সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রাজধানীবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুরে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। তবে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূর থেকে পানি সরবরাহের এমন পরিকল্পনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে বাড়তে পারে পানির দাম। তাই ঢাকার আশপাশের নদীগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ তাদের।
‘গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প’ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘সরবরাহ লাইন’ নির্মাণে চীনা কোম্পানি ‘চায়না জিও-ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের’ সঙ্গে চুক্তি করেছে ঢাকা ওয়াসা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান ও চায়না জিও-ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান কিন ইয়ং চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের মেঘনা নদী থেকে পানি এনে গন্ধর্বপুরে শোধন করা হবে। পরিশোধিত পানি ১৪ কিলোমিটার পাইপ লাইনে আনা হবে ঢাকার ভাটারা এলাকায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূর থেকে সরবরাহ করা হবে পানি। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ উৎস হতে পানির সংস্থান করা। এতে শোধনাগারের মাধ্যমে মেঘনা নদী হতে পানি উত্তোলন ও সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হবে। এই শোধনাগার প্রকল্পের প্রথম ফেজ দৈনিক ৫০ কোটি লিটার শোধন করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের প্রথম প্যাকেজে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৮ কোটি টাকা।
সুপেয় পানি সরবরাহের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞ ড. এ আতিক রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করলে ভবিষ্যতে ঢাকা শুকিয়ে যাবে। মেঘনা নদীর পানি ব্যবহারে ওয়াসা বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ।
তবে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘এত দূর থেকে পানি আনা ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। এই ব্যয় ভার জনগণের ওপর পড়বে। সে জন্য আমাদের সাশ্রয়ী মনোভাব পোষণ করতে হবে। পানির অপচয় কমাতে হবে।’
এই প্রকল্পকে বেশি দামে পানি খাওয়ানোর প্রকল্প দাবি করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকার বাণিজ্যিক দর্শনে হাঁটছে। বিদেশের ঋণের টাকায় এত দূর থেকে পানি আনলে, পানির দাম অনেক বাড়বে। দীর্ঘ পাইপ লাইনের কারণে থাকবে দূষিত হওয়ার ভয়ও। ঢাকার চারপাশে চারটা নদী থাকা সত্ত্বেও মেঘনা থেকে পানি আনা আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার চারপাশের নদী দখলদারদের দিয়ে দেওয়ার শামিল।’
ঢাকা ওয়াসার পানির দাম নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকা ওয়াসার প্রতি লিটার পানি উৎপাদনে খরচ পড়ে ২২-২৫ টাকা। আর প্রতিষ্ঠানটি এই পানি বিক্রি করছে মাত্র ১৫ টাকায়। প্রায় ১০ টাকার মতো ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।’ এভাবে ভর্তুকি দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
এ বিষয়ে ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হিসাব করেছি, প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও পানির দাম বাড়বে না। প্রতি লিটার পানিতে ২২ থেকে ২৫ টাকার বেশি খরচ হবে না।’
সহিদ আরও বলেন, ‘নদীগুলোর অবস্থা কেমন, সেটা দেখতে হবে। কালা কাউকে সাদা রং করলে কত সাদা থাকবে। সেই হিসেবে মেঘনার পানি অনেক ভালো আছে।’
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ঢাকা ওয়াসা) তথ্যমতে, সংস্থাটি বর্তমানে ৪০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত ঢাকা মহানগরী এলাকায় প্রায় ১৫ মিলিয়ন জনসাধারণকে সুপেয় পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর উত্তর পশ্চিমাংশ ও এর কাছাকাছি এলাকাগুলোয় পানি সরবরাহের মূল উৎস গভীর নলকূপের মাধ্যমে উত্তোলিত ভূ-গর্ভস্থ পানি। কিন্তু প্রতি বছর ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে, ফলে গভীর নলকূপগুলোর পানি উত্তোলন ক্ষমতা প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে।
রাজধানীবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুরে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। তবে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূর থেকে পানি সরবরাহের এমন পরিকল্পনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে বাড়তে পারে পানির দাম। তাই ঢাকার আশপাশের নদীগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ তাদের।
‘গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প’ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘সরবরাহ লাইন’ নির্মাণে চীনা কোম্পানি ‘চায়না জিও-ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের’ সঙ্গে চুক্তি করেছে ঢাকা ওয়াসা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান ও চায়না জিও-ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান কিন ইয়ং চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের মেঘনা নদী থেকে পানি এনে গন্ধর্বপুরে শোধন করা হবে। পরিশোধিত পানি ১৪ কিলোমিটার পাইপ লাইনে আনা হবে ঢাকার ভাটারা এলাকায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূর থেকে সরবরাহ করা হবে পানি। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ উৎস হতে পানির সংস্থান করা। এতে শোধনাগারের মাধ্যমে মেঘনা নদী হতে পানি উত্তোলন ও সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হবে। এই শোধনাগার প্রকল্পের প্রথম ফেজ দৈনিক ৫০ কোটি লিটার শোধন করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের প্রথম প্যাকেজে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৮ কোটি টাকা।
সুপেয় পানি সরবরাহের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞ ড. এ আতিক রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করলে ভবিষ্যতে ঢাকা শুকিয়ে যাবে। মেঘনা নদীর পানি ব্যবহারে ওয়াসা বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটা ভালো উদ্যোগ।
তবে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘এত দূর থেকে পানি আনা ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। এই ব্যয় ভার জনগণের ওপর পড়বে। সে জন্য আমাদের সাশ্রয়ী মনোভাব পোষণ করতে হবে। পানির অপচয় কমাতে হবে।’
এই প্রকল্পকে বেশি দামে পানি খাওয়ানোর প্রকল্প দাবি করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকার বাণিজ্যিক দর্শনে হাঁটছে। বিদেশের ঋণের টাকায় এত দূর থেকে পানি আনলে, পানির দাম অনেক বাড়বে। দীর্ঘ পাইপ লাইনের কারণে থাকবে দূষিত হওয়ার ভয়ও। ঢাকার চারপাশে চারটা নদী থাকা সত্ত্বেও মেঘনা থেকে পানি আনা আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার চারপাশের নদী দখলদারদের দিয়ে দেওয়ার শামিল।’
ঢাকা ওয়াসার পানির দাম নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকা ওয়াসার প্রতি লিটার পানি উৎপাদনে খরচ পড়ে ২২-২৫ টাকা। আর প্রতিষ্ঠানটি এই পানি বিক্রি করছে মাত্র ১৫ টাকায়। প্রায় ১০ টাকার মতো ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।’ এভাবে ভর্তুকি দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
এ বিষয়ে ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হিসাব করেছি, প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও পানির দাম বাড়বে না। প্রতি লিটার পানিতে ২২ থেকে ২৫ টাকার বেশি খরচ হবে না।’
সহিদ আরও বলেন, ‘নদীগুলোর অবস্থা কেমন, সেটা দেখতে হবে। কালা কাউকে সাদা রং করলে কত সাদা থাকবে। সেই হিসেবে মেঘনার পানি অনেক ভালো আছে।’
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ঢাকা ওয়াসা) তথ্যমতে, সংস্থাটি বর্তমানে ৪০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত ঢাকা মহানগরী এলাকায় প্রায় ১৫ মিলিয়ন জনসাধারণকে সুপেয় পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর উত্তর পশ্চিমাংশ ও এর কাছাকাছি এলাকাগুলোয় পানি সরবরাহের মূল উৎস গভীর নলকূপের মাধ্যমে উত্তোলিত ভূ-গর্ভস্থ পানি। কিন্তু প্রতি বছর ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে, ফলে গভীর নলকূপগুলোর পানি উত্তোলন ক্ষমতা প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে।
এবার আরও বড় পরিসরে শুরু হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা। বিভাগীয় প্রশাসন ও জাতীয় গণগ্রন্থাগারের যৌথ আয়োজনে আগামী ৩১ অক্টোবর রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে শুরু হবে ৯ দিনব্যাপী এ বইমেলা। চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এ উপলক্ষে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে...
৯ মিনিট আগেজনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৬ জনের নামে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪৪ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক নারী সদস্য জাহানারা বেগমের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
১ ঘণ্টা আগে১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া অধ্যাপক শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ
১ ঘণ্টা আগে