ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ভাঙ্গায় দিন দিন বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা। এদের মধ্যে অটো ও ভ্যানচালকের সংখ্যাই বেশি। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর। মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় অটো-ভ্যান তৈরি করে তারা নেমে যাচ্ছে সড়ক-মহাসড়কে। অধিকাংশেরই পরিবহন চালানোর নেই কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা।
ভাঙ্গার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে প্রতিদিন এই শিশু চালকদের জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও উপজেলার তুজারপুর, মালিগ্রাম, কাউলিবেড়া, পুলিয়া, পুখুরিয়া, মুনসুরাবাদ ও ঘারুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে দেখা মেলে এসব শিশুশ্রমিকের।
হামিরদী বাসস্ট্যান্ডের ভ্যানচালক রিফাত (১৩) জানায়, তার বাবা আগে ভ্যান চালাতেন। এখন শয্যাশায়ী। করোনাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন থেকে উপার্জনের জন্য সে বাবার ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। বাবার ওষুধের টাকা ও পরিবারের খরচ মেটানোর দায়িত্ব এখন তার কাঁধে।
পুরব সদরদী এলাকার ভ্যানচালক জুবায়ের (১৪) বলে, ‘অভাবে পড়ে সংসারের হাল ধরার জন্য এ পেশায় এসেছি। বাবার একার আয়ে সংসার চলে না। তাই এ পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছি। করোনার আগে আমি একটি স্কুলে পড়তাম।’
ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনাকালীন কাজ না থাকায় ছোট পরিবারগুলোর পুঁজি নিঃশেষ করে ফেলেছে। ফলে উপায় না পেয়ে কিংবা ঋণের টাকার কিস্তি শোধ করার জন্য দরিদ্র পরিবারের শিশুরা পরিচয় বিসর্জন দিয়ে বিভিন্ন শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়েছে। এদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা দরকার।’
উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা ইলা রানী কুন্ডু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় কেউ কেউ শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা ওই শিশুদের চিহ্নিত করে তাদের মা-বাবাকে বোঝাব। যাতে ওই শিশুরা ভ্যান চালানো বা অন্য কোনো কাজ না করে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসে। সচেতনতা জাগ্রত করাই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে আমি মনে করি।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনাকালীন অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অভিভাবক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ছাঁটাই হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আমরা স্কুলভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে ঝরে পড়া শিশুদের ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
ভাঙ্গায় দিন দিন বাড়ছে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা। এদের মধ্যে অটো ও ভ্যানচালকের সংখ্যাই বেশি। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর। মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় অটো-ভ্যান তৈরি করে তারা নেমে যাচ্ছে সড়ক-মহাসড়কে। অধিকাংশেরই পরিবহন চালানোর নেই কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা।
ভাঙ্গার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে প্রতিদিন এই শিশু চালকদের জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও উপজেলার তুজারপুর, মালিগ্রাম, কাউলিবেড়া, পুলিয়া, পুখুরিয়া, মুনসুরাবাদ ও ঘারুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কে দেখা মেলে এসব শিশুশ্রমিকের।
হামিরদী বাসস্ট্যান্ডের ভ্যানচালক রিফাত (১৩) জানায়, তার বাবা আগে ভ্যান চালাতেন। এখন শয্যাশায়ী। করোনাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন থেকে উপার্জনের জন্য সে বাবার ভ্যান নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। বাবার ওষুধের টাকা ও পরিবারের খরচ মেটানোর দায়িত্ব এখন তার কাঁধে।
পুরব সদরদী এলাকার ভ্যানচালক জুবায়ের (১৪) বলে, ‘অভাবে পড়ে সংসারের হাল ধরার জন্য এ পেশায় এসেছি। বাবার একার আয়ে সংসার চলে না। তাই এ পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছি। করোনার আগে আমি একটি স্কুলে পড়তাম।’
ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনাকালীন কাজ না থাকায় ছোট পরিবারগুলোর পুঁজি নিঃশেষ করে ফেলেছে। ফলে উপায় না পেয়ে কিংবা ঋণের টাকার কিস্তি শোধ করার জন্য দরিদ্র পরিবারের শিশুরা পরিচয় বিসর্জন দিয়ে বিভিন্ন শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়েছে। এদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা দরকার।’
উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা ইলা রানী কুন্ডু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। করোনাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায় কেউ কেউ শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়েছে। আমরা ওই শিশুদের চিহ্নিত করে তাদের মা-বাবাকে বোঝাব। যাতে ওই শিশুরা ভ্যান চালানো বা অন্য কোনো কাজ না করে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসে। সচেতনতা জাগ্রত করাই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে আমি মনে করি।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনাকালীন অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক অভিভাবক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ছাঁটাই হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আমরা স্কুলভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে ঝরে পড়া শিশুদের ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫টি। এসব হাসপাতালে চিকিৎসকের মোট পদ ১ হাজার ২১৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৫৩১ জন, পদ শূন্য ৬৮৩টি। চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল থাকায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের বাধ্য...
৫ মিনিট আগেঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
১২ মিনিট আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
১৬ মিনিট আগে