মাহমুদ সোহেল, ঢাকা
ঘরে ঢুকলেই ছোট্ট মেয়ের নানান স্মৃতি উঁকি দেয়। ভেসে আসে স্ত্রীর কণ্ঠস্বর, ‘দেখো, তোমার মেয়ে কীভাবে হাসছে।’ ঘরের এদিক–সেদিক তাকান সুজন। কোথাও কেউ নেই! বুক ফেটে যায় সুজনের। চোখ দিয়ে গড়ায় অশ্রু।
মগবাজারের বিস্ফোরণ ঘটনায় নিহত ৯ মাস বয়সী সুবহানার বাবা সুজন খান। অতি আদরের ধন একমাত্র মেয়ে ও প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে দিশেহারা তিনি। এখন শুধু স্মৃতি হাতড়ে চলেছেন। কিন্তু সুবহানার মৃত্যু মানতে পারছেন না। স্ত্রী–সন্তানের স্মৃতিময় বাড়িটাও তাঁর জন্য দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। প্রিয়জনদের অনুপস্থিতিতে সে বাড়িতে থাকা সম্ভব নয়। তাই বাড়িটাও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
সেই ঘটনার কয়েক দিন পর গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে চলে যাওয়া স্বজনদের নিয়ে লিখেছেন সুজন। মেয়ে ও স্ত্রী জান্নাতের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আর বুঝি কখনোই আমার কলিজাগুলার সঙ্গে সেলফি তোলা হবে না! আল্লাহ, তুমি আমার ২ কলিজারে বেহেস্ত নসিব করো।’
ফেসবুকে অনেকেই সুবহানার বাবাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্য আরেকটি ছবিতে বাবার বুকের ওপর লেপ্টে শুয়ে আছে ছোট্ট সুবহানা। সেই ছবিও কাঁদাচ্ছে অনেককে। কেউ লিখেছেন, ‘সব হারানো এই মানুষটির জন্য সান্ত্বনার ভাষা নেই।’ অনেকেই সুবহানা ও জান্নাতের জন্য দোয়া করেছেন।
সুজনের বন্ধু শাহাদাত বলেন, ‘সুজনকে সান্ত্বনা দেওয়া কঠিন। মেয়ের কথা মনে করে হাউমাউ করে কাঁদে সে। মাঝে মাঝেই অস্বাভাবিক হয়ে যায়।’
মেয়ে বলতে পাগল ছিলেন সুজন। মেয়ে ও স্ত্রীর স্মৃতি ভুলতে মগবাজারের (ওয়্যারলেস গেট এলাকার) বাসা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। ভাবছেন, এই এলাকা ছাড়লেই কষ্ট কমবে। ভুলতে পারবেন হারানো স্ত্রী ও মেয়েকে।
মগবাজারের ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছে সুবহানার ১১ বছর বয়সী মামা রাব্বি। বর্তমানে সে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুজন বলেন, ‘কান্নাই এখন আমার সঙ্গী, সবই তো শেষ। আমার মাইয়্যারে কী কেউ ফিরত দিতে পারবে?’
সুজন জানান, গত ২৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সুবহানা তাঁর বুকেই ছিল। এরপর জরুরি কাজে তিনি বাইরে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পরই বিস্ফোরণে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে সুবহানা ও তার মা। ছোট্ট সুবহানার বুকে ঘুমিয়ে থাকার সেই স্মৃতিই এখন তাঁর সম্বল।
ঘরে ঢুকলেই ছোট্ট মেয়ের নানান স্মৃতি উঁকি দেয়। ভেসে আসে স্ত্রীর কণ্ঠস্বর, ‘দেখো, তোমার মেয়ে কীভাবে হাসছে।’ ঘরের এদিক–সেদিক তাকান সুজন। কোথাও কেউ নেই! বুক ফেটে যায় সুজনের। চোখ দিয়ে গড়ায় অশ্রু।
মগবাজারের বিস্ফোরণ ঘটনায় নিহত ৯ মাস বয়সী সুবহানার বাবা সুজন খান। অতি আদরের ধন একমাত্র মেয়ে ও প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে দিশেহারা তিনি। এখন শুধু স্মৃতি হাতড়ে চলেছেন। কিন্তু সুবহানার মৃত্যু মানতে পারছেন না। স্ত্রী–সন্তানের স্মৃতিময় বাড়িটাও তাঁর জন্য দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। প্রিয়জনদের অনুপস্থিতিতে সে বাড়িতে থাকা সম্ভব নয়। তাই বাড়িটাও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
সেই ঘটনার কয়েক দিন পর গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে চলে যাওয়া স্বজনদের নিয়ে লিখেছেন সুজন। মেয়ে ও স্ত্রী জান্নাতের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আর বুঝি কখনোই আমার কলিজাগুলার সঙ্গে সেলফি তোলা হবে না! আল্লাহ, তুমি আমার ২ কলিজারে বেহেস্ত নসিব করো।’
ফেসবুকে অনেকেই সুবহানার বাবাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্য আরেকটি ছবিতে বাবার বুকের ওপর লেপ্টে শুয়ে আছে ছোট্ট সুবহানা। সেই ছবিও কাঁদাচ্ছে অনেককে। কেউ লিখেছেন, ‘সব হারানো এই মানুষটির জন্য সান্ত্বনার ভাষা নেই।’ অনেকেই সুবহানা ও জান্নাতের জন্য দোয়া করেছেন।
সুজনের বন্ধু শাহাদাত বলেন, ‘সুজনকে সান্ত্বনা দেওয়া কঠিন। মেয়ের কথা মনে করে হাউমাউ করে কাঁদে সে। মাঝে মাঝেই অস্বাভাবিক হয়ে যায়।’
মেয়ে বলতে পাগল ছিলেন সুজন। মেয়ে ও স্ত্রীর স্মৃতি ভুলতে মগবাজারের (ওয়্যারলেস গেট এলাকার) বাসা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। ভাবছেন, এই এলাকা ছাড়লেই কষ্ট কমবে। ভুলতে পারবেন হারানো স্ত্রী ও মেয়েকে।
মগবাজারের ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছে সুবহানার ১১ বছর বয়সী মামা রাব্বি। বর্তমানে সে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুজন বলেন, ‘কান্নাই এখন আমার সঙ্গী, সবই তো শেষ। আমার মাইয়্যারে কী কেউ ফিরত দিতে পারবে?’
সুজন জানান, গত ২৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সুবহানা তাঁর বুকেই ছিল। এরপর জরুরি কাজে তিনি বাইরে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক পরই বিস্ফোরণে চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে সুবহানা ও তার মা। ছোট্ট সুবহানার বুকে ঘুমিয়ে থাকার সেই স্মৃতিই এখন তাঁর সম্বল।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আছিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আছিয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত আফার উদ্দিনের স্ত্রী।
৭ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরের চলতি মৌসুমে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরমে কাঁঠাল পেকে যাওয়ায় বাজারে এ ফলের আধিক্য বেড়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁঠালের দাম ওঠা-নামা করায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে কাঁঠালের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ভোক্তারা খুশি।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিস্তা সেতু। নদীর নামের সঙ্গে মিলয়েই এ নামকরণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেতুটি উদ্বোধনের। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু করলেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এলাকার উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে...
১ ঘণ্টা আগে