শেখ জাবেরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ
এ এক দিগন্তজোড়া বিল। আর বিলজুড়ে পদ্মফুল। গোলাপি আর সাদা রঙের পদ্ম যেন বিছিয়ে আছে বিছানার মতো।
চারদিকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যত দূর চোখ যায়, শুধু পদ্ম আর পদ্ম। পুরো ফোটা, আধা ফোটা, কুঁড়ি—শত শত ফুল। তিন কোনা বাটির মতো অসংখ্য পদ্মচাক (পদ্মবীজ) মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
বিলের এই রূপ দেখতেই এখানে এখন পর্যটকদের ভিড়। এমন অপরূপ দৃশ্য তো চাইলেই যেকোনো জায়গায় দেখতে পাওয়া যাবে না, তাই কষ্ট করে হলেও সরু রাস্তা বেয়ে এখানে পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষ। সারা দিনের কষ্টকর জীবনযাপনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে একটু আরামের নিশ্বাস নিতে আসছেন এখানে।
গোপালগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে এই বলাকইড় পদ্মবিলের অবস্থান। প্রতিবারের মতো এবারও ফুটেছে পদ্ম, এবারও জয় করছে মানুষের মন।
১৯৮৮ সালের বন্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বলাকইড় গ্রামের এই বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় পদ্মফুল। প্রতিবছর বাড়তে থাকে ফুলের সংখ্যা। মানুষের মুখে মুখে রটে যায় বলাকইড়ের পদ্মের কথা। তখন থেকেই প্রতিবছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রকৃতি তৈরি করে রেখেছে এই আয়োজন, কখনো তা ডিসেম্বর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
এবারের আনন্দটা অন্য মাত্রার। দীর্ঘ দিনে করোনায় ঘরের বন্দিদশা কাটিয়ে অনেকেই বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু প্রশান্তির খোঁজে এ পদ্মবিল দেখতে পারছেন। নৌকায় ঘুরে এর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
চোখ রাখা যাক অন্য আরেক দিকে, যেদিকে চোখ যায় না সচরাচর। যে সময়ে পদ্ম ফোটে বিলে, সে সময় এই এলাকার দরিদ্র মানুষের হাতে কাজও থাকে না। তখন তারা বলাকইড়ের পদ্মবিল থেকে পদ্মফুল তুলে বাজারে বিক্রি করে। শহরে একেকটি ফুল ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। ঢাকা, খুলনা, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যান পাইকারেরা। এর মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের আয়ের একটি পথও তৈরি হয়েছে।
বিলের নয়নাভিরাম দৃশ্যের পাশাপাশি একটি বাজে দৃশ্যও নজর কাড়ে। ঘুরতে আসা মানুষের কেউ কেউ নির্দয়ভাবে বিলের পরিবেশ নষ্ট করছেন। তাঁরা যে খাবার নিয়ে আসছেন, তার প্যাকেট, ময়লা-আবর্জনা নির্দ্বিধায় ফেলে যাচ্ছেন বিলের পানিতে কিংবা বিলের ধারে। স্থানীয় জনগণও একই কাজ করছেন। পরিবেশ নষ্ট না করার আহ্বান মানার তাগিদ খুব একটা দেখা যায় না।
ছবির মতো সুন্দর এই বিলটির কাছে আসার ক্ষেত্রে সরু রাস্তাটা একটা বাধা বটে! গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বলাকইড়ে যে পদ্মবিল রয়েছে, এটি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা। পর্যটকের সুবিধার্থে তাঁদের বিশ্রাম নেওয়ার একটি জায়গার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। সরু একমুখী রাস্তা হওয়ায় দুটো গাড়ি একসঙ্গে যেতে পারে না, এ বিষয়টিও তিনি পর্যটন দপ্তরকে জানিয়েছেন। দেখা যাক, যাতায়াতের সমস্যাটা কাটে কি না।
বিলটির কাছে এলে হৃদয় প্রসারিত হয়। পদ্মবিলটি মানুষের পেটের ও মনের খিদে মেটাচ্ছে। আবর্জনা ছড়িয়ে বিলটি মলিন না করলে, এটি একটি পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠলে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে এসে বলতে পারবেন, ‘বাহ! কী সুন্দর!’
এ এক দিগন্তজোড়া বিল। আর বিলজুড়ে পদ্মফুল। গোলাপি আর সাদা রঙের পদ্ম যেন বিছিয়ে আছে বিছানার মতো।
চারদিকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যত দূর চোখ যায়, শুধু পদ্ম আর পদ্ম। পুরো ফোটা, আধা ফোটা, কুঁড়ি—শত শত ফুল। তিন কোনা বাটির মতো অসংখ্য পদ্মচাক (পদ্মবীজ) মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
বিলের এই রূপ দেখতেই এখানে এখন পর্যটকদের ভিড়। এমন অপরূপ দৃশ্য তো চাইলেই যেকোনো জায়গায় দেখতে পাওয়া যাবে না, তাই কষ্ট করে হলেও সরু রাস্তা বেয়ে এখানে পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষ। সারা দিনের কষ্টকর জীবনযাপনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে একটু আরামের নিশ্বাস নিতে আসছেন এখানে।
গোপালগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে এই বলাকইড় পদ্মবিলের অবস্থান। প্রতিবারের মতো এবারও ফুটেছে পদ্ম, এবারও জয় করছে মানুষের মন।
১৯৮৮ সালের বন্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বলাকইড় গ্রামের এই বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় পদ্মফুল। প্রতিবছর বাড়তে থাকে ফুলের সংখ্যা। মানুষের মুখে মুখে রটে যায় বলাকইড়ের পদ্মের কথা। তখন থেকেই প্রতিবছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রকৃতি তৈরি করে রেখেছে এই আয়োজন, কখনো তা ডিসেম্বর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
এবারের আনন্দটা অন্য মাত্রার। দীর্ঘ দিনে করোনায় ঘরের বন্দিদশা কাটিয়ে অনেকেই বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু প্রশান্তির খোঁজে এ পদ্মবিল দেখতে পারছেন। নৌকায় ঘুরে এর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
চোখ রাখা যাক অন্য আরেক দিকে, যেদিকে চোখ যায় না সচরাচর। যে সময়ে পদ্ম ফোটে বিলে, সে সময় এই এলাকার দরিদ্র মানুষের হাতে কাজও থাকে না। তখন তারা বলাকইড়ের পদ্মবিল থেকে পদ্মফুল তুলে বাজারে বিক্রি করে। শহরে একেকটি ফুল ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। ঢাকা, খুলনা, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যান পাইকারেরা। এর মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের আয়ের একটি পথও তৈরি হয়েছে।
বিলের নয়নাভিরাম দৃশ্যের পাশাপাশি একটি বাজে দৃশ্যও নজর কাড়ে। ঘুরতে আসা মানুষের কেউ কেউ নির্দয়ভাবে বিলের পরিবেশ নষ্ট করছেন। তাঁরা যে খাবার নিয়ে আসছেন, তার প্যাকেট, ময়লা-আবর্জনা নির্দ্বিধায় ফেলে যাচ্ছেন বিলের পানিতে কিংবা বিলের ধারে। স্থানীয় জনগণও একই কাজ করছেন। পরিবেশ নষ্ট না করার আহ্বান মানার তাগিদ খুব একটা দেখা যায় না।
ছবির মতো সুন্দর এই বিলটির কাছে আসার ক্ষেত্রে সরু রাস্তাটা একটা বাধা বটে! গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বলাকইড়ে যে পদ্মবিল রয়েছে, এটি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা। পর্যটকের সুবিধার্থে তাঁদের বিশ্রাম নেওয়ার একটি জায়গার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। সরু একমুখী রাস্তা হওয়ায় দুটো গাড়ি একসঙ্গে যেতে পারে না, এ বিষয়টিও তিনি পর্যটন দপ্তরকে জানিয়েছেন। দেখা যাক, যাতায়াতের সমস্যাটা কাটে কি না।
বিলটির কাছে এলে হৃদয় প্রসারিত হয়। পদ্মবিলটি মানুষের পেটের ও মনের খিদে মেটাচ্ছে। আবর্জনা ছড়িয়ে বিলটি মলিন না করলে, এটি একটি পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠলে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে এসে বলতে পারবেন, ‘বাহ! কী সুন্দর!’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বালু তোলার ড্রেজারের দুই পাইপের মাঝ থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ পুলিশ।
২ মিনিট আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে শরিফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবকের হামলায় তাঁর বড় ভাই আতিয়ার রহমান (৪২) নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের আটপুনিয়া বালুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে।
৩ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সম্রাট ধোলাইখালে একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের ওপর পা দেন। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে মারধর শুরু করে।
৪ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করার সময় তিনজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ষোলোঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগে