Ajker Patrika

তাবেলা সিজার হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন, বিএনপির কাইয়ুমসহ খালাস ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫৪
২০১৫ সালে গুলশানে গুলি করে হত্যা করা হয় তাবেলা সিজারকে। ছবি: সংগৃহীত
২০১৫ সালে গুলশানে গুলি করে হত্যা করা হয় তাবেলা সিজারকে। ছবি: সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশন বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজারকে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল।

খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুম, তাঁর ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।

তাঁদের খালাস দেওয়ার বিষয়ে রায়ে আদালত বলেন, এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।

রায়ে শাখাওয়াত হোসেনকে অন্য কোনো মামলায় প্রয়োজন না হলে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম ও সোহেলের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আজ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ও শাখাওয়াত হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আবদুল মতিন জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন।

সাজা ঘোষণার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে তাবেলা সিজারকে গুলি করে একদল দুর্বৃত্ত। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার দায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল।

হত্যাকাণ্ডের পর আইসিসিও কো-অপারেশন বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

পরের বছরের ২৮ জুন ঢাকার আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তাবেলা সিজারের ওপর হামলাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন, আবদুল মতিন ও শাখাওয়াত হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

মামলার বিচার চলাকালে পলাতক ছিলেন বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম ও সোহেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুরাদনগরে বাড়ি ঘেরাও করে মা-ছেলেসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

চাচাকে বিয়ে করতে না পেরে ৪৫ দিনের মাথায় স্বামীকে খুন করলেন নববধূ

ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার নারীরা সব ক্ষেত্রে সরাসরি মামলা করতে পারবেন না

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যাচ্ছে ভারত: পেন্টাগন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত