জাবি সংবাদদাতা
বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং মব জাস্টিস বন্ধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বক্তারা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় হাসিব জামান বলেন, ‘শামীম মোল্লার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে আমরা অসংগতি লক্ষ করেছি। কমিটিতে এমন দুজন শিক্ষক রয়েছেন, যাঁরা নিজেরা এই ঘটনার বিচার দাবি করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। একজন বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে সুষ্ঠু বিচার আশা করা যায় না। আমরা অনতিবিলম্বে এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রক্টর অফিসে যখন তাকে তালা ভেঙে মারতে যাওয়া হয় তখন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কোথায় ছিলেন? যারা মেরেছে এবং যারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে উভয়ই সমান অপরাধী। শামীম মোল্লা একজন মাদক কারবারি ছিল। তারা সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অনেকে যুক্ত থাকতে পারে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্ত করে বের করতে হবে এটি মব জাস্টিস না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আর হত্যা মামলার আসামি সুদীপ্ত শাহিন কীভাবে বাদী হয়ে মামলা করে।’
নাটক ও নাট্যতত্ত্বের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়ার পরও আজ আমরা অনিরাপদ, এ অনিরাপদ বাংলাদেশ চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি মব জাস্টিস করতে চায়, অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে এই ক্যাম্পাসে চাই না। ১৮ তারিখ প্রক্টর অফিসে একজন লোককে পেটায় মারে নিরাপত্তাকর্মীদের সামনে, তার ব্যবস্থা এখনো করতে পারে নাই প্রশাসন। যে মাদকের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি, সেই মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো যারা ১৫ জুলাইয়ে হামলা ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের তালিকা এখনো প্রকাশ করতে পারে নাই। অতি দ্রুত সেই তালিকা প্রকাশ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, এখনো তার প্রতিফলন দেখতে পাইনি। আমরা চেয়েছিলাম দেশের সব প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। কিন্তু কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র–জনতা আমাদের এই আশাকে ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। এইটা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।’
এ সময় তিনি চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে চার দফা দাবি জানান ৷
দাবিগুলো হলো—
১. সারা দেশে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ এবং মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে।
২. ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার হত্যার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নিরাপত্তা শাখায় কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা শাখা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভূমিকা তদন্ত করতে হবে।
৪. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ে হামলাকারীদের নামে মামলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হন। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং মব জাস্টিস বন্ধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বক্তারা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় হাসিব জামান বলেন, ‘শামীম মোল্লার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে আমরা অসংগতি লক্ষ করেছি। কমিটিতে এমন দুজন শিক্ষক রয়েছেন, যাঁরা নিজেরা এই ঘটনার বিচার দাবি করে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। একজন বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে সুষ্ঠু বিচার আশা করা যায় না। আমরা অনতিবিলম্বে এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করার দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ র ক রাসেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রক্টর অফিসে যখন তাকে তালা ভেঙে মারতে যাওয়া হয় তখন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা কোথায় ছিলেন? যারা মেরেছে এবং যারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে উভয়ই সমান অপরাধী। শামীম মোল্লা একজন মাদক কারবারি ছিল। তারা সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অনেকে যুক্ত থাকতে পারে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্ত করে বের করতে হবে এটি মব জাস্টিস না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আর হত্যা মামলার আসামি সুদীপ্ত শাহিন কীভাবে বাদী হয়ে মামলা করে।’
নাটক ও নাট্যতত্ত্বের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়ার পরও আজ আমরা অনিরাপদ, এ অনিরাপদ বাংলাদেশ চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি মব জাস্টিস করতে চায়, অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে এই ক্যাম্পাসে চাই না। ১৮ তারিখ প্রক্টর অফিসে একজন লোককে পেটায় মারে নিরাপত্তাকর্মীদের সামনে, তার ব্যবস্থা এখনো করতে পারে নাই প্রশাসন। যে মাদকের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি, সেই মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো যারা ১৫ জুলাইয়ে হামলা ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের তালিকা এখনো প্রকাশ করতে পারে নাই। অতি দ্রুত সেই তালিকা প্রকাশ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, এখনো তার প্রতিফলন দেখতে পাইনি। আমরা চেয়েছিলাম দেশের সব প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। কিন্তু কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র–জনতা আমাদের এই আশাকে ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। এইটা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।’
এ সময় তিনি চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে চার দফা দাবি জানান ৷
দাবিগুলো হলো—
১. সারা দেশে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ এবং মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে।
২. ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার হত্যার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নিরাপত্তা শাখায় কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা শাখা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভূমিকা তদন্ত করতে হবে।
৪. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ে হামলাকারীদের নামে মামলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হন। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে