Ajker Patrika

শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি, ক্ষতিপূরণ ও কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি, ক্ষতিপূরণ ও কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

র‍্যালি, শ্রমিক সমাবেশ, লাল পতাকা মিছিলসহ নানান আয়োজনে আজ রোববার পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। এবারের মে দিবসে শ্রমিক সংগঠনগুলো শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার এবং কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে। মে দিবসের বিভিন্ন আয়োজনে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে শ্রমিকেরা কঠিন জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় তাঁদের আইন প্রদত্ত অধিকারসমূহের যথাযথ নিশ্চয়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। 

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব ও পল্টনে মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ ও র‍্যালি করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার, ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ, বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, জাতীয় শ্রমিক দল, বাংলাদেশ ইসলামি শ্রমিক আন্দোলনসহ একাধিক সংগঠন। 

এসব সংগঠন শ্রমিকের সম্মানজনক জীবনযাপন উপযোগী জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করা, অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিকের শ্রম আইনের আওতায় নিয়ে আসা, শ্রমিকদের ডেটাবেইস তৈরি ও পরিচয়পত্র প্রদান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কর্মক্ষেত্রে আহত ও নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, পেনশন, রেশন, আবাসন ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা প্রদানসহ নানান দাবি তুলে ধরেন। 

পল্টনের শ্রমিক সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯২ ভাগ শ্রমজীবী মানুষ। এই দেশে শ্রমিকের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শ্রমিকের অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত না হয় এবং বড় লোকের শাসন যেন চিরস্থায়ী হয় সে জন্য আমাদের ভোটের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ ভোট দিতে পারলে, শ্রমিকেরা জিনিসের দাম কমাতে বলবে। এই বড়লোকেরা শ্রমিকদের শোষণ করে তাদের দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে।’ 

প্রেসক্লাবের সমাবেশে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি ও বৈষম্যের এক কঠিন পরিস্থিতিতে এ বছর মে দিবস এসেছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানে আইনত বাধা না থাকলেও ছলে-বলে শ্রমিক ও কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো শ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই শ্রমজীবী মানুষের সম্মানজনক বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ 

 ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগোতে অনুষ্ঠিত শ্রমিক আন্দোলনকে ভিত্তি বছর ধরলে আজ ১৩৬ তম মে দিবস। সেদিন শ্রমিকেরা ৮ ঘণ্টা কাজ ও ন্যায্য মজুরিসহ অন্যান্য শ্রম অধিকারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেদিনের আত্মত্যাগ ও সুদীর্ঘ সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্বব্যাপী ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশেও এ বছর ‘শ্রমিক মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ যে উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রাষ্ট্রের সমৃদ্ধিতে তাঁদের অবদান রয়েছে এবং তাঁদের একতা যে শক্তি হিসেবে বিরাট—এ উপলব্ধি সৃষ্টিতে এবং স্বীকৃতি অর্জনে মহান মে দিবসের অবদান অবিস্মরণীয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত