Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জিসান হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৩২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। রায়ে সজনী আক্তার নামের এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের মধ্যে শাওন পলাতক। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি শরীফুল ইসলাম লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সাজাপ্রাপ্ত হাসিব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের রফিকুল ইসলামের ছেলে, শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ওবায়দুল্লাহ মোল্লার ছেলে এবং নোমান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরনের জাকির হোসেন ওরফে খোকনের ছেলে।

জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন জিসান পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) কাজ করতেন। ২০১৯ সালের ১২ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলীর সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ গাজীপুরের গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানায়ও জিডি করেন। ২৩ মে গাছা থানাধীন মধ্য কামার জুড়ির হাসিবুল হোসেনের বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন সহিদ ২৩ মে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই সুজানুর ইসলাম।

২০২২ সালের ৩০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত