Ajker Patrika

সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ৭ মন্ত্রী-এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় রাজধানীর বংশাল থানায় করা এক হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৭ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান একজনকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং অন্য সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম।

তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদন অনুযায়ী আদালত রিমান্ড ও গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন। পরে সবাইকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের রিমান্ড

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বংশাল থানার শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তাঁর ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিপক্ষে তাঁর আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ একটি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ওই দিন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারির ইনস্টিটিউট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মেহেদী হাসান। পরে ভিকটিমকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

সাতজন নতুন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

আমির হোসেন আমু ও আনিসুল হক ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আনিসুল হককে তিন মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে তিন মামলায়, আমীর হোসেন আমুকে দুই মামলায়, রাশেদ খানকে দুই মামলায়, হাসানুল হক ইনু দুই মামলায়, জুনাইদ পলককে দুই মামলায়, শাজাহান খানকে এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন সময়ে তাঁদের আটক করা হয়। পরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং দফায় দফায় প্রত্যেককে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত