ঢাবি প্রতিনিধি
স্বাধীনতাকে অবমূল্যায়ন করবে, কটাক্ষ করবে, উপহাস করবে—এমন স্বাধীনতা কোনো নাগরিকের থাকতে পারে না। তিনি যত বড় সাংবাদিক হোন কিংবা যত বড় সংবাদপত্রের হোক না কেন বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ মিনারে স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোতে প্রকাশিত আলোচিত প্রতিবেদনটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে স্বাধীনতা সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, মনোরঞ্জন ঘোষাল, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী মশিউর মালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা নিছক একটি পত্রিকার অপসাংবাদিকতা কিংবা হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে বলছি না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি অনেক হলুদ সাংবাদিকতা হচ্ছে বা অপসাংবাদিকতা হচ্ছে। এটাকে নিছক হলুদ সাংবাদিকতা বা অপসাংবাদিকতা বলা যাবে না। আঘাত এসেছে আমাদের স্বাধীনতার মর্যাদার ওপরে, স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকীতে যেভাবে একটি খবর পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে, পরিবেশন করা হয়েছে সেটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, এই স্বাধীনতাকে অবমূল্যায়ন করবে, কটাক্ষ করবে, উপহাস করবে—এমন স্বাধীনতা কোনো নাগরিকের থাকতে পারে না। তিনি যত বড় সাংবাদিক হোন কিংবা যত বড় সংবাদপত্রের হোক না কেন।’
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তখনো আমরা বলেছিলাম যথেষ্ট হয়েছে—শহীদের সংখ্যা নিয়ে, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে, কটাক্ষ করবে, উপহাস করবে তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত ইতিহাস নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে, তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির আওতায় আনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের নাম উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বারবার উচ্চারিত হয়। একই সঙ্গে একটি নির্বাচিত সরকারের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়ে নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এ সময়ে নানা অপকৌশল শুরু হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মৌলিক দায়িত্ব। একটি বিশেষ পটভূমির উদ্দেশ্যে আমাদের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। যে সকল পত্রিকা এ সকল অপকর্মে যুক্ত আছে, তাদের বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত সোচ্চার হওয়াই সময়ের দাবি। মহান স্বাধীনতার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে আমাদের এ ধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’ এক-এগারোর কুশীলবরা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করতে সচেতনভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বাধীনতাকে কলুষিত করতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে কোনো না কোনো সময়, কোনো না কোনো রূপে ষড়যন্ত্রকারীরা সচেতন থেকেছে, বঙ্গবন্ধুর জীবিত অবস্থায় আমরা দেখেছি উত্তরবঙ্গের বাসন্তীকে জাল পরিয়ে মিথ্যা প্রচার করছিল তৎকালীন সময়ের একটা বহুল প্রচারিত দৈনিক। ঠিক একইভাবে স্বাধীনতা দিবসের দিনে একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার অনলাইন একজন অর্বাচীন সাংবাদিক, বিপথগামী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাংবাদিক একটি শিশুকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের জাল বুনল—আমি একজন সংবাদকর্মী ও সাংবাদিকতার ছাত্র হিসেবে বলছি—এসব হঠাৎ করে হয়নি, একজন মফস্বল সংবাদদাতা সংবাদ পাঠিয়ে দিল আর সেটি ফলাও করে প্রচার করে দিল, এটা কোনো থিওরিতে পড়ে না।’ স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সুপরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনয়শিল্পী তারিন জাহান, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, অভিনয়শিল্পী আহসানুল হক মিনু, শাহেদ শরীফ খান, তানভীন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, আনজাম মাসুদ, শামীমা তুষ্টি প্রমুখ।
স্বাধীনতাকে অবমূল্যায়ন করবে, কটাক্ষ করবে, উপহাস করবে—এমন স্বাধীনতা কোনো নাগরিকের থাকতে পারে না। তিনি যত বড় সাংবাদিক হোন কিংবা যত বড় সংবাদপত্রের হোক না কেন বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ মিনারে স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোতে প্রকাশিত আলোচিত প্রতিবেদনটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দিয়ে পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে স্বাধীনতা সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, মনোরঞ্জন ঘোষাল, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী মশিউর মালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা নিছক একটি পত্রিকার অপসাংবাদিকতা কিংবা হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে বলছি না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি অনেক হলুদ সাংবাদিকতা হচ্ছে বা অপসাংবাদিকতা হচ্ছে। এটাকে নিছক হলুদ সাংবাদিকতা বা অপসাংবাদিকতা বলা যাবে না। আঘাত এসেছে আমাদের স্বাধীনতার মর্যাদার ওপরে, স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকীতে যেভাবে একটি খবর পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে, পরিবেশন করা হয়েছে সেটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, এই স্বাধীনতাকে অবমূল্যায়ন করবে, কটাক্ষ করবে, উপহাস করবে—এমন স্বাধীনতা কোনো নাগরিকের থাকতে পারে না। তিনি যত বড় সাংবাদিক হোন কিংবা যত বড় সংবাদপত্রের হোক না কেন।’
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তখনো আমরা বলেছিলাম যথেষ্ট হয়েছে—শহীদের সংখ্যা নিয়ে, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে, কটাক্ষ করবে, উপহাস করবে তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত ইতিহাস নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে, তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির আওতায় আনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের নাম উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বারবার উচ্চারিত হয়। একই সঙ্গে একটি নির্বাচিত সরকারের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়ে নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এ সময়ে নানা অপকৌশল শুরু হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মৌলিক দায়িত্ব। একটি বিশেষ পটভূমির উদ্দেশ্যে আমাদের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। যে সকল পত্রিকা এ সকল অপকর্মে যুক্ত আছে, তাদের বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত সোচ্চার হওয়াই সময়ের দাবি। মহান স্বাধীনতার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে আমাদের এ ধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’ এক-এগারোর কুশীলবরা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করতে সচেতনভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বাধীনতাকে কলুষিত করতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে কোনো না কোনো সময়, কোনো না কোনো রূপে ষড়যন্ত্রকারীরা সচেতন থেকেছে, বঙ্গবন্ধুর জীবিত অবস্থায় আমরা দেখেছি উত্তরবঙ্গের বাসন্তীকে জাল পরিয়ে মিথ্যা প্রচার করছিল তৎকালীন সময়ের একটা বহুল প্রচারিত দৈনিক। ঠিক একইভাবে স্বাধীনতা দিবসের দিনে একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার অনলাইন একজন অর্বাচীন সাংবাদিক, বিপথগামী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাংবাদিক একটি শিশুকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের জাল বুনল—আমি একজন সংবাদকর্মী ও সাংবাদিকতার ছাত্র হিসেবে বলছি—এসব হঠাৎ করে হয়নি, একজন মফস্বল সংবাদদাতা সংবাদ পাঠিয়ে দিল আর সেটি ফলাও করে প্রচার করে দিল, এটা কোনো থিওরিতে পড়ে না।’ স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সুপরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, অভিনয়শিল্পী তারিন জাহান, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, অভিনয়শিল্পী আহসানুল হক মিনু, শাহেদ শরীফ খান, তানভীন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, আনজাম মাসুদ, শামীমা তুষ্টি প্রমুখ।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
৯ মিনিট আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগে