গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নতুন শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যে বিতরণের বই পাওয়া গেছে ভাঙারি ফেরিওয়ালার গাড়িতে। কেজি দরে ওই বই এক প্রধান শিক্ষক বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার কাশিয়ানীর মাহমুদপুর ইউনিয়নের বই বিক্রির এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বইগুলো জব্দ করেন।
বিক্রি করা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে-মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, চারুপাঠ, কৃষি শিক্ষা, আনন্দপাঠ, গার্হস্থসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে গোপনে ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সরকারি বিনা মূল্যে বিতরণের বই ৩০ টাকা কেজি দরে দুই ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাস। দুই ফেরিওয়ালার কাছে ওই বই দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ফেরিওয়ালারা জানান, তাঁরা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইগুলো ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে এনেছেন।
শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভাঙারিবোঝাই ফেরিওয়ালাদের একটি ভ্যান ও দুজন লোককে দেখতে পায়। তাঁরা সেখানে কি করছেন বলে জানতে চান তিনি। এ সময় তাঁরা জানান, ওই স্কুল থেকে কিছু বই কিনে সেখানে দাঁড়ায়ে আছেন। পরে তাঁরা কিনে আনা বইগুলো দেখান। বইগুলোর ওপরে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ লেখা রয়েছে দেখতে পেয়ে তাঁদের আটক করে ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানান কাওছার শেখ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রামপুলিশ পাঠালে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে বইগুলো জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কাওছার শেখ নামে এক ফেরিওয়ালা বলেন, ‘বইগুলো শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাসের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। তাঁর কাছ থেকে মোট ৩০ কেজি বই কেনা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাসের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো বই বিক্রি করিনি। আমি এখন কাজে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।’ এ কথা বলে কলটি কেটে দেন তিনি।
কাশিয়ানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগম বলেন, বিক্রি করা বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক গ্রামপুলিশ পাঠানো হয়। পরে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ. কে. এম হেদায়েতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বই বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নতুন শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যে বিতরণের বই পাওয়া গেছে ভাঙারি ফেরিওয়ালার গাড়িতে। কেজি দরে ওই বই এক প্রধান শিক্ষক বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার কাশিয়ানীর মাহমুদপুর ইউনিয়নের বই বিক্রির এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বইগুলো জব্দ করেন।
বিক্রি করা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে-মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, চারুপাঠ, কৃষি শিক্ষা, আনন্দপাঠ, গার্হস্থসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল দুপুর ২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে গোপনে ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সরকারি বিনা মূল্যে বিতরণের বই ৩০ টাকা কেজি দরে দুই ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাস। দুই ফেরিওয়ালার কাছে ওই বই দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ফেরিওয়ালারা জানান, তাঁরা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইগুলো ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে এনেছেন।
শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা ইমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি স্কুলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভাঙারিবোঝাই ফেরিওয়ালাদের একটি ভ্যান ও দুজন লোককে দেখতে পায়। তাঁরা সেখানে কি করছেন বলে জানতে চান তিনি। এ সময় তাঁরা জানান, ওই স্কুল থেকে কিছু বই কিনে সেখানে দাঁড়ায়ে আছেন। পরে তাঁরা কিনে আনা বইগুলো দেখান। বইগুলোর ওপরে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ লেখা রয়েছে দেখতে পেয়ে তাঁদের আটক করে ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানান কাওছার শেখ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রামপুলিশ পাঠালে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে বইগুলো জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কাওছার শেখ নামে এক ফেরিওয়ালা বলেন, ‘বইগুলো শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাসের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। তাঁর কাছ থেকে মোট ৩০ কেজি বই কেনা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু বিশ্বাসের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো বই বিক্রি করিনি। আমি এখন কাজে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।’ এ কথা বলে কলটি কেটে দেন তিনি।
কাশিয়ানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগম বলেন, বিক্রি করা বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক গ্রামপুলিশ পাঠানো হয়। পরে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ. কে. এম হেদায়েতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বই বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৩ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
৩ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৩ ঘণ্টা আগে