ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেডসহ মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঞ্জয় বৈরাগী (২৩) নামের এক শিক্ষার্থী ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন সাংবাদিকসহ অনেক শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে বিক্ষোভের ডাক দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল থেকেই ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। সেখানে বিজিবি ও পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ের দিকে আসতে শুরু করে। শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ চড়াও হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, পুলিশ প্রথমে আন্দোলনকারীদের থামানোর চেষ্টা করে। এর পরই সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল মারতে শুরু করে। পাল্টা বিক্ষোভকারীরাও ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ইটপাটকেল মারতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে আন্দোলনকারীদের দিকে। একপর্যায়ে সেখানে রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় গিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা মেডিকেল কলেজ এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখানেও তাঁদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরত মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ের দিকে গেলেই পুলিশ আমাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড মেরে দেয়। আমাদের অনেকের গুলি লেগেছে। তারপর আমরা পালিয়ে এখানে চলে আসি। এর পরও আমাদের মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত ধাওয়া দিতে থাকে।’
সংঘর্ষে সঞ্জয় বৈরাগী নামের এক নার্সিং শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরে ১৮টি রাবার বুলেটের আঘাত রয়েছে বলে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স আফসানা আফরোজ জানান।
সঞ্জয় বৈরাগী বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে গিয়েছিলাম। মিছিলটি ভাঙ্গা সড়কের মোড়ের দিকে গেলে পুলিশের পাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ইটপাটকেল মারতে শুরু করেন। এর পরই পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ছুড়তে শুরু করে। আমার শরীরে ১৮টি রাবার বুলেটের আঘাত রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে কেটে দেন।
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেডসহ মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঞ্জয় বৈরাগী (২৩) নামের এক শিক্ষার্থী ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন সাংবাদিকসহ অনেক শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে বিক্ষোভের ডাক দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল থেকেই ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। সেখানে বিজিবি ও পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ের দিকে আসতে শুরু করে। শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ চড়াও হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, পুলিশ প্রথমে আন্দোলনকারীদের থামানোর চেষ্টা করে। এর পরই সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল মারতে শুরু করে। পাল্টা বিক্ষোভকারীরাও ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ইটপাটকেল মারতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে আন্দোলনকারীদের দিকে। একপর্যায়ে সেখানে রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় গিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা মেডিকেল কলেজ এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখানেও তাঁদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরত মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ের দিকে গেলেই পুলিশ আমাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড মেরে দেয়। আমাদের অনেকের গুলি লেগেছে। তারপর আমরা পালিয়ে এখানে চলে আসি। এর পরও আমাদের মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত ধাওয়া দিতে থাকে।’
সংঘর্ষে সঞ্জয় বৈরাগী নামের এক নার্সিং শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরে ১৮টি রাবার বুলেটের আঘাত রয়েছে বলে কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স আফসানা আফরোজ জানান।
সঞ্জয় বৈরাগী বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে গিয়েছিলাম। মিছিলটি ভাঙ্গা সড়কের মোড়ের দিকে গেলে পুলিশের পাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ইটপাটকেল মারতে শুরু করেন। এর পরই পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ছুড়তে শুরু করে। আমার শরীরে ১৮টি রাবার বুলেটের আঘাত রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে কেটে দেন।
রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫টি। এসব হাসপাতালে চিকিৎসকের মোট পদ ১ হাজার ২১৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৫৩১ জন, পদ শূন্য ৬৮৩টি। চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল থাকায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের বাধ্য...
৪ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
৪ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
৪ ঘণ্টা আগে