জাহিদ হাসান, যশোর
ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও পানিসারা ইউনিয়ন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার দুই দিনে ২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে গদখালী বাজারে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের হাঁকডাকে দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পায় ঐতিহ্যবাহী এ বাজার।
প্রতিদিন ছোট হাট বসলেও ঢাকাসহ বৃহৎ জেলার বড় বড় পাইকারেরা এসেছেন গতকাল রোববার ও আগের দিন শনিবার। এদিন প্রতিটি গোলাপ ১২-১৫, রজনীগন্ধা ১০, মানভেদে প্রতিটি জারবেরা ১০-১৭, চন্দ্রমল্লিকা প্রতিটি ২-৩ এবং গাঁদা প্রতি হাজার সাড়ে ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যদিও শনিবারের চেয়ে গতকাল প্রতিটি ফুলের দাম কিছুটা কম, দাবি ফুলচাষিদের।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে গাঁদা ফুল। এবার সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা; যা বিগত সময়ে ৩৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন কৃষকেরা। ফুলচাষিরা জানিয়েছেন, মাসখানেক আগের থেকে বর্তমানে প্রতিটি ফুল দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। আসছে ১৩ ফেব্রুয়ারি পয়লা ফাল্গুন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগমুহূর্তে দাম আরও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ফুলচাষিরা।
হাড়িয়াদাড়া গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন। তিনি চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে গাঁদা, সাড়ে চার বিঘা জমিতে রঙিন গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা চাষ করেছিলেন। কিন্তু গত জুলাই-আগস্টের অতিবৃষ্টিতে তাঁর খেত নষ্ট হয়ে যায়। পরে নতুন করে চারা রোপণ করেন। এখন সেই জমি ফুলে ছেয়ে গেছে। বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে খেতের ফুল বিক্রির জন্য তুলেছেন বাজারে। উপলক্ষ মহান বিজয় দিবস। ফুলের ভালো বিক্রি ও দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে তাঁর মুখে।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ফুল চাষ করা এই কৃষক বলেন, বাজারে এ সময় এমন ফুলের দাম থাকে না। কিন্তু এবার সব ধরনের ফুলের দাম বেশি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। এমন দাম অব্যাহত থাকলে বিগত সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখা যাবে বড় পরিসরে।
যশোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীর ছোট্ট এই বাজার। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরের প্রায় ৬ হাজার কৃষক দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৫ ধরনের ফুলের চাষ করেন। এর বেশির ভাগই চাষ হয় ঝিকরগাছার গদখালী ও পানিসারায়।
মঞ্জুর হোসেন নামের এক ফুলচাষি বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টিপাত দীর্ঘায়িত হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর শীতকালীন ফুল চাষ বিলম্বিত হয়েছে। কিছু সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফুলের চাহিদা বাড়ে। সে কারণে আমরা বিশেষ পরিচর্যায় উদ্যোগ গ্রহণ করি। বিলম্বে চাষাবাদের কারণে ফুলের উৎপাদন কম হলেও দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় লাভের আশা করছি।’
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘গত দুই দিনে ২ কোটি টাকার ফুল বিকিকিনি হয়েছে। দেশে বিভিন্ন উৎসবে যে পরিমাণ ফুল বেচাকেনা হয়, তার ৭৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় যশোরে।’
ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও পানিসারা ইউনিয়ন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার দুই দিনে ২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে গদখালী বাজারে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের হাঁকডাকে দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পায় ঐতিহ্যবাহী এ বাজার।
প্রতিদিন ছোট হাট বসলেও ঢাকাসহ বৃহৎ জেলার বড় বড় পাইকারেরা এসেছেন গতকাল রোববার ও আগের দিন শনিবার। এদিন প্রতিটি গোলাপ ১২-১৫, রজনীগন্ধা ১০, মানভেদে প্রতিটি জারবেরা ১০-১৭, চন্দ্রমল্লিকা প্রতিটি ২-৩ এবং গাঁদা প্রতি হাজার সাড়ে ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যদিও শনিবারের চেয়ে গতকাল প্রতিটি ফুলের দাম কিছুটা কম, দাবি ফুলচাষিদের।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে গাঁদা ফুল। এবার সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা; যা বিগত সময়ে ৩৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন কৃষকেরা। ফুলচাষিরা জানিয়েছেন, মাসখানেক আগের থেকে বর্তমানে প্রতিটি ফুল দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। আসছে ১৩ ফেব্রুয়ারি পয়লা ফাল্গুন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগমুহূর্তে দাম আরও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন ফুলচাষিরা।
হাড়িয়াদাড়া গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন। তিনি চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে গাঁদা, সাড়ে চার বিঘা জমিতে রঙিন গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা চাষ করেছিলেন। কিন্তু গত জুলাই-আগস্টের অতিবৃষ্টিতে তাঁর খেত নষ্ট হয়ে যায়। পরে নতুন করে চারা রোপণ করেন। এখন সেই জমি ফুলে ছেয়ে গেছে। বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে খেতের ফুল বিক্রির জন্য তুলেছেন বাজারে। উপলক্ষ মহান বিজয় দিবস। ফুলের ভালো বিক্রি ও দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে তাঁর মুখে।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ফুল চাষ করা এই কৃষক বলেন, বাজারে এ সময় এমন ফুলের দাম থাকে না। কিন্তু এবার সব ধরনের ফুলের দাম বেশি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। এমন দাম অব্যাহত থাকলে বিগত সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখা যাবে বড় পরিসরে।
যশোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীর ছোট্ট এই বাজার। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরের প্রায় ৬ হাজার কৃষক দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৫ ধরনের ফুলের চাষ করেন। এর বেশির ভাগই চাষ হয় ঝিকরগাছার গদখালী ও পানিসারায়।
মঞ্জুর হোসেন নামের এক ফুলচাষি বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টিপাত দীর্ঘায়িত হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর শীতকালীন ফুল চাষ বিলম্বিত হয়েছে। কিছু সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফুলের চাহিদা বাড়ে। সে কারণে আমরা বিশেষ পরিচর্যায় উদ্যোগ গ্রহণ করি। বিলম্বে চাষাবাদের কারণে ফুলের উৎপাদন কম হলেও দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় লাভের আশা করছি।’
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘গত দুই দিনে ২ কোটি টাকার ফুল বিকিকিনি হয়েছে। দেশে বিভিন্ন উৎসবে যে পরিমাণ ফুল বেচাকেনা হয়, তার ৭৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় যশোরে।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) পদ থেকে বদলি করা হয়েছিল শফিকুল ইসলামকে। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে বরং ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছেন তিনি। বিএমডিএর বিএনপিপন্থী ও দীর্ঘ সময় বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ...
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জুনিয়র আইটি অফিসার হিসেবে ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান শহিদুর রহমান। এর পর থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। একই পদে শহিদুরের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন আরও ২৭ জন।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবনের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে রড। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঠদানও বন্ধ। অথচ সেই ভবন এবং পাশের প্রশাসনিক ভবনের সংস্কারসহ বেশ কিছু মালামাল ক্রয়ের টেন্ডার আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কলেজটির প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন-১ মেরামতের..
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত মোখলেসুর রহমান সুমন (৩৬)। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিজ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
১ ঘণ্টা আগে