Ajker Patrika

ঢাবি ছাত্র অধিকারের সভাপতিসহ ২৪ জনের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ০৬
Thumbnail image

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। 

জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার ফলে আপাতত ২৪ জনকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। গত ৮ অক্টোবর ২৪ জনকে আদালতে হাজির করার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আজ মঙ্গলবার প্রত্যেকের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। আজ শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। 

অন্য যাঁদের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে তাঁরা হলেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচ এম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে গত ৭ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে আসামিরা কাউকে কিছু না জানিয়েই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে সমবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন। 

আসামিরা তাঁদের বক্তব্যে সরকার, সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তখন ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে আসামিরা রড, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় আসামিরা সাড়ে দশ হাজার টাকা চুরি করে নেন। 

এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর ছাত্রলীগের নেতা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। 

মামলায় আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৫ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

উল্লেখ্য, ছাত্র অধিকার পরিশোধ থেকে অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে পণ্ড হয়ে যায় সমাবেশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত