নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সরকারের সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনলাইন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সংগঠনটি সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, উন্নয়নের জোয়ারে যেন জনগণকে নিষ্পেষিত না করা হয়।
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তাদের বোনাস পাওয়ার বিষয়ে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘ওয়াসা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। অথচ ভোক্তাদের ওপর বাড়তি দামের বোঝা চাপিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে লাভ দেখায়। সেসব কর্মচারী বা কর্মকর্তারা বোনাস পাওয়ার যোগ্য নয় বরং তিরস্কার পাওয়ার যোগ্য?’
গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘প্রশাসনে কিছু আমলা রয়েছেন এবং তাদের সায় দিচ্ছেন কিছু রাজনীতিবিদ। যারা এই রাষ্ট্রকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করতে চাচ্ছেন। বিভিন্ন কাজে তাঁরা সফলও হচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। কিন্তু উন্নয়নের মহাসড়কে জনগণ যদি নিষ্পেষিত হয় তখন কোন উন্নয়নই আর উন্নয়ন হিসেবে বিবেচিত হবে না।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ‘অমিতব্যয়িতা, অব্যবস্থাপনা, ও দুর্নীতি-অপচয়ের সব দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে ভর্তুকি কমানোর পথ বেছে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও সেবার চেয়ে বাণিজ্যের দিকেই এর নজর এখন বেশি।’
রাজশাহীতেও পানির দাম তিনগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। অপরদিকে রমজানে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি রোধে সিলেট বিভাগে ক্যাবের বিশেষ পাইলট কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন সিলেট ক্যাব সভাপতি জামিল চৌধুরী।
ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘ভোক্তার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দাম বাড়ানো আর সহ্য করা যাচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভর্তুকি সরকার আর দিতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গে সমস্বরে ক্যাব নেতা বলেন, ‘এই মূল্য বৃদ্ধি আর সইতে পারছি না।’
ক্যাব সদস্য ও ভোক্তাকণ্ঠ সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, করোনা মহামারির সময়েও ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আরেক দফা বাড়ে দাম। দুই দফায় আবাসিকে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম বেড়েছিল তিন টাকা ৬১ পয়সা (৩১ শতাংশ) এবং বাণিজ্যিকে বেড়েছিল চার টাকা ৯৬ পয়সা (১৩ শতাংশ)।
উল্লেখ্য, নিজের বেতন বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তারা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।’
ক্যাব নেতারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের চাকরিজীবীরা পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। মহাবিপদে আজ দেশের সাধারণ জনগণ। ঢাকা ওয়াসা বোধ করি ভেবেছে, এইতো সময়।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান (রাজু), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভূ-তত্ত্ববিদ বদরুল ইমাম।
প্রতিবাদ সভায় সারা দেশ থেকে ক্যাব-এর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরাও অংশ নেন। তাঁরা পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সরকারের সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনলাইন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সংগঠনটি সরকারকে আরও সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, উন্নয়নের জোয়ারে যেন জনগণকে নিষ্পেষিত না করা হয়।
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তাদের বোনাস পাওয়ার বিষয়ে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘ওয়াসা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। অথচ ভোক্তাদের ওপর বাড়তি দামের বোঝা চাপিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে লাভ দেখায়। সেসব কর্মচারী বা কর্মকর্তারা বোনাস পাওয়ার যোগ্য নয় বরং তিরস্কার পাওয়ার যোগ্য?’
গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘প্রশাসনে কিছু আমলা রয়েছেন এবং তাদের সায় দিচ্ছেন কিছু রাজনীতিবিদ। যারা এই রাষ্ট্রকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করতে চাচ্ছেন। বিভিন্ন কাজে তাঁরা সফলও হচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। কিন্তু উন্নয়নের মহাসড়কে জনগণ যদি নিষ্পেষিত হয় তখন কোন উন্নয়নই আর উন্নয়ন হিসেবে বিবেচিত হবে না।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ‘অমিতব্যয়িতা, অব্যবস্থাপনা, ও দুর্নীতি-অপচয়ের সব দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে ভর্তুকি কমানোর পথ বেছে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও সেবার চেয়ে বাণিজ্যের দিকেই এর নজর এখন বেশি।’
রাজশাহীতেও পানির দাম তিনগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। অপরদিকে রমজানে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি রোধে সিলেট বিভাগে ক্যাবের বিশেষ পাইলট কর্মসূচিকে সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন সিলেট ক্যাব সভাপতি জামিল চৌধুরী।
ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘ভোক্তার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দাম বাড়ানো আর সহ্য করা যাচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভর্তুকি সরকার আর দিতে পারছেন না। তাঁর সঙ্গে সমস্বরে ক্যাব নেতা বলেন, ‘এই মূল্য বৃদ্ধি আর সইতে পারছি না।’
ক্যাব সদস্য ও ভোক্তাকণ্ঠ সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, করোনা মহামারির সময়েও ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আরেক দফা বাড়ে দাম। দুই দফায় আবাসিকে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম বেড়েছিল তিন টাকা ৬১ পয়সা (৩১ শতাংশ) এবং বাণিজ্যিকে বেড়েছিল চার টাকা ৯৬ পয়সা (১৩ শতাংশ)।
উল্লেখ্য, নিজের বেতন বোনাস বৃদ্ধির সময় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান হিসাব দেন, লাভের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত বছরও তারা ৪০ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়ে ইনসেনটিভ বোনাস নিয়েছেন। কিন্তু পানির দাম বাড়ানোর সময় বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।’
ক্যাব নেতারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের চাকরিজীবীরা পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। মহাবিপদে আজ দেশের সাধারণ জনগণ। ঢাকা ওয়াসা বোধ করি ভেবেছে, এইতো সময়।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান (রাজু), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভূ-তত্ত্ববিদ বদরুল ইমাম।
প্রতিবাদ সভায় সারা দেশ থেকে ক্যাব-এর জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরাও অংশ নেন। তাঁরা পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন ওরফে মাটি মতিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের সদস্য আব্দুর রহীম পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে।
৫ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে অর্ধশত দোকান। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ বাজারে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে বাজারের মূল অংশে।
১০ মিনিট আগেচেক জালিয়াতির মামলায় হাজির না হওয়ায় আসামি মোসলেম উদ্দিনের অনুপস্থিতিতেই রায় দিয়েছিলেন আদালত। দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এক বছরের কারাদণ্ড। পাশাপাশি জরিমানা করা হয় ৬০ লাখ টাকা। এ দণ্ড মাথায় নিয়েই সাত বছর লাপাত্তা ছিলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে বাস ও ট্রাকের অন্তত ১৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ফুকরা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে