নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যোগ্য সব কর্মকর্তার পদোন্নতি, পদ সৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা ও শিক্ষা ক্যাডার-বহির্ভূতদের প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সরকারি কলেজশিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রাঙ্গণে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি, যা বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলে। কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরের ২ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশ নেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘পদোন্নতির জন্য আমাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। পদ সৃজন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজন ৯ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, আবার আগের পদ্ধতিতে করা হবে। তাহলে এত দিন কেন ঝুলিয়ে রাখা হলো? আমরা ধারণা করছি, আবারও একটা দীর্ঘসূত্রতার ফাঁদ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাডার কম্পোজিশন এখনো অক্ষত আছে। যদি সংস্কার করতে হয়, তাহলে সেটা কারা করবে? অবশ্যই যাঁরা শিক্ষা ক্যাডারে আছেন, তাঁদের পরামর্শে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।’
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে শিক্ষাসংশ্লিষ্টদেরই দায়িত্ব দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এমনটাই আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমে গেছে। শিক্ষণ ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এটা হচ্ছে ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে। শিক্ষা পরিচালনাসংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম, দায়িত্ব শিক্ষাসংক্রান্ত ব্যক্তিদেরই দিতে হবে। আমাদের ঘর থেকে তো সরিয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঘরে আমরাই থাকব।’
শিক্ষকসংকটে শিক্ষার মান ক্রমাগত ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে সমিতির সভাপতি বলেন, ‘শিক্ষকসংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ সৃজন না হওয়ায় শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ শিক্ষকেরাই গড়ে তুলবেন। কিন্তু তাঁদের প্রাপ্য সম্মান, অধিকার যদি না দেওয়া যায়, তাহলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। পদ সৃজন করেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেন। আমরা নতুন কিছু চাই না।’
অনেক শিক্ষক তাঁদের যথাযথ অধিকার ও মর্যাদা না পেয়ে শিক্ষকতা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ক্যাডারে জুনিয়র সহকর্মীরা তাঁদের অধিকার না পেয়ে চরম হতাশায় আছেন। অনেকেই মৃত্যুমুখে পেড়ছেন। তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্লা বলেন, পদোন্নতি বঞ্চনা শিক্ষকদের কুরে কুরে খাচ্ছে। পদোন্নতির মতো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করা হয়। পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জনের পরও বছরের পর বছর শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি প্রফেসর মো. দবিউর রহমান, সহসভাপতি প্রফেসর মো. মামুন উল হক, সহসভাপতি প্রফেসর ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, যুগ্ম-মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচারসচিব প্রফেসর মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর, আইন সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
যোগ্য সব কর্মকর্তার পদোন্নতি, পদ সৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা ও শিক্ষা ক্যাডার-বহির্ভূতদের প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সরকারি কলেজশিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রাঙ্গণে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি, যা বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলে। কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরের ২ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশ নেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘পদোন্নতির জন্য আমাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। পদ সৃজন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজন ৯ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে। এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, আবার আগের পদ্ধতিতে করা হবে। তাহলে এত দিন কেন ঝুলিয়ে রাখা হলো? আমরা ধারণা করছি, আবারও একটা দীর্ঘসূত্রতার ফাঁদ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাডার কম্পোজিশন এখনো অক্ষত আছে। যদি সংস্কার করতে হয়, তাহলে সেটা কারা করবে? অবশ্যই যাঁরা শিক্ষা ক্যাডারে আছেন, তাঁদের পরামর্শে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।’
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে শিক্ষাসংশ্লিষ্টদেরই দায়িত্ব দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এমনটাই আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমে গেছে। শিক্ষণ ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এটা হচ্ছে ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে। শিক্ষা পরিচালনাসংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম, দায়িত্ব শিক্ষাসংক্রান্ত ব্যক্তিদেরই দিতে হবে। আমাদের ঘর থেকে তো সরিয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঘরে আমরাই থাকব।’
শিক্ষকসংকটে শিক্ষার মান ক্রমাগত ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে সমিতির সভাপতি বলেন, ‘শিক্ষকসংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ সৃজন না হওয়ায় শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ শিক্ষকেরাই গড়ে তুলবেন। কিন্তু তাঁদের প্রাপ্য সম্মান, অধিকার যদি না দেওয়া যায়, তাহলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। পদ সৃজন করেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেন। আমরা নতুন কিছু চাই না।’
অনেক শিক্ষক তাঁদের যথাযথ অধিকার ও মর্যাদা না পেয়ে শিক্ষকতা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ক্যাডারে জুনিয়র সহকর্মীরা তাঁদের অধিকার না পেয়ে চরম হতাশায় আছেন। অনেকেই মৃত্যুমুখে পেড়ছেন। তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্লা বলেন, পদোন্নতি বঞ্চনা শিক্ষকদের কুরে কুরে খাচ্ছে। পদোন্নতির মতো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করা হয়। পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জনের পরও বছরের পর বছর শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি প্রফেসর মো. দবিউর রহমান, সহসভাপতি প্রফেসর মো. মামুন উল হক, সহসভাপতি প্রফেসর ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, যুগ্ম-মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচারসচিব প্রফেসর মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর, আইন সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
২ ঘণ্টা আগে