নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
দুই মাস আগে বিদেশ যাওয়ার জন্য রওনা হন আল আমীন। গত সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুরাদ ফকির ফোন করে জানান, ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে আল আমীন নিখোঁজ হয়েছেন। এই মুরাদ ফকিরের মাধ্যমেই লিবিয়া হয়ে ইতালির পথে পাড়ি দিচ্ছিলেন আল আমীন। আজ বুধবার আল আমীনের মা চামেলি বেগম আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন।
চামেলি বেগম বলেন, ৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। ওই দিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুরাদ চামেলী বেগমকে ফোন করে জানান, তাঁদের ইতালি পাঠানোর জন্য স্পিডবোটে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লিবিয়া থেকে অবৈধ উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে ১৭ জন উদ্ধার ও ৩০ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ১২ জন থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির পর গত সোমবার ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। ইতালির স্থানীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার করা ১৭ জন অভিবাসীর সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। ইতালির উদ্দেশে যাওয়া নৌকাটি গত রোববার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে ডুবে যায়।
এ দিকে ফরিদপুরের নিখোঁজ ১২ যুবকের পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। তাঁদের সন্তানেরা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা জানতে পারছেন না।
নিখোঁজ শামীম কাজীর বাবা সেকেন কাজী বলেন, ‘আমার পাশের গ্রামের মুরাদ ফকিরের সঙ্গে ৮ লাখ টাকায় চুক্তি হয় আমার ছেলেকে ইতালি পৌঁছে দেবে বলে। সেই মোতাবেক সব টাকা পরিশোধ করি। গত ৫ জানুয়ারি ইতালির যাওয়ার জন্য ছেলে ঢাকায় যায়। ঢাকা থেকে ৮ জানুয়ারি দুবাই যায়। দুবাইয়ে চার দিন থাকার পর মিসর হয়ে ১২ জানুয়ারি নাগাদ তারা লিবিয়া পৌঁছায়। এরপর গত সোমবার ভোর ৪টার দিকে মুরাদ ফকির আমাকে ফোন করে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।’
নগরকান্দার নিখোঁজ ১২ যুবক হলেন উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের আটকাহনিয়া গ্রামের তোরাপ মোল্যার ছেলে শফিকুল ইসলাম রাসেল (৩০), ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্যার ছেলে মাহফুজ মোল্যা (২২), এসকেন মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরাম ব্যাপারী (২৭), বাশাগাড়ী গ্রামের ইছাহাক ফকিরের ছেলে স্বপন ফকির (২৭), শংকরপাশা গ্রামের সেকেন কাজীর ছেলে শামীম কাজী (২১), সরোয়ার মাতুব্বরের ছেলে বিপুল (২৫), মালেক শেখের ছেলে বিটুল শেখ(২৫), শ্রীঙ্গাল গ্রামের সলেমান শেখের ছেলে মিরান শেখ (২২), ইদ্রিস শেখের ছেলে তুহিন শেখ (২০) ও নারুয়াহাটি গ্রামের কাশেম তালুকদারের ছেলে শাওন তালুকদার (২২)। পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁরা সবাই স্থানীয় একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছিলেন।
নিখোঁজ রাসেলের বাবা তোরাপ মোল্যা জানান, নগরকান্দা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আদম ব্যাপারীর মুরাদ ফকিরের (৩৬) মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে বাড়ি থেকে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা হয়। ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। দুবাই হয়ে গত ১২ জানুয়ারি তাঁরা লিবিয়া পৌঁছায়। দুই মাস লিবিয়ায় অবস্থানের পর গত রোববার সাগর পথে নৌকায় চড়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, মুরাদ একজন মানব পাচারকারী। তিনি অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন।
মানব পাচার চক্রের মূল হোতা মুরাদ ফকির পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার সহযোগী বাশাগারী গ্রামের ইমারত মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নই। তবে আমার হাত দিয়ে দুই একজনের টাকা মুরাদকে দিয়েছি মাত্র।’
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিলগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘শুনেছি ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকার বেশ কয়েকজন উদ্ধার হয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।’
দুই মাস আগে বিদেশ যাওয়ার জন্য রওনা হন আল আমীন। গত সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুরাদ ফকির ফোন করে জানান, ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে আল আমীন নিখোঁজ হয়েছেন। এই মুরাদ ফকিরের মাধ্যমেই লিবিয়া হয়ে ইতালির পথে পাড়ি দিচ্ছিলেন আল আমীন। আজ বুধবার আল আমীনের মা চামেলি বেগম আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন।
চামেলি বেগম বলেন, ৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। ওই দিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুরাদ চামেলী বেগমকে ফোন করে জানান, তাঁদের ইতালি পাঠানোর জন্য স্পিডবোটে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লিবিয়া থেকে অবৈধ উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে ১৭ জন উদ্ধার ও ৩০ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ১২ জন থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির পর গত সোমবার ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। ইতালির স্থানীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার করা ১৭ জন অভিবাসীর সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। ইতালির উদ্দেশে যাওয়া নৌকাটি গত রোববার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে ডুবে যায়।
এ দিকে ফরিদপুরের নিখোঁজ ১২ যুবকের পরিবারের সদস্যরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। তাঁদের সন্তানেরা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা জানতে পারছেন না।
নিখোঁজ শামীম কাজীর বাবা সেকেন কাজী বলেন, ‘আমার পাশের গ্রামের মুরাদ ফকিরের সঙ্গে ৮ লাখ টাকায় চুক্তি হয় আমার ছেলেকে ইতালি পৌঁছে দেবে বলে। সেই মোতাবেক সব টাকা পরিশোধ করি। গত ৫ জানুয়ারি ইতালির যাওয়ার জন্য ছেলে ঢাকায় যায়। ঢাকা থেকে ৮ জানুয়ারি দুবাই যায়। দুবাইয়ে চার দিন থাকার পর মিসর হয়ে ১২ জানুয়ারি নাগাদ তারা লিবিয়া পৌঁছায়। এরপর গত সোমবার ভোর ৪টার দিকে মুরাদ ফকির আমাকে ফোন করে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।’
নগরকান্দার নিখোঁজ ১২ যুবক হলেন উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের আটকাহনিয়া গ্রামের তোরাপ মোল্যার ছেলে শফিকুল ইসলাম রাসেল (৩০), ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্যার ছেলে মাহফুজ মোল্যা (২২), এসকেন মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরাম ব্যাপারী (২৭), বাশাগাড়ী গ্রামের ইছাহাক ফকিরের ছেলে স্বপন ফকির (২৭), শংকরপাশা গ্রামের সেকেন কাজীর ছেলে শামীম কাজী (২১), সরোয়ার মাতুব্বরের ছেলে বিপুল (২৫), মালেক শেখের ছেলে বিটুল শেখ(২৫), শ্রীঙ্গাল গ্রামের সলেমান শেখের ছেলে মিরান শেখ (২২), ইদ্রিস শেখের ছেলে তুহিন শেখ (২০) ও নারুয়াহাটি গ্রামের কাশেম তালুকদারের ছেলে শাওন তালুকদার (২২)। পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁরা সবাই স্থানীয় একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছিলেন।
নিখোঁজ রাসেলের বাবা তোরাপ মোল্যা জানান, নগরকান্দা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আদম ব্যাপারীর মুরাদ ফকিরের (৩৬) মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে বাড়ি থেকে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা হয়। ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। দুবাই হয়ে গত ১২ জানুয়ারি তাঁরা লিবিয়া পৌঁছায়। দুই মাস লিবিয়ায় অবস্থানের পর গত রোববার সাগর পথে নৌকায় চড়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, মুরাদ একজন মানব পাচারকারী। তিনি অবৈধভাবে বিদেশে লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন।
মানব পাচার চক্রের মূল হোতা মুরাদ ফকির পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার সহযোগী বাশাগারী গ্রামের ইমারত মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত নই। তবে আমার হাত দিয়ে দুই একজনের টাকা মুরাদকে দিয়েছি মাত্র।’
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিলগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘শুনেছি ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকার বেশ কয়েকজন উদ্ধার হয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।’
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১৬ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
১৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৩ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে