শাবিপ্রবির পিএমই বিভাগ
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ ও সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এসব উপেক্ষা করে গত বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ওই শিক্ষককে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবির শিক্ষক’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচজন আবেদন করেন। ভাইভা দেন চারজন। তাঁদের মধ্যে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ-৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ-১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ-৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পিএমই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. তাজবিউল ইসলামকে।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেট সভায় বলা হয়, পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে তাজবিউল ইসলামকে নিয়োগের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে কেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি লিখিত জবাব প্রাপ্তির পর সে বিষয়ে আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গত বুধবার কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তাজবিউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থাৎ ২৭-১১-২০২৪ তারিখ থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন। কর্মস্থলে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আপনাকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আপনার অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএমই বিভাগসংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে এমন চিঠি ইস্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন পিএমই বিভাগের শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার লিখিত দেওয়ার পরও কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটা জানতে চান তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শাবিপ্রবির উপাচার্যের (ভিসি) অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিএমই বিভাগের ১১ শিক্ষক, ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ছাড়াও একজন সাবেক ভিসি এবং আরেকটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও সব শিক্ষক সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এখন এটা আসতে যদি ঢিলেমি হয়, এর সাথে জড়িত বিশেষ দুষ্টচক্রের বিচার চাই আমরা। আমরা সিন্ডিকেটের রেজল্যুশন পাওয়ার আগেই বা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতেছে। এই জিনিসগুলো খুব সন্দেহজনক এবং এটাকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি। কারণ হলো, এখানে কেন মন্ত্রণালয় বা অন্যদের এত আগ্রহ। এটা নিয়ে আমরা আসলে খুব শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এটা নিয়ে আসলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, এখনো ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে।’
বৈঠকে ভিসি কী বললেন জানতে চাইলে পিএমইর প্রধান বলেন, ‘তিনি আমাদের বললেন বিষয়টি একটু আস্তে (ধীরে) চাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা তাঁকে বলে এসেছি, যদি তাঁকে মিনিস্ট্রির চাপে রাখতে হয়, তাহলে রাখেন। বাট তাকে নিয়ে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষা কার্যক্রম চালাইতে পারব না। তাকে আমি ডিপার্টমেন্টে জয়েন করিয়ে ক্লাসে দিলে, আমি একেবারেই নিশ্চিত, একটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে। এই ঝামেলায় আমি যেতে চাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে তাজবিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি। একইভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও কল রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও তো জয়েন অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগের সময়কাল থেকে। এটা নতুন করে জয়েন করার কিছু নাই। আমরা নিয়মের মধ্যেই আছি। সে তো বেতন নিচ্ছে, আমরাও বেতন বন্ধ করি নাই। কেন সে আসতেছে না, ক্লাস নিতেছে না। ও তো দীর্ঘদিন ধরে কোনো না কোনো কারণে অনুপস্থিত। বেতন নিলে থাকবে না? তো তুমি কেন থাকবে না, এটা জানাইতে বলছে। যেসব ত্রুটি আছে, কমিটি দেখতেছে। আমরা জয়েন করার কথা বলছি না। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিছে, তার ব্যাপারটা মন্ত্রণালয়কে জানাইতে বলছে। তো আমরাও জানাইছি আরকি।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের ওই প্রভাষকের বেতনসহ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে তাঁকে কেন চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিভাগের একাডেমিক পরিবেশ ও সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এসব উপেক্ষা করে গত বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ওই শিক্ষককে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুন ‘কম যোগ্য প্রার্থীকেও ডাকা হলো শাবির ভাইভায়’ এবং ২২ আগস্ট ‘আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সেই প্রার্থী এখন শাবির শিক্ষক’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পিএমই বিভাগে প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে পাঁচজন আবেদন করেন। ভাইভা দেন চারজন। তাঁদের মধ্যে মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ-৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ-১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ-৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই পিএমই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. তাজবিউল ইসলামকে।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেট সভায় বলা হয়, পিএমই বিভাগে প্রভাষক পদে তাজবিউল ইসলামকে নিয়োগের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে কেন তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি লিখিত জবাব প্রাপ্তির পর সে বিষয়ে আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে গত বুধবার কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তাজবিউলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থাৎ ২৭-১১-২০২৪ তারিখ থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন। কর্মস্থলে আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আপনাকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আপনার অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএমই বিভাগসংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে এমন চিঠি ইস্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন পিএমই বিভাগের শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার লিখিত দেওয়ার পরও কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটা জানতে চান তাঁরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শাবিপ্রবির উপাচার্যের (ভিসি) অফিসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পিএমই বিভাগের ১১ শিক্ষক, ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার ছাড়াও একজন সাবেক ভিসি এবং আরেকটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও সব শিক্ষক সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এখন এটা আসতে যদি ঢিলেমি হয়, এর সাথে জড়িত বিশেষ দুষ্টচক্রের বিচার চাই আমরা। আমরা সিন্ডিকেটের রেজল্যুশন পাওয়ার আগেই বা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখতেছে। এই জিনিসগুলো খুব সন্দেহজনক এবং এটাকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি। কারণ হলো, এখানে কেন মন্ত্রণালয় বা অন্যদের এত আগ্রহ। এটা নিয়ে আমরা আসলে খুব শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এটা নিয়ে আসলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, এখনো ডিপার্টমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান এর বিরুদ্ধে।’
বৈঠকে ভিসি কী বললেন জানতে চাইলে পিএমইর প্রধান বলেন, ‘তিনি আমাদের বললেন বিষয়টি একটু আস্তে (ধীরে) চাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা তাঁকে বলে এসেছি, যদি তাঁকে মিনিস্ট্রির চাপে রাখতে হয়, তাহলে রাখেন। বাট তাকে নিয়ে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষা কার্যক্রম চালাইতে পারব না। তাকে আমি ডিপার্টমেন্টে জয়েন করিয়ে ক্লাসে দিলে, আমি একেবারেই নিশ্চিত, একটা ঝামেলার সৃষ্টি হবে। এই ঝামেলায় আমি যেতে চাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে তাজবিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি। একইভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারও কল রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও তো জয়েন অবস্থায় আছে আওয়ামী লীগের সময়কাল থেকে। এটা নতুন করে জয়েন করার কিছু নাই। আমরা নিয়মের মধ্যেই আছি। সে তো বেতন নিচ্ছে, আমরাও বেতন বন্ধ করি নাই। কেন সে আসতেছে না, ক্লাস নিতেছে না। ও তো দীর্ঘদিন ধরে কোনো না কোনো কারণে অনুপস্থিত। বেতন নিলে থাকবে না? তো তুমি কেন থাকবে না, এটা জানাইতে বলছে। যেসব ত্রুটি আছে, কমিটি দেখতেছে। আমরা জয়েন করার কথা বলছি না। মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিছে, তার ব্যাপারটা মন্ত্রণালয়কে জানাইতে বলছে। তো আমরাও জানাইছি আরকি।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান বাজারের একটি মন্দিরের জানালার পর্দায় আগুন ও দানবাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজদিখান বাজারের উত্তর পাশে সারপট্টি এলাকায় মন্দিরটিতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে গাছচাপা পড়ে মো. রনি মিয়া (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) রাত আনুমানিক ১০টায় উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান (ভাটিয়াপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রনি ওই এলাকার নূর আলম মিয়ার বড় ছেলে।
৫ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চা-বাগান ঘুরে দেখার জন্য এত দিন কোনো ফি নেওয়া হতো না। তবে এবার পর্যটকদের চা-বাগানে প্রবেশের জন্য গুনতে হবে ২০ টাকা। যা চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে খরচ করা হবে।
১৩ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার আলী নাসায়ের ইমনকে পুলিশের তুলে দিয়েছেন স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে