষতি নয়, রাজস্ব হারাচ্ছে রাষ্ট্র। প্রতিটি সিটের ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রকে দিতে হচ্ছে। 

কয়েকজন বিক্ষোভকারী বলেন, একটি জেলা শহরে কেন যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে না? এর কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতেই পারে না। ফরিদপুরের মানুষ কেন বঞ্চিত হবে? প্রাচীন এই শহরে যদি যাত্রাবিরতি না দেয়, তাহলে এই ট্রেনের কী দরকার? এ সময় বিক্ষোভকারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। 

বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর আলতাফ হোসেন ও কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েকসহ অনেকে। 

অবরোধের সময় কাফনের কাপড় পরে রেললাইনে শুয়ে পড়েন কয়েকজন বিক্ষোভকারীপ্রফেসর আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে চাই, আমাদের জানিয়ে দেওয়া হোক ফরিদপুর কোনো জেলা শহর না এবং এখানে ট্রেন থামালে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাহলে আমরা মেনে নেব। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া ফরিদপুরে ট্রেন থামানো যাবে না, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।’ 

অবরোধের সময় ফরিদপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. তাকদির হোসেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। ওই কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে বিক্ষোভকারী আবরার নাদিম ইতুর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ওই কর্মকর্তার কাছে দাবির কথা তুলে ধরেন। পরে তাঁর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 

আবরার নাদিম ইতু বলেন, ‘রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন আবারও লিখিতভাবে জানাতে। তাতে আমরা রাজি হয়েছি। যেহেতু আগেও একবার দাঁড়িয়েছি, সে জন্য তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছি। এ সময়ে তাঁরা যদি কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমরা লাগাতার আন্দোলনে যাব।’ 

এর আগে গত ৫ মে আন্দোলনের পরে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের। পরদিন তিনি যাত্রাবিরতি চেয়ে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের কাছে আবেদন করেন। তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত