গাজীপুর প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। কিন্তু ওই বয়সেই মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন—এমন সনদ বাগিয়ে নেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নূরুল আমিন তালুকদার। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেই সনদে নেন সরকারি চাকরি। এরপর ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন টাকার পাহাড়। ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন, মালিকানার সঠিকতা যাচাই-বাছাই না করেই দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে অর্জন করেছেন এসব সম্পদ। নিজের নামে ছাড়াও স্ত্রী-মেয়ের নামেও জমিসহ ব্যাংকে রেখেছেন কোটি কোটি টাকা।
নূরুল আমিন বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও নূরুল আমিনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন নূরুল আমিন তালুকদার। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম ১৯৬৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। সে অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। ছিলেন প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাঁর পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেননি। তার পরও ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন—মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন নূরুল আমিন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন তিনি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবরেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদার নিজ, স্ত্রী ও সন্তানের নামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ঢাকা, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে রয়েছে তাঁর একাধিক বাড়ি-ফ্ল্যাট। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘাটান্দি গ্রামে তাঁদের অঢেল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ নুরুন্নাহার খানম এবং মেয়ে জিনাতের নামে থাকা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুদক। দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা দায়রা জজ আদালতে সম্পদ জব্দের আবেদন করে দুদক। পরে চলতি বছরের ৫ জুন টাঙ্গাইলের সিনিয়র দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা সাবরেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদার, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, নূরুল আমিনের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ ১ হাজার ১১১ টাকা, স্ত্রী নুরুন্নাহারের ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ টাকা এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩৩ টাকাসহ সর্বমোট ৫ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১২ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া নুরুন্নাহারের ৭৫ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তি এবং জিনাত তালুকদারের নামে থাকা দুটি ফ্ল্যাট ও একটি টয়োটা গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুল আমিন তালুকদারের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
গাজীপুরের জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহার জানান, গত বুধবার নূরুলের শেষ কর্ম দিবস ছিল। তিনি পিএলআর নিয়ে অবসরকালীন ছুটিতে চলে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। কিন্তু ওই বয়সেই মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন—এমন সনদ বাগিয়ে নেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নূরুল আমিন তালুকদার। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেই সনদে নেন সরকারি চাকরি। এরপর ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন টাকার পাহাড়। ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন, মালিকানার সঠিকতা যাচাই-বাছাই না করেই দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে অর্জন করেছেন এসব সম্পদ। নিজের নামে ছাড়াও স্ত্রী-মেয়ের নামেও জমিসহ ব্যাংকে রেখেছেন কোটি কোটি টাকা।
নূরুল আমিন বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও নূরুল আমিনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন নূরুল আমিন তালুকদার। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম ১৯৬৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। সে অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। ছিলেন প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তাঁর পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেননি। তার পরও ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী ছিলেন—মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন নূরুল আমিন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন তিনি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবরেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদার নিজ, স্ত্রী ও সন্তানের নামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ঢাকা, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে রয়েছে তাঁর একাধিক বাড়ি-ফ্ল্যাট। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘাটান্দি গ্রামে তাঁদের অঢেল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ নুরুন্নাহার খানম এবং মেয়ে জিনাতের নামে থাকা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুদক। দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা দায়রা জজ আদালতে সম্পদ জব্দের আবেদন করে দুদক। পরে চলতি বছরের ৫ জুন টাঙ্গাইলের সিনিয়র দায়রা জজ নাজিমুদ্দৌলা সাবরেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদার, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, নূরুল আমিনের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ ১ হাজার ১১১ টাকা, স্ত্রী নুরুন্নাহারের ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ টাকা এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩৩ টাকাসহ সর্বমোট ৫ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১২ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া নুরুন্নাহারের ৭৫ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তি এবং জিনাত তালুকদারের নামে থাকা দুটি ফ্ল্যাট ও একটি টয়োটা গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুল আমিন তালুকদারের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
গাজীপুরের জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহার জানান, গত বুধবার নূরুলের শেষ কর্ম দিবস ছিল। তিনি পিএলআর নিয়ে অবসরকালীন ছুটিতে চলে গেছেন।
রাজশাহীর বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার মিলনস্থান তাহেরপুর বাজার। দুই জেলার চার উপজেলার মিলনস্থান হওয়ায় এ বাজারে বসে বিশাল পশুর হাট। কাল ঈদুল আজহা। আজ শুক্রবার তাহেরপুরে ঈদের শেষ হাট ছিল। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতায় জমেছে তাহেরপুর বাজারের পশুর হাট।
৪ মিনিট আগেনেত্রকোনার কলমাকান্দায় খেলার মাঠের বল বাড়িতে গিয়ে পড়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
৩১ মিনিট আগেঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যমুনা সেতুতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে যমুনা সেতু মহাসড়কের ৪০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুর খড়খড়িয়া নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ তাঁর নাম জানাতে পারেনি। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রাবেয়া বাজারের পাশে বটতলাসংলগ্ন খড়খড়িয়া নদীতে ওই ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগে