Ajker Patrika

দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ১৯
দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

নোটিশ পেয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ সাক্ষ্য দেন মামলার অভিযোগকারী দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।

আজ আসলাম চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সাক্ষীকে জেরা করেন। জেরা সমাপ্ত হওয়ার পর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী রেজাউল করিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট মামলার বাদী সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। গত ৮ জুন আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী জমিলা নাজনীন মাওলার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে কয়েক শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।

২০১৯ সালের ১৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি নোটিশ জারি করে কারাবন্দী আসলাম চৌধুরীকে সাত দিনের মধ্যে তাঁর সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলেন। এরপর ওই বছরের ২৩ জুন আসলাম চৌধুরীকে নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম কারাগার কর্তৃপক্ষ।

ওই বছরের ১ জুলাই আসলাম চৌধুরী সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে তিন মাস সময় চেয়েছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাঁকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য মোট ৩৬ দিন সময় দেয়।

আসলাম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট আবার এই বিষয়ে আরও তিন মাস সময় চেয়ে আরেকটি আবেদন জমা দেন।

তবে ওই বছরের ১৫ অক্টোবর দুদক কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসলাম চৌধুরীকে জানায়, আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না এবং বেশ কয়েকবার সময় বাড়ানোর আবেদন করা সত্ত্বেও তিনি নির্ধারিত সময়ে নথি জমা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত