নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহদ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিশ্বাস ও নীতিবোধের জায়গা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। অনেক সময় অনেক সমালোচনার মুখেও হয়তো পড়েছিলেন, কিন্তু তার পরেও তিনি বিচ্যুত হননি।
আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহে সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিচার বিভাগে সাহাবুদ্দিন আহমদ যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে তাঁকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। কারণ তখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একসঙ্গে ছিল। তাদের মধ্যে মতপার্থক্যও ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে, সবাইকে সফলতার সঙ্গে একটা জার্নিতে নিয়ে যাওয়া কঠিন কাজ ছিল। সেটা তিনি দক্ষতার সঙ্গে করেছিলেন বলে আমি মনে করি।’
আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তাঁর ভূমিকা ছিল কঠোর। সেই সময় দুটি প্রস্তাব ছিল—একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা, আরেকটি হলো সংসদীয় সরকার। উনি দৃঢ়ভাবে সংসদীয় সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। উনি বিশ্বাস করতেন যে সংসদীয় গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের দেশে রাজনীতিতে কোনো বিকল্প নেই। এখানে যেকোনো রাষ্ট্রপতি, যেকোনো মুহূর্তে স্বৈরশাসকে পরিণত হতে পারেন। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে সেই সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, সাহাবুদ্দীন আহমদ সম্পর্কে আসাদুজ্জামান নূরের ভাইয়ের শ্বশুর। আত্মীয়তার সম্পর্ক কখনোই কর্মজীবনে প্রভাব পড়েনি বলে জানান নূর। একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘তিনি যখন প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন আমার মাকে ফোন করে বলেছিলেন, আমি যেন তাদের বাসভবনে যাওয়া-আসা না করি। যেহেতু আমি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।’
সাবেক এই সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পক্ষে তাঁর সম্পর্কে বলা কঠিন। কারণ আমরা ঘনিষ্ঠ পরিবেশে তাঁকে দেখেছি। সেক্ষেত্রে মূল্যায়ন কঠিন কাজ। আমি তাঁকে যেহেতু পারিবারিকভাবে দেখেছি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি, তিনি একজন সরল, সহজ, স্বচ্ছ, সৎ ও নির্ভীক মানুষ ছিলেন। আমরা যারা আত্মীয়স্বজন ছিলাম।’
সাহাবুদ্দীন আহমদের ছোট ছেলে সোহেল আহমদ বলেন, ‘বাবা তাঁর কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়ই এই ভবনে (সুপ্রিম কোর্ট) ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে উনি মনেপ্রাণে একজন বিচারক ছিলেন। ওনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, সন্তান ও অধীনস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবহারে তাই মনে হয়েছে। তিনি সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার করতেন।’
সাহাবুদ্দীন আহমদ গত ১২ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানান সোহেল আহমদ। তিনি বলেন, ‘ওই সময় থেকেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজখবর নিয়েছিলেন, শেষ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছিল। এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধান বিচারপতিও গত এক মাস ধরে আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। চিকিৎসার ব্যাপারে সব সহযোগিতা করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকেও নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হয়েছিল। সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহদ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিশ্বাস ও নীতিবোধের জায়গা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। অনেক সময় অনেক সমালোচনার মুখেও হয়তো পড়েছিলেন, কিন্তু তার পরেও তিনি বিচ্যুত হননি।
আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহে সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিচার বিভাগে সাহাবুদ্দিন আহমদ যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে তাঁকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। কারণ তখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল একসঙ্গে ছিল। তাদের মধ্যে মতপার্থক্যও ছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে, সবাইকে সফলতার সঙ্গে একটা জার্নিতে নিয়ে যাওয়া কঠিন কাজ ছিল। সেটা তিনি দক্ষতার সঙ্গে করেছিলেন বলে আমি মনে করি।’
আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তাঁর ভূমিকা ছিল কঠোর। সেই সময় দুটি প্রস্তাব ছিল—একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থা, আরেকটি হলো সংসদীয় সরকার। উনি দৃঢ়ভাবে সংসদীয় সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। উনি বিশ্বাস করতেন যে সংসদীয় গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের দেশে রাজনীতিতে কোনো বিকল্প নেই। এখানে যেকোনো রাষ্ট্রপতি, যেকোনো মুহূর্তে স্বৈরশাসকে পরিণত হতে পারেন। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে সেই সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, সাহাবুদ্দীন আহমদ সম্পর্কে আসাদুজ্জামান নূরের ভাইয়ের শ্বশুর। আত্মীয়তার সম্পর্ক কখনোই কর্মজীবনে প্রভাব পড়েনি বলে জানান নূর। একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘তিনি যখন প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন আমার মাকে ফোন করে বলেছিলেন, আমি যেন তাদের বাসভবনে যাওয়া-আসা না করি। যেহেতু আমি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।’
সাবেক এই সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পক্ষে তাঁর সম্পর্কে বলা কঠিন। কারণ আমরা ঘনিষ্ঠ পরিবেশে তাঁকে দেখেছি। সেক্ষেত্রে মূল্যায়ন কঠিন কাজ। আমি তাঁকে যেহেতু পারিবারিকভাবে দেখেছি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি, তিনি একজন সরল, সহজ, স্বচ্ছ, সৎ ও নির্ভীক মানুষ ছিলেন। আমরা যারা আত্মীয়স্বজন ছিলাম।’
সাহাবুদ্দীন আহমদের ছোট ছেলে সোহেল আহমদ বলেন, ‘বাবা তাঁর কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়ই এই ভবনে (সুপ্রিম কোর্ট) ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে উনি মনেপ্রাণে একজন বিচারক ছিলেন। ওনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, সন্তান ও অধীনস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবহারে তাই মনে হয়েছে। তিনি সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার করতেন।’
সাহাবুদ্দীন আহমদ গত ১২ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানান সোহেল আহমদ। তিনি বলেন, ‘ওই সময় থেকেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজখবর নিয়েছিলেন, শেষ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছিল। এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধান বিচারপতিও গত এক মাস ধরে আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। চিকিৎসার ব্যাপারে সব সহযোগিতা করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকেও নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হয়েছিল। সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের পর শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারানো শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী তাঁর নিজ গ্রামে শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার নীলফামারীর ডিমলায় ওই শিক্ষকের গ্রামের লোকজনের কাছে এ কথা জানা যায়।
১ মিনিট আগেগয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সবাই আমরা শোকাহত, কোনো ভাষা নাই। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। মৃত্যু মনে হয় ২৭ ছাড়িয়েছে। যারা বেঁচে থাকবে, তারাও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবে না। যে শিশুরা মরে গেল, তাদের মা-বাবার চোখের জল কী দিয়ে পূরণ করব?’
২০ মিনিট আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সব শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ থাকা দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সিআর আবরারকে নিরাপদে বের করে আনতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৪ মিনিট আগেঢাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফনের প্রস্তুতি চলছে রাজশাহীতে। নগরের সপুরা গোরস্থানে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কবর খননের কাজ শুরু হয়।
৩৯ মিনিট আগে