Ajker Patrika

আপাতত আইটিডির শেয়ার হস্তান্তর নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২: ১৯
Thumbnail image

ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (আইটিডি) এর শেয়ার হস্তান্তরে হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হয়েছে। তবে আরবিট্রেশন দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করতে উভপক্ষকে হাইকোর্টে যেতে বলেছেন আপিল বিভাগ। 

চায়না সংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো–অপারেশন গ্রুপ লিমিটেডের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। 

ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। 

আর চায়না সংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো–অপারেশন গ্রুপ লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মেহেদী হাছান চৌধুরী।   

ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের পুরো শেয়ার ছিল ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের। পরে এই প্রকল্পের ৪৯ শতাংশ শেয়ার চায়না সংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো–অপারেশন গ্রুপ লিমিটেডসহ দুটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়। তবে তারা আরও শেয়ার নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। বিষয়টি নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে আরবিট্রেশন মামলা করা হয়। তাতে হাইকোর্ট শেয়ার হস্তান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। 

পরে এর বিরুদ্ধে চায়না সংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো–অপারেশন গ্রুপ লিমিটেড চেম্বার আদালতে আবেদন করলে তা নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। 

ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১১ সালে প্রথম ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। কিন্তু ২০১৯ সাল পর্যন্ত অর্থের অভাবে তারা কাজ শুরুই করতে পারেনি। ২০১৯ সালে চায়নার দুটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ৪৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে তাদের মাধ্যমে চায়না এক্সিম ব্য্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে। 

প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৭১ শতাংশ। আর মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। বর্তমানে আইটিডির আর্থিক সমস্যার কারনে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পরায় প্রকল্প অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত