Ajker Patrika

জাবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই হলের সংঘর্ষ, ফাঁকাগুলি

জাবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই আবাসিক হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ ছাত্র আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আ ফ ম কামাল উদ্দীন হল এবং মওলানা ভাসানী হলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম দুই হল পরিদর্শন করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দুই হলের মধ্যে এই সংঘর্ষ চলে। এ সময় বটতলার খাবারের দোকানপাট বন্ধ থাকে।

এর আগে, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে খেলা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আ ফ ম কামাল উদ্দীন হল এবং মওলানা ভাসানী হলের মধ্যে খেলা হয়। খেলা চলাকালীন অফসাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই হলের খেলোয়াড়রা বিবাদে জড়ান। পরে দুই হলের দর্শকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে বটতলা এলাকায় এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। 

জাবি চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার শামসুর রহমান বলেন, ‘আমরা ছয়জন চিকিৎসক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। কমপক্ষে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা খারাপ ছিল। চারজন মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে এবং একজন মুখে ও দাঁতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বিকেলে খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়ায়। পরে বটতলা এলাকায় ছাত্ররা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমরা সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’ 

সংঘর্ষে আহত এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যান সহপাঠীরারাত সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমি সার্বক্ষণিক প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। তারা ভালোভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেছে। সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রাখা হয়েছে।’ 

আবাসিক হলে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিষয়টি শঙ্কার, আমরা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ 

পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক শেখ মঞ্জুরুল হক, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক বশির আহমেদ, অধ্যাপক আতিকুর রহমান, অধ্যাপক হোসাইন মোহাম্মদ সায়েমসহ প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত