Ajker Patrika

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপঢৌকন না পেয়ে সহকর্মীকে স্ত্রীসহ লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ০০: ০৩
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপঢৌকন না পেয়ে সহকর্মীকে স্ত্রীসহ লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

সহকারী প্রধান শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এ ঘটনা ঘটে। তাঁরা গোলাম নবী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও ভুক্তভোগী শিক্ষক উভয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। 

লাঞ্ছিতরা হলেন, কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার হাপুরখাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে কামরুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী আমেনা খাতুন। কামরুল হাসান গোলামনবী মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক। 

জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান গত বছরের আগস্ট মাসে তাঁর তিন মাসের বকেয়া বেতনের কথা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানান। বেতন নিতে হলে একটি স্বর্ণের আংটি দাবি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন। কামরুল হাসান আংটি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় প্রধান শিক্ষক তাঁকে বিভিন্ন সময় হেয় প্রতিপন্ন ও লাঞ্ছিত করে আসছেন। এমনকি ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে অযোগ্য আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি নেওয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করেন প্রধান শিক্ষক। 

গত শনিবার সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের কাছে অব্যাহতিপত্র দেন। এর পরদিন রোববার প্রধান শিক্ষক তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। কিন্তু তিনি যাননি। গতকাল সোমবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য মীমাংসার কথা বলে ডেকে পাঠান তাঁকে। কথামতো স্ত্রী আমেনা খাতুনকে নিয়ে কালিয়াকৈর বাজারে রিমা টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিক্স নামে একটি দোকানে যান এবং আলোচনায় বসেন। 

এদিকে খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক দুই কর্মচারী সোহেল রানা ও মালেককে নিয়ে ওই দোকানে যান। তিনজনে ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে টানাহেঁচড়া করা শুরু করেন। এলোপাতারি মারধরও করেন। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আমেনা খাতুনও। নিরূপায় হলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষক কামরুল বলেন, ‘আমার তিন মাসের বকেয়া বেতন পাওয়ার পর ওই প্রধান শিক্ষক আমার কাছে একটি স্বর্ণের আংটি দাবি করেন। আংটি না দেওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করতেন। আমাকে সবসময় ভয়-ভীতি দেখাতেন।’ 

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন বলেন, ‘আমি মারধর করি নাই। উল্টো ওনারাই কর্মচারীদের মারধর করেছেন। আমি মারধর করতে যাব কেন?’ 

এ ঘটনায় পাল্টপাল্টি অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, ‘এ ঘটনায় উভয় শিক্ষক থানায় দুটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত