Ajker Patrika

টঙ্গীতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ছুরির ভয় দেখিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সত্যতা পায়। আজ সোমবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। 

মামলায় টঙ্গীর বর্ণমালা টেকপাড়া এলাকার হাসান (৩০) ও একই এলাকার সোহাগ ওরফে লাড্ডু সোহাগসহ (২৫) অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী বর্ণমালা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগীর স্বামীর পূর্ব পরিচিত। গত শনিবার রাতে ভুক্তভোগীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাসান ও সোহাগ বর্ণমালা এলাকার একটি হোটেলে তাঁর স্বামীকে ডাকেন। এর মধ্যে কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ভুক্তভোগী তার স্বামীর মোবাইল ফোনে কল করলে হাসান ফোন রিসিভ করে তাকেও হোটেলে আসতে বলেন। 

পরে ভুক্তভোগী হোটেলে আসলে তার স্বামীকে ছুরির (সুইচ গিয়ার) ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে সোহাগ ও অজ্ঞাত তিনজন। এ সময় হোটেলের পাশের কৃষি জমিতে নিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে হাসান। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় তাঁরা। 

ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রী একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তাই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। বিষয়টি আমি হাসান ও সোহাগকে জানালে তাঁরা স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমাকে একটি হোটেলে ডাকেন। 

কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করলে হাসান তাকেও হোটেলে ডাকেন। স্ত্রী হোটেলের সামনে এলে আমাকে একটি ছুরি দেখিয়ে জিম্মি করে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। আজ (সোমবার) আমাদের মামলা নিয়েছে পুলিশ।’ 

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত