Ajker Patrika

‘গুলশানে ১০ তলা থেকে প্রায় লাফ দিয়েছিলেন ওরা, বাঁচলেন টর্চের আলো দেখে’

ঢামেক প্রতিনিধি
‘গুলশানে ১০ তলা থেকে প্রায় লাফ দিয়েছিলেন ওরা, বাঁচলেন টর্চের আলো দেখে’

পেশাগত কাজে গুলশানে ওই বাসার দশতলায় গিয়েছিলেন আশুলিয়া থেকে আসা দুজন। আশপাশে আগুনের ধোয়ায় যখন অন্ধকার, তখন ঠাঁই নেন দশতলার বেলকনিতে। জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে লাফ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় টর্চের আলো চোখে পড়লে থেকে যান তাঁরা। পরে এপাশ থেকে লাফ দিতে নিষেধ করা করা হলে থেমে যান দুজন। এভাবে বেঁচে যান আশুলিয়া থেকে ওই বাড়িতে আসা মো. মুসা শিকদার (৩৩) ও রওশন আলী (৩০)। 

আজ সোমবার কথা হয় আহত রওশন আলীর স্ত্রীর উম্মে কুলসুমের সঙ্গে। তিনি জানান, আশুলিয়া নিশ্চিন্তপুর এলাকায় থাকেন তাঁরা। আশুলিয়ায় অবস্থিত নিউজ গ্রুপের অফিস সহকারী ছিল। গতকাল সন্ধ্যার দিকে পেশাগত কাজে গুলশানে ওই বাসার দশতলায় এমডি আরিফ ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিছু সময় পর আণ্ডিকান্ডের ফলে আশপাশে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় বাসার অন্য সদস্যদের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করতে সক্ষম হন। কিন্তু বেলকনিতে মুসা ও রওশন আলী আটকে পড়েন। 

স্বামীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ওরা (মুসা ও রওশন) দশতলা থেকে লাফ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ একটা টর্চের আলো তাঁদের চোখে পড়ে এবং লাফ দিতে নিষেধ করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।’ 

অন্যদিকে আহত মুসার ভাই আসাদ শিকদার জানান, মুসা গুলশানে ওই ভবনের দশতলায় নিউজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ ইব্রাহীমের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক। তাঁর বাসা কুড়িল বিশ্বরোডে। ঘটনার সময় তাকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করেন। 

এদিকে সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় আহত মো. মুসা শিকদার ও রওশন আলীকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বান ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘গুলশানের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের এখানে আরও দুজন পুরুষ এসেছিল। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের শরীরে কোনো পোড়া না থাকলেও শ্বাসনালি পোড়া ছিল। তারা সুস্থ থাকায় চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শামা রহমান সিনহাকে (৩৭) ভর্তি রাখা হয়েছে। ওই নারী আইসিইউতে আছেন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত না। তার শ্বাসনালি পুড়েছে ও লাফ দেওয়ার ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত