Ajker Patrika

কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ২৩
কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের একটি মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদক যে মামলা করেছিল, সেই একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তাঁর নাম গাজী সালাহউদ্দিন (৬০)। তিনি ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান। 

গাজী সালাহউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২১২ শেরশাহ গলি রোডের বাসিন্দা। তিনি পটুয়াখালী জেলার আদালতপাড়ার নিরাল নিলয় মসজিদ মহল্লা এলাকার আজাহার উদ্দিনের ছেলে। তিনি দ্য ফার্মাস ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট বিভাগের প্রধান ছিলেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ তাঁর কয়েদি নম্বর ছিল ৭৫৭৫/১। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
আমিরুল ইসলাম জানান, গাজী সালাহউদ্দিনকে ২০২১ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়। তিনি উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। 

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। পরে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় জরুরিভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত পৌনে ৩টার দিকে গাজী সালাহউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আমিরুল ইসলাম আরও জানান, গাজী সালাউদ্দীন দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

কারাগার সূত্র জানায়, গত বছরের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে চার বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই মামলায় সাবেক এই প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরও ১০ জন আসামি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে চার বছর, অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী সান্ত্রী রায়—এই ছয় আসামির প্রত্যেককে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত