Ajker Patrika

নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের দ্বন্দ্ব, কার্যালয় দখল-ভাঙচুর

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মে ২০২৩, ১৪: ০১
নগরকান্দায় আওয়ামী  লীগের ২ পক্ষের দ্বন্দ্ব, কার্যালয় দখল-ভাঙচুর

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিশেষ সভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে দলীয় কার্যালয় দখল ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একপক্ষ হামলা চালিয়ে কার্যালয়ের দোতলার গ্লাস ও অফিসে থাকা আসবাব ভাঙচুর করে।

জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া সম্প্রতি দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৬ মে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের স্বাক্ষরিত পত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি গতকাল বেলা ৩টায় দলের কার্যালয়ে বিশেষ সভা আহ্বান করেন।

এ সভাকে অসাংগঠনিক দাবি করে ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সমর্থকেরা দলীয় কার্যালয়ে ও সদরে প্রবেশের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন। বিকেল ৪টার দিকে জামাল হোসেন মিয়া নেতা-কর্মী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় কুমার নদের সেতু পার হলে তাঁর পথরোধ করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। এ সময় পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একপর্যায়ে জামাল হোসেন মিয়া বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয় দখল করেন।

জামাল হোসেন মিয়া বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে জেলা কমিটি আমাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি দায়িত্ব পেয়ে উপজেলা কমিটির সভাপতিসহ অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সভা আহ্বান করেছি। এমপি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর হুকুমে কিছু নব্য আওয়ামী লীগার সভা বানচাল করতে আমাকে বাধা দেন। আমার সমর্থকেরা বাধা উপেক্ষা করে দলীয় অফিসে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সভা শেষ করে চলে এসেছি। পরে শুনতে পেয়েছি ওই নব্য আওয়ামী লীগারা এসে অফিসে ভাঙচুর চালান।’

সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় গঠনতন্ত্রমতে জ্যেষ্ঠ পদে থাকা কোনো নেতা কনিষ্ঠ পদে ভারপ্রাপ্ত হতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমি দলীয় নেত্রীর কাছে আবেদন করেছি। এর মধ্যেই জামাল হোসেন মিয়া কিছু সন্ত্রাসী লোক নিয়ে দলীয় অফিসে এসে ভাঙচুর চালান। এ সময় অফিসে থাকা আসবাব, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়। আমি এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

থানার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, ‘শটগানের ২৪টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত