সাইফুল মাসুম
ঢাকা: কাকরাইল মোড় থেকে আল মক্কা বাসে নাবিস্কোর বাসায় ফিরছিলেন বেসরকারি কর্মজীবী হৃদয় খান (২৬)। সাড়ে সাতটার সময় মগবাজার ওয়ারলেস গেট এলাকা দিয়ে তাদের বাস যখন যাচ্ছিল তখন এক বিকট শব্দ কানে আসে তাঁর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই তিন সেকেন্ডে মধ্যে জানালার কাচ ভেঙে তাঁর পড়ে গায়ে। মাথা ও পুরো শরীর কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। আশপাশের মানুষের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকা যেন নরকে পরিণত হয়েছে। আকস্মিক ঘটনায় কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। পরে ভাঙা জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসেন হৃদয়। আহত হৃদয়কে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। আজ সোমবার সকালে (২৮ জুন) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ১০২ ওয়ার্ডে শুয়ে আজকের পত্রিকাকে এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন হৃদয়।
ঢামেকের একই ওয়ার্ডের বিস্ফোরণে আহত হওয়া আরেকজনকে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর নাম এসএম কামাল হোসেন (৪১)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে। স্ত্রীকে শান্তিনগর চিকিৎসা কেন্দ্রে রেখে তিনি ওয়ারলেস স্যামসাং গ্যালারিতে গিয়েছিলেন মোবাইল ঠিক করাতে। স্যামসাং গ্যালারি থেকে বের হওয়ার পথে বিস্ফোরণে আহত হয়ে, ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করান হাসপাতালে। এসএম কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, হঠাত বিকট শব্দ কানে আসে তাঁর, এরপর রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়েন তিনি। আর কিছু মনে নেই তাঁর। তবে তাঁর সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা, একটি দামি মোবাইল ও কিছু জরুরি কাগজপত্র হারিয়ে গেছে।
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যার পর ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনায় ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের তিনতলা পুরোনো ভবনের নিচ তলা পুরো ধসে গেছে। ওই ভবনের দু শ গজের মধ্যে রয়েছে যমুনা পেট্রল পাম্প। পাম্পের বিক্রয়কর্মী ইউসুফ সর্দার জানান, বিস্ফোরণের সময় তিনি ঘটনা স্থলের কাছেই ছিলেন। বিস্ফোরণের ভবনটির সামনের ও পেছনের ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পাশের পেট্রল পাম্পের ক্ষতি হয়নি। বিস্ফোরণের পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, মানুষ পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন, কেউ কারও কথা শুনছেন না। অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার মগবাজারের বিস্ফোরণে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে এবং গুরুতর আহত ৬৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মগবাজারের বিস্ফোরণের পর ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় তিন শত মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। হাসপাতালের সুপার ভাইজার আশিকুর রহমান স্বাধীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৫ বছরের চাকরি জীবনে এমন ঘটনা আর দেখিনি। ঘটনার সময় আমরা হাসপাতালে ছিলাম, যখন শব্দ করে পুরো হাসপাতালটা কেঁপে ওঠে। তখন ভূমিকম্প ভেবে হাসপাতালের রোগীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। ঘটনার কিছু সময় পর একের পর এক আহত মানুষ আসতে থাকে। সারি সারি রক্ত মাখা মানুষ। হাসপাতালের নিচ তলার মেজেতে প্রায় তিন শ আহত মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার সময় মনে হয়েছিল আমরা যুদ্ধবিধ্বস্ত কোন এলাকায় রয়েছি।
ঢাকা: কাকরাইল মোড় থেকে আল মক্কা বাসে নাবিস্কোর বাসায় ফিরছিলেন বেসরকারি কর্মজীবী হৃদয় খান (২৬)। সাড়ে সাতটার সময় মগবাজার ওয়ারলেস গেট এলাকা দিয়ে তাদের বাস যখন যাচ্ছিল তখন এক বিকট শব্দ কানে আসে তাঁর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই তিন সেকেন্ডে মধ্যে জানালার কাচ ভেঙে তাঁর পড়ে গায়ে। মাথা ও পুরো শরীর কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। আশপাশের মানুষের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকা যেন নরকে পরিণত হয়েছে। আকস্মিক ঘটনায় কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। পরে ভাঙা জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসেন হৃদয়। আহত হৃদয়কে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। আজ সোমবার সকালে (২৮ জুন) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ১০২ ওয়ার্ডে শুয়ে আজকের পত্রিকাকে এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন হৃদয়।
ঢামেকের একই ওয়ার্ডের বিস্ফোরণে আহত হওয়া আরেকজনকে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর নাম এসএম কামাল হোসেন (৪১)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে। স্ত্রীকে শান্তিনগর চিকিৎসা কেন্দ্রে রেখে তিনি ওয়ারলেস স্যামসাং গ্যালারিতে গিয়েছিলেন মোবাইল ঠিক করাতে। স্যামসাং গ্যালারি থেকে বের হওয়ার পথে বিস্ফোরণে আহত হয়ে, ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করান হাসপাতালে। এসএম কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, হঠাত বিকট শব্দ কানে আসে তাঁর, এরপর রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়েন তিনি। আর কিছু মনে নেই তাঁর। তবে তাঁর সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা, একটি দামি মোবাইল ও কিছু জরুরি কাগজপত্র হারিয়ে গেছে।
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যার পর ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনায় ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের তিনতলা পুরোনো ভবনের নিচ তলা পুরো ধসে গেছে। ওই ভবনের দু শ গজের মধ্যে রয়েছে যমুনা পেট্রল পাম্প। পাম্পের বিক্রয়কর্মী ইউসুফ সর্দার জানান, বিস্ফোরণের সময় তিনি ঘটনা স্থলের কাছেই ছিলেন। বিস্ফোরণের ভবনটির সামনের ও পেছনের ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পাশের পেট্রল পাম্পের ক্ষতি হয়নি। বিস্ফোরণের পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, মানুষ পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন, কেউ কারও কথা শুনছেন না। অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার মগবাজারের বিস্ফোরণে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে এবং গুরুতর আহত ৬৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মগবাজারের বিস্ফোরণের পর ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় তিন শত মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। হাসপাতালের সুপার ভাইজার আশিকুর রহমান স্বাধীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২৫ বছরের চাকরি জীবনে এমন ঘটনা আর দেখিনি। ঘটনার সময় আমরা হাসপাতালে ছিলাম, যখন শব্দ করে পুরো হাসপাতালটা কেঁপে ওঠে। তখন ভূমিকম্প ভেবে হাসপাতালের রোগীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। ঘটনার কিছু সময় পর একের পর এক আহত মানুষ আসতে থাকে। সারি সারি রক্ত মাখা মানুষ। হাসপাতালের নিচ তলার মেজেতে প্রায় তিন শ আহত মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার সময় মনে হয়েছিল আমরা যুদ্ধবিধ্বস্ত কোন এলাকায় রয়েছি।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আছিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আছিয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত আফার উদ্দিনের স্ত্রী।
২ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরের চলতি মৌসুমে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরমে কাঁঠাল পেকে যাওয়ায় বাজারে এ ফলের আধিক্য বেড়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁঠালের দাম ওঠা-নামা করায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে কাঁঠালের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ভোক্তারা খুশি।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিস্তা সেতু। নদীর নামের সঙ্গে মিলয়েই এ নামকরণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেতুটি উদ্বোধনের। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু করলেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এলাকার উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে...
১ ঘণ্টা আগে