নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজিমপুর কবরস্থানের দক্ষিণ দরজা দিয়ে ঢুকে সামান্য হাঁটতে হবে ৷ তারপর বামপাশে তাকালেই চোখে পড়বে সাদা-কালো মার্বেল পাথরে বাঁধাই করা পাশাপাশি তিনটি সমাধি ৷ মায়ের ভাষায় কথা বলতে আর স্বাধীন আশায় পথ চলার দৃপ্ত প্রত্যয় জারি রাখতে যাঁরা হাসিমুখে ঢেলে দিয়েছিলেন বুকের তাজা রক্ত, তাঁদের কয়েকজনের মধ্যে ভাষাশহীদ আবুল বরকত, আব্দুল জব্বার ও শফিউর রহমান এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত ৷ সকালে গিয়ে দেখা যায় তাঁদের সমাধি ফুলে ফুলে ভরে গেছে।
বুধবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনেকেই বরকত, জব্বার ও শফিউরের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, কেউ কেউ করেন কবর জিয়ারত। যে যেটাই করুক না কেন সবারই উদ্দেশ্য ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা। এদিন সমাধিতে শহীদদের পরিবারসহ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। বাদ যায়নি সাধারণ মানুষও।
বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাষাশহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নওশীন আক্তার। ভাষাশহীদদের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে বাবা আহসান কবির তাকে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া বীরদের গল্প শোনাচ্ছিলেন। আহসান বলেন, ‘বাচ্চাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে ৷ না হলে তারা নিজের ভাষা ও দেশ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবে না৷ তাই মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি ভাষাশহীদদের সমাধি দেখাতে ৷ সবাই শহীদ মিনার যায়, কিন্তু এদিকে তো কেউ তেমনটা আসে না।’
ভাষাশহীদদের কবর জিয়ারতে এসেছিলেন একদল মাদ্রাসাশিক্ষার্থী। সমাধির পাশে দাঁড়িয়েই কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তাঁদের একজন ফরহাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের জন্য আমাদের দোয়া করা উচিত। তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশপ্রেমের বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
একসঙ্গে আসা আরেক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জীবনের বিনিময়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের মুখের কথা, মায়ের ভাষা রক্ষা করেছেন, তাঁদের স্মরণটা যেন দিবসকেন্দ্রিক না হয়ে যায়।
সকাল ৮টার দিকে ভাষাশহীদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যে চেতনা লালন করে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, সে চেতনা থেকে দেশ অনেক দূরে সরে গেছে।
প্রথমবারের মতো ভাষাশহীদদের সমাধিতে এসেছেন শফিউল হাসান। এই তরুণ বলেন, ‘তরুণদের অনেকেই জানে না ভাষা আন্দোলনে শহীদ হওয়া মহান ব্যক্তিদের জীবনী সম্পর্কে। এটা দুঃখজনক। আজকের দিনে সবাই যেমন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছে, তেমনি ভাষাশহীদদের জীবনী সম্পর্কেও জানা উচিত। আমি আজ প্রথমবার এখানে এসেছি। মানুষের কাছে শুনেছি আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহীদের কবর রয়েছে। মূলত এটি দেখার জন্য এখানে এসেছি।’
একুশের প্রথম প্রহর থেকেই শহীদ মিনারসহ আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় মানুষ। আজিমপুর কবরস্থানে বরকত, জব্বার ও শফিউর ছাড়াও দাফন করা হয়েছিল ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম, অহিউল্লাহ ও আবদুল আওয়ালকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাশ দাফনের খাতায় অহিউল্লাহর নাম পাওয়া গেলেও তার কবর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সালাম ও আওয়ালের কবরেরও নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন। ভাষাশহীদ রফিকের মরদেহও অতি গোপনে দাফন করা হয়েছিল কবরস্থানের অসংরক্ষিত এলাকায়। এরপর এই কবর ভেঙে ফেলে নতুন কবর বসানো হয়েছিল। আজও তাঁর কবরটি চিহ্নিত করা যায়নি।
আজিমপুর কবরস্থানের দক্ষিণ দরজা দিয়ে ঢুকে সামান্য হাঁটতে হবে ৷ তারপর বামপাশে তাকালেই চোখে পড়বে সাদা-কালো মার্বেল পাথরে বাঁধাই করা পাশাপাশি তিনটি সমাধি ৷ মায়ের ভাষায় কথা বলতে আর স্বাধীন আশায় পথ চলার দৃপ্ত প্রত্যয় জারি রাখতে যাঁরা হাসিমুখে ঢেলে দিয়েছিলেন বুকের তাজা রক্ত, তাঁদের কয়েকজনের মধ্যে ভাষাশহীদ আবুল বরকত, আব্দুল জব্বার ও শফিউর রহমান এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত ৷ সকালে গিয়ে দেখা যায় তাঁদের সমাধি ফুলে ফুলে ভরে গেছে।
বুধবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনেকেই বরকত, জব্বার ও শফিউরের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, কেউ কেউ করেন কবর জিয়ারত। যে যেটাই করুক না কেন সবারই উদ্দেশ্য ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা। এদিন সমাধিতে শহীদদের পরিবারসহ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। বাদ যায়নি সাধারণ মানুষও।
বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাষাশহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নওশীন আক্তার। ভাষাশহীদদের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে বাবা আহসান কবির তাকে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া বীরদের গল্প শোনাচ্ছিলেন। আহসান বলেন, ‘বাচ্চাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে ৷ না হলে তারা নিজের ভাষা ও দেশ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবে না৷ তাই মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি ভাষাশহীদদের সমাধি দেখাতে ৷ সবাই শহীদ মিনার যায়, কিন্তু এদিকে তো কেউ তেমনটা আসে না।’
ভাষাশহীদদের কবর জিয়ারতে এসেছিলেন একদল মাদ্রাসাশিক্ষার্থী। সমাধির পাশে দাঁড়িয়েই কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তাঁদের একজন ফরহাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের জন্য আমাদের দোয়া করা উচিত। তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশপ্রেমের বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
একসঙ্গে আসা আরেক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জীবনের বিনিময়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের মুখের কথা, মায়ের ভাষা রক্ষা করেছেন, তাঁদের স্মরণটা যেন দিবসকেন্দ্রিক না হয়ে যায়।
সকাল ৮টার দিকে ভাষাশহীদদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যে চেতনা লালন করে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, সে চেতনা থেকে দেশ অনেক দূরে সরে গেছে।
প্রথমবারের মতো ভাষাশহীদদের সমাধিতে এসেছেন শফিউল হাসান। এই তরুণ বলেন, ‘তরুণদের অনেকেই জানে না ভাষা আন্দোলনে শহীদ হওয়া মহান ব্যক্তিদের জীবনী সম্পর্কে। এটা দুঃখজনক। আজকের দিনে সবাই যেমন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছে, তেমনি ভাষাশহীদদের জীবনী সম্পর্কেও জানা উচিত। আমি আজ প্রথমবার এখানে এসেছি। মানুষের কাছে শুনেছি আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহীদের কবর রয়েছে। মূলত এটি দেখার জন্য এখানে এসেছি।’
একুশের প্রথম প্রহর থেকেই শহীদ মিনারসহ আজিমপুর কবরস্থানে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় মানুষ। আজিমপুর কবরস্থানে বরকত, জব্বার ও শফিউর ছাড়াও দাফন করা হয়েছিল ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম, অহিউল্লাহ ও আবদুল আওয়ালকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাশ দাফনের খাতায় অহিউল্লাহর নাম পাওয়া গেলেও তার কবর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সালাম ও আওয়ালের কবরেরও নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন। ভাষাশহীদ রফিকের মরদেহও অতি গোপনে দাফন করা হয়েছিল কবরস্থানের অসংরক্ষিত এলাকায়। এরপর এই কবর ভেঙে ফেলে নতুন কবর বসানো হয়েছিল। আজও তাঁর কবরটি চিহ্নিত করা যায়নি।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হুহু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। সোমবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক শূন্য ৭ মিটার, যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৫ মিনিট আগেস্থানীয় বিএনপি নেতা ফরিদ খাঁ বলেন, ‘৫ আগস্ট ৩টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে ফেরার সময় ওয়াজেদ ও তার লোকজন আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এখন তারাই “জুলাই যোদ্ধা” হয়ে গেছে।’
৯ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদাম থেকে দুই সপ্তাহ আগে ৩০০ টন গমের চাহিদা দেওয়া হয়। চাহিদার বিপরীতে গত বৃহস্পতিবার আটটি ট্রাকে ৬৪ টন গম আসে। বাহকদের কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার সময় দেখা যায় গমগুলো ছত্রাক ধরা ও নিম্নমানের। তখন আনলোড না করে এই গম খুলনাতে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করি।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ডিসি কার্যালয়ের সামনে কালেক্টর চত্বর, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনেসহ নিউমার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, প্রফেসরপাড়া, বালুবাগান, আরামবাগ, মেথরপাড়া, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে, বাতেন খাঁসহ অনেক জায়গায় হাঁটুপানি জমে আছে।
২ ঘণ্টা আগে