Ajker Patrika

দুধের শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বিমানে চড়ে রোহিঙ্গা পরিবারের ইয়াবা পরিবহন, বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
দুধের শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বিমানে চড়ে রোহিঙ্গা পরিবারের ইয়াবা পরিবহন, বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

৭ ও ১০ মাস বয়সী দুই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াবার চালান ঢাকায় আনছিল রোহিঙ্গারা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসলে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জনকে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) গোয়েন্দা দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬ হাজার ২৭৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরে তাদের বিমানবন্দর থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

পুলিশ জানায় বেসরকারি বিমান সংস্থা নভো এয়ারের কক্সবাজার থেকে আসা একটি ফ্লাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসার পর ওই পরিবারটিকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পাকস্থলী থেকে ইয়াবা বের করা হয়। 

এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় আজ শুক্রবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে মামলা করা হয়। পরে বিকেলে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। 

ওই রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা হলেন আছিয়া বেগম (২৫), জোহুরা বেগমের (৩০) ও আলী আহমদ (২৮)। আরেকজন শিশু হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হলো না। আটককালে তাদের সঙ্গে আছিয়ার দুগ্ধপোষ্য সাত মাস বয়সী শিশু সন্তান ও জহুরা বেগমের দশ মাস বয়সী শিশুও তাদের সঙ্গে ছিল। তারা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। সবাই কক্সবাজার টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, কক্সবাজার থেকে বিমানে করে বিমানবন্দরে আসার পর ওই রোহিঙ্গা পরিবারটিকে সন্দেহ করে এপিবিএনের গোয়েন্দা দল। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা বাঙালি বলে জানায় এবং ইয়াবা বহনের কথা অস্বীকার করে। একপর্যায়ে তারা রোহিঙ্গা ও পাকস্থলীতে ইয়াবার কথা স্বীকার করে। তখন এক্স-রে করে ইয়াবার বিষয়টি নিশ্চিত হলে, তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে ১৫ বছর বয়সী এক শিশুর পাকস্থলী থেকে ৪০ প্যাকেটে ১৯৩০ পিস, আছিয়ার পাকস্থলী থেকে ৫২ প্যাকেটে মোট ২৫১১ পিস ও জহুরা বেগমের পাকস্থলী থেকে ৩৮ প্যাকেটে ১৮৩৪ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। 

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জিয়াউল হক বলেন, ইয়াবার চোরাচালানের মূল পরিকল্পনাকারী আছিয়া বেগমের স্বামী আলী আহমদের। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে এবং গ্রেপ্তার এড়াতেই এই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত