Ajker Patrika

নারী ও অসুস্থ বিবেচনায় পরীমণির জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারী ও অসুস্থ বিবেচনায় পরীমণির জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। 

আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, যেহেতু পরীমণি একজন নারী এবং তিনি অসুস্থ সেই বিবেচনায় তাঁকে জামিন দেওয়া হলো। এ ছাড়া তাঁকে রিমান্ডে দিয়ে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু রিমান্ড প্রতিবেদনে তাঁর সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। 

দুপুর ২টার দিকে পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, পরীমণি বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাঁর ভার্টিগো (উচ্চতাভীতি) রোগ রয়েছে। 

আইনজীবী আদালতকে আরও বলেন, পরীমণি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত। অনেক সিনেমার সঙ্গে তিনি যুক্ত। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ। তিনি আটক ঢাকায় পেশাগতভাবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁকে মাদক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁকে বেআইনিভাবে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে আটক রাখা ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টা হাইকোর্টেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। 

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পরীমণিকে জামিনের আদেশ দেন। 

আদেশের পর পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এই জামিন আদেশের ফলে পরীমণির কারাগার থেকে মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই। 

গত ২২ আগস্ট পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এত দীর্ঘ সময় পর শুনানির তারিখ ধার্য করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরীমণির আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন গত ২৬ আগস্ট। হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন এবং কেন দুই দিনের মধ্যে জামিন শুনানির আদেশ দেওয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়। ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন। এই রুল জারি করার পর মহানগর দায়রা আদালত শুনানি এগিয়ে ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন। 

তিন দফা রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমণিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‍্যাব। সঙ্গে আশরাফুল ইসলাম দিপুকেও আটক করা হয়। এজাহার অনুযায়ী, তাঁর বাসা থেকে ১৯ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৪ গ্রাম আইস মাদক ও ১টি এলএসডি ব্লট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি বং পাইপও উদ্ধার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় বনানী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। 

 ৫ আগস্ট পরীমণি ও তাঁর সহযোগী দিপুকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১০ আগস্ট আবার এই দুজনকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট আবার একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। 

এ দিকে পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। গত রোববার আইন ও সালিস কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন করেন। 

পরীমণিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়েছে রিটে। তবে এই রিটের ওপর এখনো শুনানি হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত