Ajker Patrika

আমাকে এভাবে শাস্তি দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন: বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪, ০১: ৪৪
Thumbnail image

ছাত্রলীগ সভাপতিকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। 

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়ায় ইমতিয়াজ রাহিমের সিট বাতিল ও বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবি জানান তাঁরা। পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাতে সিট বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বুয়েট প্রশাসন। 

এ বিষয়ে ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে একদল রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল এসব করতেছে। যারা টাঙ্গুয়ার হাওরে নাশকতার দায়ে গ্রেপ্তার ছিল—তাদের ইন্ধনে কাজগুলো হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে আন্দোলনে আসতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমার অপরাধ আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি, বুয়েটে পড়েও কেমনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদ পেলাম! তাই তাদের সহ্য হচ্ছে না। বুয়েট প্রশাসন বলেছে ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করলে সমস্যা নেই, আমি তো কেন্দ্রে রাজনীতি করি। আমাকে এভাবে শাস্তি দেওয়া মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’ 

ইমতিয়াজ আরও বলেন, ‘বুয়েট প্রশাসন কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই না করে, শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে আমার হলের সিট বাতিল করেছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন করছে, আমি জানি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি, এ ব্যাপারে আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।’ 

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নেতিবাচক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যে অবস্থান-মূল্যবোধ, তার প্রতি বুয়েট প্রশাসনের শ্রদ্ধা জানানো উচিত। একই সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং জাতির পিতার আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে মানসিক নিপীড়নের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে তাকেও নিরাপত্তা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক দায়িত্ব। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নেব। আমরা মনে করি—প্রশাসনের (দায়িত্বে) থাকার কোনো নৈতিক অবস্থান নেই।’ 

সার্বিক বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত