Ajker Patrika

সাটুরিয়ায় বিধবা নারীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সাটুরিয়ায় বিধবা নারীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক বিধবা নারীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়া থানা-পুলিশ ওই নারীকে হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। 

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে সাটুরিয়া উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রতিবেশীরা জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ওই বিধবা নারীর ঘরের দরজা ভাঙা। পরে ঘরের ভেতরে গিয়ে দেখি খাটের সঙ্গে বিধবা নারীর হাত-পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা। সে মুখের বাঁধন খুলে দেওয়ার জন্য হাউমাউ করছে। বিষয়টি দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ওই বিধবা নারীকে উদ্ধার করে। 

বিধবা নারী ওই নারী জানান, ‘আ. রহমানের ছেলে রাহাদুল ইসলাম গভীর রাতে আমার শয়ন কক্ষে ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকে। এরপর সে আমার প্রথমে মুখ বাঁধে পরে খাটের সাথে হাত-পা বেঁধে সারা রাত ধর্ষণ করে। আমার মুখ ও হাত-পা বাঁধা থাকায় আমি চিৎকার করতে পারিনি। প্রতিবেশীরা সকালে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। পরে এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার আমি বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেছি।’ 

ওই বিধবা নারী আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে ওই রাহাদুল ইসলাম আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখনো এ বিষয়ে আদালতে বখাটে রাহাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। ওই মামলা তুলে না নেওয়ায় পুনরায় ধর্ষণ করার হুমকি দেয় আমাকে। সে বুধবার রাতে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের সময় রাহাদুলের সাথে সাইয়েদুর নামে এক ব্যক্তি তাঁকে সহযোগিতা করে।’ 

এ বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত রাহাদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি যড়যন্ত্রের শিকার। আমি ওই নারীকে ধর্ষণ করিনি। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’ কেন ফাঁসানোর চেষ্টা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই বিধবা মহিলা আমার কাছে মাঝে মধ্যে টাকা চাইত। টাকা না দিলেই সে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিত।’ 

এ নিয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ভোরে একটি ফোন পেয়ে এক নারীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ঘরের ভেতর থেকে জীবিত উদ্ধার করি। পরে এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ধর্ষককে ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত