Ajker Patrika

আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ উদ্বোধন করতে গিয়ে তোপের মুখে মেয়র তাপস, পুলিশ-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ উদ্বোধন করতে গিয়ে তোপের মুখে মেয়র তাপস, পুলিশ-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

সংস্কার কাজ শেষে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ রাজধানীর ‘বকশীবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ’ হিসেবে উদ্বোধন করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের। মাঠটিকে নিজস্ব মাঠ দাবি করে সিটি করপোরেশন এটি দখল করছে-এমন অভিযোগ তুলে উদ্বোধনের আগেই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বলেও জানা গেছে।

এদিকে মেয়র তাপস উদ্বোধন করতে মাঠে এলে ছাত্রদের প্রতিবাদের মুখে মাঠ উদ্বোধন না করেই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

আজ বুধবার (৭ নভেম্বর) দুপুরের পর বকশীবাজার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া মাঠে এই ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই বকশীবাজার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব মাঠ দখল করা হচ্ছে এমন অভিযোগে শিক্ষার্থীরা মাঠের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুরে মেয়র মাঠে আসার পর মাঠের ভেতরে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মেয়রের গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ও প্লাস্টিকের চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকেন। পুলিশ তখন শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বাধে। এমন পরিস্থিতি দেখে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরা দ্রুত মেয়রকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মেয়র ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরও মাঠের ভেতরে থাকা শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। 

পরে পুলিশ সদস্যরা মাঠের বাইরে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা মাঠ রক্ষার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় আল আমিন নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। 

শিক্ষার্থীদের দাবি, মাদ্রাসা প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে একের পর এক সম্পদ হারাতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের দখলদারির ফলে দিন দিন কমে আসছে আলিয়া মাদ্রাসার সম্পদের পরিমাণ। এখন আলিয়া মাদ্রাসার বড় খেলার মাঠটিও দখল হওয়ার পথে। এ জন্যই তারা এ মাঠটি রক্ষার জন্য আন্দোলন করছেন। 

তাঁরা বলেন, এটি সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব মাঠ। তবুও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ‘সরকারি বকশীবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ’ নামে উদ্বোধন করতে চাচ্ছে। যদি মাঠের উদ্বোধন করতেই হয় তবে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার নিজস্ব নামে উদ্বোধন করতে হবে। 

মাহমুদুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মাদ্রাসা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই একটি মাঠ কীভাবে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের একক সিদ্ধান্তে নামকরণ করে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটি বোধগম্য নয়। ঢাকা আলিয়ার মাঠ কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চলবে।’ 

পুলিশ ও ছাত্রদের সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাঠটি কারাগারের না আলিয়া মাদ্রাসার এটি নিয়ে এরই মধ্যে মামলা চলছে। এই অবস্থায় মেয়র এই মাঠটির নাম পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন। নাম পরিবর্তন নিয়েই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবাই মিলে আলোচনায় বসব, এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ 

ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লালবাগ জোনের ডিসি জাফর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দুজন পুলিশ সদস্যও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ 

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, মেয়র বকশীবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ উদ্বোধন করেছেন এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। 

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরান ঢাকায় বকশীবাজার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ মেয়রের উদ্বোধনের পর সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে উদ্বোধনের সময় কয়েকজন বহিরাগত ও মাদ্রাসাছাত্র মিলে এর প্রতিবাদে কিছু চেয়ার ভাঙচুর করে। কিন্তু মেয়র উদ্বোধন শেষে সেটি উন্মুক্ত ঘোষণা করে করেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সঞ্চয়পত্রের সার্ভারে জালিয়াতির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আরিফুর রহমান মিম ও আল আমিন। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আরিফুর রহমান পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাকি তিনজনের খোঁজে অভিযান চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা। আরিফুর রহমান মিম এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক। বাকি দুজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জালিয়াতকারী চক্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সার্ভারে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর গ্রাহকের তথ্য পরিবর্তন এবং সঞ্চয়পত্রের অর্থ অন্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে একাধিক সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।

গত ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তিনটি সঞ্চয়পত্রের তথ্য পরিবর্তন করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের হিসাবে মোট ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্রুত পদক্ষেপে ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করে সরকারি খাতে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মহা-হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম রেজভীর নামে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভুয়া প্রক্রিয়ায় নগদায়ন করে তা আরিফুর রহমান মিমের হিসাবে জমা হয়। পরে ঢাকার দুটি শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। যদিও তার লেনদেন সীমা ছিল ২ লাখ টাকা, কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে সেটি ১০ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।

একইভাবে রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা মারুফ এলাহী রনির নামে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে দুটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। উভয় সঞ্চয়পত্রই ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র। তবে সময়মতো জালিয়াতি ধরা পড়ায় টাকা উত্তোলনের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা স্থগিত করে।

ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ ও এনআরবিসি ব্যাংক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডধারী তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাঁদের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও নগদায়ন বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিএফআইইউ সন্দেহভাজন সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে, যাতে আর কোনো অর্থ লেনদেন করা না যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।

এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় গ্যাস সরবরাহের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিকুল হক জানান, মহাসড়কের নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের ৬ ইঞ্চি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে গ্যাস লিকেজ হতে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পরে বাখরাবাদের কারিগরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামত শেষে রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মোস্তফা ও বিএসএফের পক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ভবানীপুর নিউনিদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার দীপংকর সাহার নেতৃত্বে একটি দল।

ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত এসকেন তালুকদারের ছেলে ইমরান হোসেন, চাঁদপুর সদরের লোধের গাঁও গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন গাজীর মেয়ে নাসরিন বেগম, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পূর্বচিপা বারইখালী গ্রামের আলম শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা বেগম, একই জেলার চরহোগলা বুনিয়া গ্রামের মো. রুস্তম আলী শেখের ছেলে শাহিন শামীম, সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের মৃত দলিলুদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ, আবুল শেখের স্ত্রী রিমা বেগম, পিরোজপুর সদর উপজেলার মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী সুখী বেগম ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর (৫) এবং একই এলাকার আউয়াল হালদারের স্ত্রী নাসরিন।

আরও হলো বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের মৃত সোলেমান মাঝির ছেলে রিয়াজ মাঝি, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর চর আমিরগঞ্জ গ্রামের সুলতান ব্যাপারীর ছেলে হাসান ব্যাপারী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত গাহুর মৃধার ছেলে আলমগীর মৃধা ও তাঁর ছেলে খাইরুল মৃধা, একই এলাকার মৃত গাহুর মৃধার ছেলে জাকির মৃধা, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে লাবনী আক্তার, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চান্দ গ্রামের মৃত শওকত আলীর মেয়ে মোমেনা বেগম, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কদমতলার (গুসার গ্রাম) মৃত আতিয়ার রহমান শেখের মেয়ে অন্তরা শেখ (২৮) ও একই এলাকার মৃত আতিয়ার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন।

সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এরপর তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজাও খেটেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হলে তারা বাংলাদেশি কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ সীমান্ত পিলার ২১০৪/৭-এস-এর আওতাধীন এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টায় বিজেপির পক্ষ থেকে ১৮ নারী-পুরুষ, একটি শিশুসহ ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

এহছানুল হক মিলন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁর বিদেশযাত্রা স্থগিত করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তবে কেন বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি, তা নিজেও জানেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার কাগজপত্র দেখাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা কিছুই দেখাননি। কেন এমন করা হলো, আমি বুঝতে পারিনি।’ তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মিলন। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে পরাজিত করে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত