ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীল ঘিওর উপজেলা সদরের করোটিয়া এলাকার শ্যামল চন্দ্রের ছেলে। তিনি শিবালয় অক্সফোর্ড একাডেমির ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত বুধবার দুপুরে টিফিনের সময় স্কুল ভবনের চারতলা থেকে নামার পথে সিঁড়িতে গোবিন্দ স্যার পেছন থেকে আমাকে জাপটে ধরেন। এ সময় আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। অনেক চেষ্টা করে তাঁর কাছ থেকে ছুটে দৌড়ে পালাই। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক সহপাঠীদের জানাই। পরে হেড স্যারের কাছে বিষয়টি জানাতে তাঁর রুমে যাই। তিনি বাসায় এ ঘটনা না জানানোর অনুরোধ করেন। সেখানে উপস্থিত অন্য স্যারেরা আমাকে উল্টো নানা কটু কথা বলেন।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রী বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে তিনি গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো ছাত্রীকে চুপ থাকার নির্দেশ দেন। এমনকি তাকে ক্লাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অভিযুক্ত শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীলের সঙ্গে মীমাংসার জন্য।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘ঘটনার পর আমার মেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি উল্টো ক্লাসে পাঠিয়ে দেন। ঘটনার পর মেয়ে দুবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কোনোভাবে বুঝিয়ে বাসায় এনেছি। প্রধান শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে ডাকেন। কিন্তু সেখানে এক শিক্ষক বলেন, “এটা কোনো ব্যাপার না, অনেক জায়গায় শিক্ষক-ছাত্রীর বিয়ে হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যে ব্যবহার শিক্ষকেরা করেছে, তার কঠিন বিচার চাই। অভিযুক্তকে বাঁচানোর জন্য অন্য শিক্ষকেরা যা করেছে! তারাও অপরাধী। তাদেরও গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’
তবে শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীলকে রক্ষার অভিযোগ অস্বীকার করে অক্সফোর্ড একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনা জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি না থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল মামুন বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌনপীড়ন ও সহায়তার অভিযোগ করেন। আমরা ঘটনার মূল আসামিকে আটক করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীল ঘিওর উপজেলা সদরের করোটিয়া এলাকার শ্যামল চন্দ্রের ছেলে। তিনি শিবালয় অক্সফোর্ড একাডেমির ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত বুধবার দুপুরে টিফিনের সময় স্কুল ভবনের চারতলা থেকে নামার পথে সিঁড়িতে গোবিন্দ স্যার পেছন থেকে আমাকে জাপটে ধরেন। এ সময় আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। অনেক চেষ্টা করে তাঁর কাছ থেকে ছুটে দৌড়ে পালাই। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক সহপাঠীদের জানাই। পরে হেড স্যারের কাছে বিষয়টি জানাতে তাঁর রুমে যাই। তিনি বাসায় এ ঘটনা না জানানোর অনুরোধ করেন। সেখানে উপস্থিত অন্য স্যারেরা আমাকে উল্টো নানা কটু কথা বলেন।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রী বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে তিনি গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো ছাত্রীকে চুপ থাকার নির্দেশ দেন। এমনকি তাকে ক্লাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অভিযুক্ত শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীলের সঙ্গে মীমাংসার জন্য।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘ঘটনার পর আমার মেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি উল্টো ক্লাসে পাঠিয়ে দেন। ঘটনার পর মেয়ে দুবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কোনোভাবে বুঝিয়ে বাসায় এনেছি। প্রধান শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে ডাকেন। কিন্তু সেখানে এক শিক্ষক বলেন, “এটা কোনো ব্যাপার না, অনেক জায়গায় শিক্ষক-ছাত্রীর বিয়ে হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে যে ব্যবহার শিক্ষকেরা করেছে, তার কঠিন বিচার চাই। অভিযুক্তকে বাঁচানোর জন্য অন্য শিক্ষকেরা যা করেছে! তারাও অপরাধী। তাদেরও গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’
তবে শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র শীলকে রক্ষার অভিযোগ অস্বীকার করে অক্সফোর্ড একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনা জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি না থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল মামুন বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌনপীড়ন ও সহায়তার অভিযোগ করেন। আমরা ঘটনার মূল আসামিকে আটক করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা রাখার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা...
১৩ মিনিট আগেনীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ফুটপাথ দখলমুক্ত করেছে। গতকাল বুধবার দিনব্যাপী এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী।
২৫ মিনিট আগেরাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি-সংকটের কারণে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে (কপাবিকে) বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে শুধু ৪ নম্বর ইউনিট থেকে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাপ্তাই স’ মিল...
৩৪ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে নাজমুল হক (৩৬) নামের এক যুবকের চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে