Ajker Patrika

জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর অস্ত্র মামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ০৭
জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর অস্ত্র মামলার রায় আজ

রাজধানীর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ রোববার। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌশলী সালাউদ্দিন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ দুপুর ১২টায় রায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে গত ২৮ আগস্ট আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা হয়। মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।

একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন।

২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছে মর্মে ডকুমেন্ট দেখালেও তা যাচাইয়ে তার সঠিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এসএম বিল্ডার্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জিকে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগদান করে কাজ করে আসছিলেন। তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় কিনে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেন।

এ ছাড়া অন্য আসামিরা নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তাঁরা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।

শামীম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। প্রাইমারি স্কুল ও হাইস্কুল পাস করার পর শামীম ঢাকার বাসাবো আর সবুজবাগ এলাকায় বেড়ে ওঠেন। ক্ষমতার দাপট ছিল আকাশসমান। সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে তিনি ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি। বাংলাদেশের সব ঠিকাদারকে গণপূর্তে কাজ করতে হলে তাঁকে বলে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রথম সারির (১ থেকে ২০) সব ঠিকাদার তাঁর বাইরে ভয়ে কথা বলার সাহস পেতেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত