Ajker Patrika

শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: তিন আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।

তিন আসামি হলেন আল কামাল শেখ (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। বিকেলে তাঁদের আদালতে হাজির করে বনানী থানা-পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার ওসি এ কে এম মঈন উদ্দিন প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের সাত দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে চায়ের দোকানে আড্ডার সময় ছোট একটি ঘটনায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয় পারভেজকে।

নিহত ছাত্রের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীরের করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)।

তাঁদের মধ্যে এজাহারে সোবহান নিয়াজ তুষারের পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে। হৃদয় মিয়াজীর পরিচয় দেওয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একই ইউনিটের যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে।

রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন করা হয়েছে। তাদের (আসামিদের) হায়ার করে আনা হয় খুনের জন্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহিরাগত ছাত্র এনে আক্রমণ করে। এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।’

পিপি আরও বলেন, ‘এভাবে ছুরি মেরে তাকে হত্যা করতে হবে! এরাও কারও না কারও মায়ের সন্তান। ছেলেদের কাঠগড়ায় দেখে তাদের কী অবস্থা হচ্ছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার মাস্টারমাইন্ডরা বের হয়ে আসবে।’

আসামি কামালের আইনজীবী লুৎফর রহমান বলেন, ‘কামাল সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী। বনানী এলাকায় থাকে না, যাতায়াতও নেই। ঘটনাস্থলের একজন তাকে ফোন দেয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। ওই ফোনের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

আলভি ও সানির আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন ঘটনার জন্য দুঃখিত। যারা জড়িত, তাদের বিচার হোক। যারা জড়িত নয়, তারা যেন ন্যায়বিচার পায়।’

এ সময় আদালত বলেন, ‘ফোনকলে গেছেন। তার মানে আপনি বহিরাগত। কেন গেছেন ওখানে?’ তখন আইনজীবী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যায়নি। দূরে ছিল। তারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। এ কারণে খোঁজ নিতে গিয়েছিল।’

আদালত আবার বলেন, ‘তারা যে ভর্তি হতে গিয়েছিল, এমন কোনো ডকুমেন্ট আছে?’ তখন আইনজীবী বলেন, ‘নাই।’

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আসামিরা হিরোইজম দেখিয়েছে, জিরো হয়েছে। ওদের (আসামিদের) তো কোনো ক্ষতি নেই; ক্ষতি ওদের বাবা-মায়ের। ধাক্কাধাক্কি-হাতাহাতি হয়। প্রতিষ্ঠানের লোকজন এনে মিউচুয়াল করে দিল। ফোন করে অন্যদের ডেকে এনে খুনের ঘটনা ঘটাল।’ এরপর আদালত তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত