Ajker Patrika

বাজার থেকে ফেরার পথে অপেক্ষা করছিল মৃত্যু

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
বাজার থেকে ফেরার পথে অপেক্ষা করছিল মৃত্যু

বাজার থেকে তরকারি কিনে বাড়ি ফিরছিলেন জাহান আরা। কিন্তু বাড়িতে তাঁর আর ফেরা হয়নি। পথেই একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে এক শ্রমিক তাঁর ওপর পড়েন। এতে গুরুতর আহত হন জাহান আরা। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আজ বুধবার রাজধানীর দক্ষিণখান ফায়াদাবাদ চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রীণ প্যারাডাইজ নামের একটি অ্যাপার্টমেন্টের ১০ তলা ভবন থেকে এক শ্রমিক পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ওই শ্রমিকও আজ সন্ধ্যায় মারা গেছেন।

জাহান আরার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মা বাসা থেকে তরকারি কিনতে বের হয়েছিলেন। পরে তরকারি কিনে বাসায় ফেরার পথে নির্মাণাধীন ভবনের ওপর থেকে মায়ের ওপর এক শ্রমিক পড়ে যায়। পরে তাঁদের আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার মা মারা যান।’ 

জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনের কাজ করা হচ্ছিল। যার কারণে ওই শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছে। সেই সঙ্গে আমার মায়ের ওপর পড়ায় আমার মা’কেও হারিয়েছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।’ 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই শ্রমিকের নাম আলাউদ্দিন (২০)। তিনি ওই ভবনে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও পথচারীকে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার হাসপাতালে (টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল) পাঠানো হয়। এরপর পথচারী জাহান আরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এবং রাজমিস্ত্রি সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান। 

নিহত ওই রাজমিস্ত্রি নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার কলমা ডাঙ্গা গ্রামের মাহবুব হোসেনের ছেলে। অপরদিকে ওই পথচারী হলেন ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার দিঘা গ্রামের নাসির উদ্দিন খাঁ এর স্ত্রী। তিনি ফায়াদাবাদ চৌরাস্তার মাসুদ মিয়ার ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। 

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন বলেন, নির্মাণাধীন ওই ভবনের ছাদ থেকে একজন নির্মাণশ্রমিক জাহান আরা বেগমের ওপর পড়ে। পরে ওই শ্রমিকসহ জাহান আরা মারা যান। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এসআই বলেন, ‘ওই ভবনের কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থাই ছিল না। বেড়াজালও ছিল না। এ ঘটনায় ওই ভবনের ১৬ জন মালিকের একজনকে আটক করা হয়েছে।’ 

দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটির পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। যদি ভুক্তভোগীর স্বজনেরা মামলা না করে তাহলে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।’ 
 
আজিজুল হক বলেন, ‘আটক ব্যক্তি ভবন মালিকের একজনের আত্মীয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালী সরকারি কলেজে পরিবহন ব্যবস্থার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানববন্ধনে নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সরকারি কলেজে নিজস্ব পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। কর্মসূচিতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, জাতীয় শিক্ষা বোর্ড তথা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী সরকারি কলেজ। এই কলেজে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার অনেক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কলেজের নিজস্ব আবাসনের ব্যবস্থা কম থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিজেদের বাসাবাড়ি থেকে যাতায়াত করেন।

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে ক্যাম্পাসে আসেন। গণপরিবহনে বিভিন্ন সময় চালকদের দুর্ব্যবহার ও শ্রমিকদের হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। এ ছাড়াও অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো শিক্ষার্থী। ৪ নভেম্বর কলেজ থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহান ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানিম হাসান নিহত হন।

দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাচীনতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো নিজস্ব পরিবহন নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে নোয়াখালী সরকারি কলেজের নিজস্ব পরিবহন চালু না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব বহিষ্কার

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫২
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত
বহিষ্কার হওয়া নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নকলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর জেলা শাখার অধীন নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। তাঁর সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল (৫ নভেম্বর) দুপুরে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রাহাত হাসান কাইয়ুম তাঁকে সরকারি কৃষি প্রণোদনা না দেওয়ায় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে তাঁকে পেটান। এ সময় রাহাত হাসান কাইয়ুমের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মী ফজলুও ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এই ঘটনায় কাইয়ুম ও ফজলুর বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসান কাইয়ুম (৩৫) নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোল্লার ছেলে এবং ফজলু (৩২) একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের বিক্ষোভ, তীব্র যানজট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৩
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জামায়াতসহ আট দলের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পল্টন, কাকরাইল, শাপলা চত্বর, মৎস্য ভবন এলাকায় চলা এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পল্টন মোড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে এলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল উপদেষ্টার বাসভবনে গেলে নেতা-কর্মীরা মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান করতে থাকেন।

এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এবং কাকরাইল মোড়ে জড়ো হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে পরে মিছিল নিয়ে পল্টনে আসেন তাঁরা।

এই কর্মসূচির ফলে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্ট, পল্টন, প্রেসক্লাব ও কাকরাইল এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যানবাহন যাওয়ার পথ করে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।
রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করছে জামায়াতসহ ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা।

এক পথচারী বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করা কাম্য না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কী লাভ? যৌক্তিক দাবি থাকলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত।’

যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলগুলো হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ( জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে— জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত: চৌদ্দগ্রামে ৫ নারীর দাফন সম্পন্ন

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ নারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিনজনের ও ফালগুনকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁদের জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী (২৪), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) ও শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫)। এই ঘটনায় চান্দিশকরা ও ফালগুনকরা গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে রওনা দেন উদয় পাটোয়ারী, স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা, ছেলে সামাদ পাটোয়ারী, শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা ও শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান (২২)। রাত আড়াইটার দিকে চৌদ্দগ্রাম থেকে মা রুমি বেগম, বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী এবং শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পীকে গাড়িতে তোলেন।

গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন মারা যান। আহত হন উদয় পাটোয়ারী, তাঁর ছেলে ও শ্যালক। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত