Ajker Patrika

সোহাগ হত্যা: টিটন, আলমগীর ও লম্বা মনিরের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিটফোর্ড এলাকায় নিহত মো. সোহাগের ওপর হামলার ঘটনার চিত্র। তিনি এলাকায় ভাঙারিসামগ্রীর ব্যবসা করতেন। ছবি: সংগৃহীত
মিটফোর্ড এলাকায় নিহত মো. সোহাগের ওপর হামলার ঘটনার চিত্র। তিনি এলাকায় ভাঙারিসামগ্রীর ব্যবসা করতেন। ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৩ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তিন বিচারকের খাসকামরায় ওই তিন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের এসআই তানভীর আহমেদ।

আসামিরা হলেন টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।

সোহাগ হত্যা মামলার এই তিন আসামিকে আজ দুপুরের দিকে আদালতে হাজির করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান তিনজনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

এরপর ওই তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সোহাগকে (৩৯)। এর দুদিন পর হত্যাকাণ্ডটির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বাদী বলেন, সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার ওই এলাকায় ব্যবসা করায় ব্যবসায়িক বিভিন্ন বিষয়সহ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে তারা সোহাগের গুদাম তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। সেই সঙ্গে তাঁকে এলাকা ছাড়া করতে নানা রকম ভয় দেখিয়ে আসছিল। ৯ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তাঁরা পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোহাগের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে। তাঁকে মারধর করতে করতে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে রড, লাঠি, সিমেন্টের ব্লক বা ইট দিয়ে তাঁকে আঘাত করে। একপর্যায়ে সোহাগ নিস্তেজ হয়ে ড্রেনের পাশে লুটিয়ে পড়েন। তখন তাঁর নিথর দেহ টেনে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

১১ জুলাই সোহাগ হত্যা মামলার আসামি টিটন গাজীকে ৫ দিন এবং পরদিন আলমগীর ও লম্বা মনিরকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আজ তাঁরা সোহাগ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস: এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মুকিতুলের বিরুদ্ধে এবার মামলা

রক্ত কেনা যায় না—ইয়েমেনে নিমিশাকে ক্ষমা করতে অস্বীকৃতি মাহদির পরিবারের

২৫ সেকেন্ডে ১২ গুলি, হাসপাতালে গ্যাংস্টারের শরীর ঝাঁঝরা

গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় ফেসবুকে সরব ইসলামপুরের পলাতক আওয়ামী নেতারা

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহত ৪ জনের ময়নাতদন্ত হলো না, প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ডিআইজি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত