Ajker Patrika

রূপগঞ্জে সেলিম ও মজিবুরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২৫

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
Thumbnail image
রূপগঞ্জে সেলিম প্রধানের অফিস ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকায় পাইকারি আড়ত নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল, গাড়ি ও অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাওঘাট এলাকার বিসমিল্লাহ আড়ত দখল নিয়ে জমির মালিক সেলিম প্রধান ও ইজারাদার মজিবুরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কয়েক দিন আগে উভয় পক্ষের লোকজনকে ডেকে আড়ত থেকে টাকা তুলতে নিষেধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এর মধ্যে গতকাল সোমবার আড়তে মজিবুর গ্রুপের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে সেলিম প্রধানের অনুসারীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মজিবুরের অনুসারীরা বিপুলসংখ্যক লোকজন নিয়ে সেলিম প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে স্বপন, রাজু, আলামীন, বাবু, রফিক, সাগর গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেলিম প্রধানের বাড়িতে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল, ১টি প্রাইভেট কার ও একটি অফিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

সেলিম প্রধান বলেন, ‘আড়ত দখলের জন্য মজিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েক শ সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বাড়িতে থাকা লোকজনকে মারধর ও গুলি করে আহত করেছে। আহতদের অনেকেই এখন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি।’

এ বিষয়ে মজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল করার সময় আমাদের ওপর সেলিম প্রধানের বাড়ি থেকে ইটপাটকেল ও গুলি ছোড়া হয়। এতে সংঘর্ষ বাধে।’

ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘একটি পাইকারি আড়ত নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধের খবর শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। যাঁরা জড়িত তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত