সৌগত বসু, ঢাকা
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে ঢাকা নগর পরিবহন। পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে রাজধানীর গণপরিবহনগুলোকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। কিন্তু চার বছরেও সেটি হয়নি। মাঝে তিনটি রুটে বাস চালু হলেও গত ৫ আগস্টের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর গণপরিবহনকে এক কোম্পানির আওতায় আনার উদ্যোগকেই বলা হচ্ছে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’।
গতকাল সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীর মধ্যে বাস চালাতে হলে নগর পরিবহনে যুক্ত হতে হবে। বাসগুলো কীভাবে চলবে এবং ব্যবসার ধরন কী হবে, তা নিয়ে রূপরেখা তৈরির জন্য একটি কমিটি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি গঠিত হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। পরিকল্পনা ছিল, ঢাকায় চলাচল করা সব বাস ধীরে ধীরে একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসার। তবে এ পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।
ঢাকায় নগর পরিবহনের আওতায় কীভাবে সব বাস চলবে তা নিয়ে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলোকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ডিটিসিএ বলছে, এ পর্যন্ত তাদের কাছে ৮০ টির বেশি কোম্পানির ২ হাজারের বেশি বাসের আবেদন পড়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভা হবে। এর আগেই কোন রুটে কাদের বাস চলবে সে বিষয়ে বিশদ প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে ডিটিসিএ।
বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রাথমিকভাবে ৪২টি বাস রুটে রেশনালাইজ করা হয়েছে, ৩৮৮টি বর্তমান রুটকে সমন্বয় করে এটি করা হয়েছে। তবে রুটগুলো ট্রাফিক সার্ভে করে আপডেট করা হচ্ছে, পর্যালোচনার সুযোগও রয়েছে, আমার প্রকল্প থেকে সার্ভে চলছে। সার্ভে শেষ হলেই পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ডিমান্ড ফোরকাস্টিং বা গণপরিবহনের সম্ভাব্য চাহিদার একটি মডেল তৈরি করা হবে। তবে রুটের সংখ্যা ৪০–৪৫–ই থাকতে পারে বলে ধারণা করা যায়। কারণ ঢাকায় বাস চলাচলের মতো রাস্তা আছেই খুব কম, মাত্র ৩০০ কিলোমিটারের মতো।
ধ্রুব আরও বলেন, শহরের গণপরিবহন পরিচিত হবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে। শহরের বাইরের সঙ্গে সংযোগকারী পরিবহনের নাম হবে ‘শহরতলি পরিবহন’। ৩৪টি রুট নগরের ও ৮টি রুট শহরতলির।
কোম্পানির নামে বাস রেজিস্ট্রেশন করতে হবে জানিয়ে ধ্রুব আলম বলেন, ব্যক্তিনামে আর কোনো বাসের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট দেওয়া হবে না। এই কাজটি করতে সময় লাগবে। দুটি কোম্পানি এক রুটে চালাতে চাইলে জয়েন্ট ভেঞ্চার করে আসতে হবে। এক রুটে এক কোম্পানির বাস চলবে, প্রতিযোগিতা থাকবে না।
কাউন্টার ও টিকিট ছাড়া কোনো বাস চলবে না উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব বলেন, টিকিটের সঙ্গে যথাসম্ভব র্যাপিড পাস ব্যবহারের সুযোগ রাখা হবে। র্যাপিড পাসের প্রচলন ধাপে ধাপে হবে। প্রাথমিকভাবে শুরু হচ্ছে, হাতিরঝিল চক্রাকার বাস এবং ওয়াটার ট্যাক্সিতে। এরপরে বাস্তবায়ন হবে ঢাকা চাকা ও গুলশান চাকায়।
বাসের কাঠামোতেও আমূল পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। তিনি বলেন, বাসে স্বয়ংক্রিয় দরজা (নিউম্যাটিক ডোর) লাগানো হবে ধাপে ধাপে, সিট অ্যারেঞ্জমেন্ট চেঞ্জ হবে, সিঁড়ির ধাপ বাড়বে, অভিগম্যতা (সহজে ওঠানামা) নিশ্চিত করা হবে। ক্যামেরা বসবে ড্যাশক্যামসহ। স্টপেজেও ক্যামেরা আসবে। ড্রাইভার ও হেলপারের নিয়োগ হবে কোম্পানি থেকে, তাঁরা কোনো ভাড়া আদায় করবেন না।
এর আগে রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ২০১৬ সালের শুরুতে ছয়টি কোম্পানির অধীনে ছয় রঙের বাস নামানোর উদ্যোগ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক। তবে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর উদ্যোগটি থেমে যায়। পরে ২০২০ সালে ঢাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৯টি রঙের, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাব দেয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে ঢাকা নগর পরিবহন। পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে রাজধানীর গণপরিবহনগুলোকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। কিন্তু চার বছরেও সেটি হয়নি। মাঝে তিনটি রুটে বাস চালু হলেও গত ৫ আগস্টের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর গণপরিবহনকে এক কোম্পানির আওতায় আনার উদ্যোগকেই বলা হচ্ছে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’।
গতকাল সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধানীর মধ্যে বাস চালাতে হলে নগর পরিবহনে যুক্ত হতে হবে। বাসগুলো কীভাবে চলবে এবং ব্যবসার ধরন কী হবে, তা নিয়ে রূপরেখা তৈরির জন্য একটি কমিটি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি গঠিত হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। পরিকল্পনা ছিল, ঢাকায় চলাচল করা সব বাস ধীরে ধীরে একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসার। তবে এ পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।
ঢাকায় নগর পরিবহনের আওতায় কীভাবে সব বাস চলবে তা নিয়ে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাস কোম্পানিগুলোকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ডিটিসিএ বলছে, এ পর্যন্ত তাদের কাছে ৮০ টির বেশি কোম্পানির ২ হাজারের বেশি বাসের আবেদন পড়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভা হবে। এর আগেই কোন রুটে কাদের বাস চলবে সে বিষয়ে বিশদ প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে ডিটিসিএ।
বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রাথমিকভাবে ৪২টি বাস রুটে রেশনালাইজ করা হয়েছে, ৩৮৮টি বর্তমান রুটকে সমন্বয় করে এটি করা হয়েছে। তবে রুটগুলো ট্রাফিক সার্ভে করে আপডেট করা হচ্ছে, পর্যালোচনার সুযোগও রয়েছে, আমার প্রকল্প থেকে সার্ভে চলছে। সার্ভে শেষ হলেই পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ডিমান্ড ফোরকাস্টিং বা গণপরিবহনের সম্ভাব্য চাহিদার একটি মডেল তৈরি করা হবে। তবে রুটের সংখ্যা ৪০–৪৫–ই থাকতে পারে বলে ধারণা করা যায়। কারণ ঢাকায় বাস চলাচলের মতো রাস্তা আছেই খুব কম, মাত্র ৩০০ কিলোমিটারের মতো।
ধ্রুব আরও বলেন, শহরের গণপরিবহন পরিচিত হবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে। শহরের বাইরের সঙ্গে সংযোগকারী পরিবহনের নাম হবে ‘শহরতলি পরিবহন’। ৩৪টি রুট নগরের ও ৮টি রুট শহরতলির।
কোম্পানির নামে বাস রেজিস্ট্রেশন করতে হবে জানিয়ে ধ্রুব আলম বলেন, ব্যক্তিনামে আর কোনো বাসের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট দেওয়া হবে না। এই কাজটি করতে সময় লাগবে। দুটি কোম্পানি এক রুটে চালাতে চাইলে জয়েন্ট ভেঞ্চার করে আসতে হবে। এক রুটে এক কোম্পানির বাস চলবে, প্রতিযোগিতা থাকবে না।
কাউন্টার ও টিকিট ছাড়া কোনো বাস চলবে না উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব বলেন, টিকিটের সঙ্গে যথাসম্ভব র্যাপিড পাস ব্যবহারের সুযোগ রাখা হবে। র্যাপিড পাসের প্রচলন ধাপে ধাপে হবে। প্রাথমিকভাবে শুরু হচ্ছে, হাতিরঝিল চক্রাকার বাস এবং ওয়াটার ট্যাক্সিতে। এরপরে বাস্তবায়ন হবে ঢাকা চাকা ও গুলশান চাকায়।
বাসের কাঠামোতেও আমূল পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। তিনি বলেন, বাসে স্বয়ংক্রিয় দরজা (নিউম্যাটিক ডোর) লাগানো হবে ধাপে ধাপে, সিট অ্যারেঞ্জমেন্ট চেঞ্জ হবে, সিঁড়ির ধাপ বাড়বে, অভিগম্যতা (সহজে ওঠানামা) নিশ্চিত করা হবে। ক্যামেরা বসবে ড্যাশক্যামসহ। স্টপেজেও ক্যামেরা আসবে। ড্রাইভার ও হেলপারের নিয়োগ হবে কোম্পানি থেকে, তাঁরা কোনো ভাড়া আদায় করবেন না।
এর আগে রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ২০১৬ সালের শুরুতে ছয়টি কোম্পানির অধীনে ছয় রঙের বাস নামানোর উদ্যোগ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক। তবে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর উদ্যোগটি থেমে যায়। পরে ২০২০ সালে ঢাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৯টি রঙের, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাব দেয় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে কোরবানির পশু উপহার দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার ২১টি শহীদ পরিবারের মাঝে একটি করে ছাগল উপহার দেওয়া হয়। শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব উপহার তুলে দেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
৭ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি সুপার শপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আজ শুক্রবার উপজেলার মেইন রোডের আলীম সুপার মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেইসরাত খাতুন বলেন, আশুলিয়া থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ট্রাকে উঠেছেন রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্দেশে। কিন্তু সেখান থেকে সেতু পূর্ব গোলচত্বরে আসতে তাঁদের সময় লেগেছে প্রায় ১৫ ঘণ্টার মতো। তীব্র গরমে শিশুদের নিয়ে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়ছেন। এমন ভয়াবহ যানজটে কোনোবার তাঁরা পড়েননি।
৩৯ মিনিট আগেঈদুল আজহার আগের দিন কোরবানির চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজধানীবাসী। আজ শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, যেমন—চাটাই, ছুরি, চাপাতি এবং মাংস কাটার খাটিয়া কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। এসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে নগরবাসী তাদের কোরবানির সব প্রস্তুতি
১ ঘণ্টা আগে