গাজীপুর প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদ সামনে রেখে যানজট এড়াতে গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটের বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফ্লাইওভার সাতটি উন্মুক্ত করেন।
ফ্লাইওভারগুলো হলো—রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরের বাম ও ডান পাশের ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট দুটি, জসিম উদ্দিন রোডের ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য, গাজীপুরা এলাকার ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-১ ফ্লাইওভার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-২ ফ্লাইওভার, ভোগড়া এলাকায় ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার এবং জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার।
ফ্লাইওভারগুলো উন্মুক্ত করার সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সাতটি ফ্লাইওভার উদ্বোধন নয়, উন্মুক্ত করা হলো। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে এসব ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করায় বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাত্রা আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে। বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয়, এবার আর তা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিআরটি প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের বাস চলাচল করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্পের কারণে বছরের পর বছর ভোগান্তি হয়েছে। আশা করি আর ভোগান্তি হবে না। আমি নিজেও অন্তত ৫০ বার এই প্রকল্প দেখতে এসেছি।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন নেতিবাচকভাবে না নিয়ে একটু ভাবুন। দেখুন এতগুলা প্রজেক্ট হয়েছে, এর মধ্যে একটি প্রজেক্টে একটু সমস্যা হয়েছে। এটি আমরা স্বীকারও করেছি এবং সমস্যা কোথায় সেটিও বলেছি।’
গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস প্রান্তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সড়ক) এ এস এম ইলিয়াস শাহ্, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সেতু) মো. মনিরুল ইসলাম খান, ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, মো. জাকির হোসেন ও আব্দুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রাজধানী থেকে সড়ক পথে গাজীপুরের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। যানজট না থাকলে খুব সহজেই গাজীপুরে আসা যায়। দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গেও গাজীপুরের যোগাযোগ ভালো। গাজীপুরকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। এ পথ দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি এবং উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষ এ পথ ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে গাজীপুরের গুরুত্ব অপরিসীম।
রাজধানীর সঙ্গে দেশের ওই অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১২ সাল রাজধানীর বিমান বন্দর থেকে গাজীপুর ২০.৫ কিলোমিটার সড়ক ও ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য বিআরটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়। আর সময় বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যয়ও বেড়েছে। সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্প চালু হওয়ার পর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ। এখন আশা করা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে পুরো প্রকল্প যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা যাবে।
বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের চারটি বিভাগ। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এডিবি, এএফডি এবং ডিইএফ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-পারেটিভ।
আসন্ন ঈদ সামনে রেখে যানজট এড়াতে গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটের বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফ্লাইওভার সাতটি উন্মুক্ত করেন।
ফ্লাইওভারগুলো হলো—রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরের বাম ও ডান পাশের ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট দুটি, জসিম উদ্দিন রোডের ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য, গাজীপুরা এলাকার ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-১ ফ্লাইওভার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউটার্ন-২ ফ্লাইওভার, ভোগড়া এলাকায় ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার এবং জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার।
ফ্লাইওভারগুলো উন্মুক্ত করার সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সাতটি ফ্লাইওভার উদ্বোধন নয়, উন্মুক্ত করা হলো। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে এসব ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করায় বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে যাত্রা আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে। বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয়, এবার আর তা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে বিআরটি প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের বাস চলাচল করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্পের কারণে বছরের পর বছর ভোগান্তি হয়েছে। আশা করি আর ভোগান্তি হবে না। আমি নিজেও অন্তত ৫০ বার এই প্রকল্প দেখতে এসেছি।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন নেতিবাচকভাবে না নিয়ে একটু ভাবুন। দেখুন এতগুলা প্রজেক্ট হয়েছে, এর মধ্যে একটি প্রজেক্টে একটু সমস্যা হয়েছে। এটি আমরা স্বীকারও করেছি এবং সমস্যা কোথায় সেটিও বলেছি।’
গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস প্রান্তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সড়ক) এ এস এম ইলিয়াস শাহ্, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক (সেতু) মো. মনিরুল ইসলাম খান, ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, মো. জাকির হোসেন ও আব্দুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রাজধানী থেকে সড়ক পথে গাজীপুরের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। যানজট না থাকলে খুব সহজেই গাজীপুরে আসা যায়। দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গেও গাজীপুরের যোগাযোগ ভালো। গাজীপুরকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়। এ পথ দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি এবং উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষ এ পথ ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করেন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে গাজীপুরের গুরুত্ব অপরিসীম।
রাজধানীর সঙ্গে দেশের ওই অঞ্চলের যোগাযোগ সহজ করতে ২০১২ সাল রাজধানীর বিমান বন্দর থেকে গাজীপুর ২০.৫ কিলোমিটার সড়ক ও ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য বিআরটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়। আর সময় বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যয়ও বেড়েছে। সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্প চালু হওয়ার পর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ। এখন আশা করা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে পুরো প্রকল্প যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা যাবে।
বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের চারটি বিভাগ। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এডিবি, এএফডি এবং ডিইএফ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-পারেটিভ।
ভোলায় ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবিতে রোববার (২০ এপ্রিল) সমাবেশ করবেন জেলার সাধারণ মানুষ। সকাল ১০টায় ভোল সদরের বাংলা স্কুল মাঠে হবে এই সমাবেশ। ‘আগামীর ভোলা’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
১৯ মিনিট আগেবেতন-ভাতাবঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশসহ প্রতিবেদন বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (এসএমইউ) উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় নগরের চৌহাট্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্য
২৪ মিনিট আগেগাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া তিনটি বিপন্ন রিংটেইল লেমুরের মধ্যে একটি লেমুর উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় মো. দেলোয়ার হোসেন তওসীফ (২২) নামের এক যুবককে জামালপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামে চকবাজারে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে রিকশাসহ নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৬ মাস বয়সী শিশু সেহেরিশের মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে নিজ বাসার পাশে একটি খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নগরীর চামড়ার গুদাম এলাকার চাক্তাই খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২৬ মিনিট আগে