রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

প্রিজন ভ্যান থেকে একজন একজন করে নামছেন। শরীর ও পোশাক ঘেমে জবজবে। কষ্টের ছাপ স্পষ্ট সবার চোখমুখে। নেমেই যেন পরশ চাইছিলেন বাতাসের। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের একটি ফটকের ভেতরে ঢোকানো হলো।
এই দৃশ্য পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণের একটি হাজতখানার বাইরের। রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হচ্ছিল। কোনোটি এসেছে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে, কোনোটি কেরানীগঞ্জের কারাগার থেকে। কোনোটি এসেছে ধামরাই, সাভার থেকে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) থানাগুলো থেকেও এসেছে প্রিজন ভ্যান। কোনোটিতে ২০ জন, কোনোটিতে আনা হয় ৩৬ জনকে। তাঁদের অনেকের শরীরই ঘর্মাক্ত।
ধাতবের (ইস্পাত) তৈরি ১০ ফুট উঁচু প্রিজন ভ্যানে কোনো ফ্যান নেই। ওপরের দিকে এক ফুট প্রস্থের লম্বালম্বি লোহার জাল রয়েছে। ভ্যানের ভেতরে আলো-বাতাস চলাচলের এটাই একমাত্র পথ। তবে ওই পথ অনেকটা রুদ্ধ হয়ে যায় ভারসাম্য রক্ষার জন্য জাল ধরে আসামিদের দাঁড়ানোর কারণে। ওই জালের ফাঁক দিয়ে তাঁরা বাইরের মুক্ত পৃথিবীও দেখেন। ফলে ভ্যানে গরম থাকে বাইরের চেয়ে বেশি। গরমে পানির পিপাসা পেলেও মেটানোর ব্যবস্থা নেই। পুরোনো ভ্যানগুলোতে বসার স্থানও নেই।
জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই প্রিজন ভ্যানগুলো করা হয়।
সেখানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন প্রিজন ভ্যানগুলোতে আরও ভালো ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা চলছে।
ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে ১৯ মে সকালে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক প্রিজন ভ্যান আসামি নিয়ে এসেছে। তাঁরা ভ্যানের জাল ধরে দাঁড়িয়ে বাতাস নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা প্রিজন ভ্যান থেকে সাব্বির নামের একজন বলেন, এই ভ্যানে ৩০-৪০ জন আছেন। গরমে ঘেমে গোসল হয়ে গেছে। তাঁকে আনা হয়েছে ছিনতাই মামলায় হাজিরার জন্য।
জিহাদ নামের আরেকজন বলেন, ভেতরে অনেক গরম। পানির পিপাসা পায়। পানি ও খাবার দেয় নামানোর পর।
গাড়ি ছিনতাই মামলার সন্দেহভাজন আলী হোসেন বললেন, প্রচণ্ড গরমে গাদাগাদি করে ৪০-৪২ জনকে আনা হয়েছে।
২০ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে একটি প্রিজন ভ্যান আসে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে। নামানোর সময় দেখা যায়, একজন হাতে থাকা শার্ট পরছেন। পুরো শরীর ঘেমে গেছে। অনেকের গায়ে ঢিলেঢালা পোশাক। এর ঠিক আগেই কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা একটি প্রিজন ভ্যান থেকে নেমেছেন ৩৬ জন। সবার শরীর ছিল ঘর্মাক্ত।
কারাগার থেকে আসা প্রিজন ভ্যানের দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, ভ্যানে গরম একটু বেশি লাগে। তবে এ নিয়ে আসামিরা কিছু বলেন না।
ঢাকার নিম্ন আদালতের চারটি হাজতখানার সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর কারাগারসহ ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানা থেকে প্রিজন ভ্যান, ডিবি পুলিশ ও র্যাবের গাড়িতে দিনে গড়ে ৭০০ আসামিকে আদালতে আনা-নেওয়া করা হয়। এর মধ্যে কারাগারগুলো থেকে প্রায় ২০টি প্রিজন ভ্যানে গড়ে ৪০০ জনকে আনা-নেওয়া করা হয়। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দিনে সাত-আটটি প্রিজন ভ্যানে ২৫০-৩০০ জন, কাশিমপুরের তিনটি কারাগার থেকে সাতটি প্রিজন ভ্যানে দিনে গড়ে ১২০ জনকে আনা-নেওয়া করা হয়। এর মধ্যে একটি ভ্যানে থাকেন গড়ে ১০-১২ জন নারী আসামি।
পুরোনো প্রিজন ভ্যানে বসার ব্যবস্থা না থাকলেও নতুন ভ্যানগুলোতে বসার জন্য দুই পাশে লোহার বেঞ্চের মতো রয়েছে।
প্রচণ্ড গরমে যাতায়াতে আসামিদের ঘর্মাক্ত অবস্থার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, এই কারাগার থেকে সকাল ৬টার দিকেই আসামি পাঠানো হয়। তখন তেমন গরম থাকে না। ফেরার সময় গরম পড়ে। তবে এ নিয়ে কেউ তেমন অভিযোগ করেন না।
জানা গেছে, দেশে মানবদেহের জন্য সহনশীল তাপমাত্রা প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও প্রিজন ভ্যানের ভেতর তা আরও বেশি অনুভূত হয়। চলতি বছর ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও উঠেছিল, যা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। সেদিনও আসামিদের একইভাবে আনা-নেওয়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক কুমার মজুমদার বলেন, গাড়ির ধাতব বডি থাকলে তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যায়। এক জায়গায় বেশি মানুষ থাকলে তাপমাত্রার সঙ্গে আর্দ্রতাও বাড়ে। ভালো ভেন্টিলেশন ও ফ্যান না থাকলে তা অসহ্যকর হয়। তবে আসামি পরিবহনে নিরাপত্তার বিষয়টিও রয়েছে। গরমে একটু বেশি বাতাস চলাচল ও বাতাসের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এক ভ্যানে কমসংখ্যক আসামি বহন করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, অপরাধী বা অভিযুক্ত যে-ই হোক, তাঁদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা দিতে হয়। একজন অপরাধীরও মানবাধিকার রয়েছে। তাই তাঁর মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে নজর রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘গরমের সময় আসামিদের প্রিজন ভ্যানে বহনের জন্য ন্যূনতম সুবিধা থাকা প্রয়োজন। তবে আমাদের সক্ষমতা নিতান্তই কম, অবশ্য আমরা তা নিয়ে চিন্তাও করি না। রাষ্ট্রকে আরও সচেতন হতে হবে।’

প্রিজন ভ্যান থেকে একজন একজন করে নামছেন। শরীর ও পোশাক ঘেমে জবজবে। কষ্টের ছাপ স্পষ্ট সবার চোখমুখে। নেমেই যেন পরশ চাইছিলেন বাতাসের। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের একটি ফটকের ভেতরে ঢোকানো হলো।
এই দৃশ্য পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণের একটি হাজতখানার বাইরের। রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হচ্ছিল। কোনোটি এসেছে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে, কোনোটি কেরানীগঞ্জের কারাগার থেকে। কোনোটি এসেছে ধামরাই, সাভার থেকে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) থানাগুলো থেকেও এসেছে প্রিজন ভ্যান। কোনোটিতে ২০ জন, কোনোটিতে আনা হয় ৩৬ জনকে। তাঁদের অনেকের শরীরই ঘর্মাক্ত।
ধাতবের (ইস্পাত) তৈরি ১০ ফুট উঁচু প্রিজন ভ্যানে কোনো ফ্যান নেই। ওপরের দিকে এক ফুট প্রস্থের লম্বালম্বি লোহার জাল রয়েছে। ভ্যানের ভেতরে আলো-বাতাস চলাচলের এটাই একমাত্র পথ। তবে ওই পথ অনেকটা রুদ্ধ হয়ে যায় ভারসাম্য রক্ষার জন্য জাল ধরে আসামিদের দাঁড়ানোর কারণে। ওই জালের ফাঁক দিয়ে তাঁরা বাইরের মুক্ত পৃথিবীও দেখেন। ফলে ভ্যানে গরম থাকে বাইরের চেয়ে বেশি। গরমে পানির পিপাসা পেলেও মেটানোর ব্যবস্থা নেই। পুরোনো ভ্যানগুলোতে বসার স্থানও নেই।
জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই প্রিজন ভ্যানগুলো করা হয়।
সেখানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন প্রিজন ভ্যানগুলোতে আরও ভালো ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা চলছে।
ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে ১৯ মে সকালে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক প্রিজন ভ্যান আসামি নিয়ে এসেছে। তাঁরা ভ্যানের জাল ধরে দাঁড়িয়ে বাতাস নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা প্রিজন ভ্যান থেকে সাব্বির নামের একজন বলেন, এই ভ্যানে ৩০-৪০ জন আছেন। গরমে ঘেমে গোসল হয়ে গেছে। তাঁকে আনা হয়েছে ছিনতাই মামলায় হাজিরার জন্য।
জিহাদ নামের আরেকজন বলেন, ভেতরে অনেক গরম। পানির পিপাসা পায়। পানি ও খাবার দেয় নামানোর পর।
গাড়ি ছিনতাই মামলার সন্দেহভাজন আলী হোসেন বললেন, প্রচণ্ড গরমে গাদাগাদি করে ৪০-৪২ জনকে আনা হয়েছে।
২০ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে একটি প্রিজন ভ্যান আসে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে। নামানোর সময় দেখা যায়, একজন হাতে থাকা শার্ট পরছেন। পুরো শরীর ঘেমে গেছে। অনেকের গায়ে ঢিলেঢালা পোশাক। এর ঠিক আগেই কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা একটি প্রিজন ভ্যান থেকে নেমেছেন ৩৬ জন। সবার শরীর ছিল ঘর্মাক্ত।
কারাগার থেকে আসা প্রিজন ভ্যানের দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, ভ্যানে গরম একটু বেশি লাগে। তবে এ নিয়ে আসামিরা কিছু বলেন না।
ঢাকার নিম্ন আদালতের চারটি হাজতখানার সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর কারাগারসহ ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানা থেকে প্রিজন ভ্যান, ডিবি পুলিশ ও র্যাবের গাড়িতে দিনে গড়ে ৭০০ আসামিকে আদালতে আনা-নেওয়া করা হয়। এর মধ্যে কারাগারগুলো থেকে প্রায় ২০টি প্রিজন ভ্যানে গড়ে ৪০০ জনকে আনা-নেওয়া করা হয়। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দিনে সাত-আটটি প্রিজন ভ্যানে ২৫০-৩০০ জন, কাশিমপুরের তিনটি কারাগার থেকে সাতটি প্রিজন ভ্যানে দিনে গড়ে ১২০ জনকে আনা-নেওয়া করা হয়। এর মধ্যে একটি ভ্যানে থাকেন গড়ে ১০-১২ জন নারী আসামি।
পুরোনো প্রিজন ভ্যানে বসার ব্যবস্থা না থাকলেও নতুন ভ্যানগুলোতে বসার জন্য দুই পাশে লোহার বেঞ্চের মতো রয়েছে।
প্রচণ্ড গরমে যাতায়াতে আসামিদের ঘর্মাক্ত অবস্থার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, এই কারাগার থেকে সকাল ৬টার দিকেই আসামি পাঠানো হয়। তখন তেমন গরম থাকে না। ফেরার সময় গরম পড়ে। তবে এ নিয়ে কেউ তেমন অভিযোগ করেন না।
জানা গেছে, দেশে মানবদেহের জন্য সহনশীল তাপমাত্রা প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও প্রিজন ভ্যানের ভেতর তা আরও বেশি অনুভূত হয়। চলতি বছর ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও উঠেছিল, যা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। সেদিনও আসামিদের একইভাবে আনা-নেওয়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক কুমার মজুমদার বলেন, গাড়ির ধাতব বডি থাকলে তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যায়। এক জায়গায় বেশি মানুষ থাকলে তাপমাত্রার সঙ্গে আর্দ্রতাও বাড়ে। ভালো ভেন্টিলেশন ও ফ্যান না থাকলে তা অসহ্যকর হয়। তবে আসামি পরিবহনে নিরাপত্তার বিষয়টিও রয়েছে। গরমে একটু বেশি বাতাস চলাচল ও বাতাসের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এক ভ্যানে কমসংখ্যক আসামি বহন করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, অপরাধী বা অভিযুক্ত যে-ই হোক, তাঁদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা দিতে হয়। একজন অপরাধীরও মানবাধিকার রয়েছে। তাই তাঁর মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে নজর রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘গরমের সময় আসামিদের প্রিজন ভ্যানে বহনের জন্য ন্যূনতম সুবিধা থাকা প্রয়োজন। তবে আমাদের সক্ষমতা নিতান্তই কম, অবশ্য আমরা তা নিয়ে চিন্তাও করি না। রাষ্ট্রকে আরও সচেতন হতে হবে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার...
২৩ মিনিট আগে
একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া বেগম। তবে এই আনন্দের সংবাদের পরই দুশ্চিন্তা ভর করেছে সোহেল হাওলাদারের মাথায়। নবজাতকদের পুষ্টি ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা করে যে বিয়ারিং প্যাড মানহীন ঘোষণা করেছিল, মূলত সেই প্যাড ব্যবহার করেই রাজধানীতে চলছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেছেন, উত্তরা থেকে
৮ ঘণ্টা আগে
আমাদের নগর পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নের স্বপ্নযাত্রায় এক অশনিসংকেত বেজে উঠেছে। মেট্রোরেল ভায়াডাক্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’-সম্পর্কিত দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটেছে গত রোববার। এবার প্রাণঘাতী পরিণতি নিয়ে। এই মৌলিক কাঠামোগত উপকরণটির এমন অকাল ব্যর্থতা প্রকল্পের নির্মাণকাজের গুণমান, পরবর্তী তদার
৮ ঘণ্টা আগেগাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের রাতুল অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুটের গুদামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রাতুল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঝুট গুদামে হঠাৎ আগুনের ফুলকি দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। গুদামটি মোটামুটি বেশ বড়। পাশাপাশি অনেক ঝুট কাপড় মজুত রাখা ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। ততক্ষণে সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর এ টি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয়। সাড়ে চার ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গুদামে প্রচুর পরিমাণ ঝুট কাপড় থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে।

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের রাতুল অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুটের গুদামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রাতুল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঝুট গুদামে হঠাৎ আগুনের ফুলকি দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। গুদামটি মোটামুটি বেশ বড়। পাশাপাশি অনেক ঝুট কাপড় মজুত রাখা ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। ততক্ষণে সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর এ টি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয়। সাড়ে চার ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গুদামে প্রচুর পরিমাণ ঝুট কাপড় থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে।

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।

প্রিজন ভ্যান থেকে একজন একজন করে নামছেন। শরীর ও পোশাক ঘেমে জবজবে। কষ্টের ছাপ স্পষ্ট সবার চোখমুখে। নেমেই যেন পরশ চাইছিলেন বাতাসের। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের একটি ফটকের ভেতরে ঢোকানো হলো।
৩১ মে ২০২৪
একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া বেগম। তবে এই আনন্দের সংবাদের পরই দুশ্চিন্তা ভর করেছে সোহেল হাওলাদারের মাথায়। নবজাতকদের পুষ্টি ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা করে যে বিয়ারিং প্যাড মানহীন ঘোষণা করেছিল, মূলত সেই প্যাড ব্যবহার করেই রাজধানীতে চলছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেছেন, উত্তরা থেকে
৮ ঘণ্টা আগে
আমাদের নগর পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নের স্বপ্নযাত্রায় এক অশনিসংকেত বেজে উঠেছে। মেট্রোরেল ভায়াডাক্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’-সম্পর্কিত দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটেছে গত রোববার। এবার প্রাণঘাতী পরিণতি নিয়ে। এই মৌলিক কাঠামোগত উপকরণটির এমন অকাল ব্যর্থতা প্রকল্পের নির্মাণকাজের গুণমান, পরবর্তী তদার
৮ ঘণ্টা আগেবাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া বেগম। তবে এই আনন্দের সংবাদের পরই দুশ্চিন্তা ভর করেছে সোহেল হাওলাদারের মাথায়। নবজাতকদের পুষ্টি ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দেন লামিয়া বেগম। লামিয়া পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠী গ্রামের মুদি দোকানদার সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী। স্থানীয় বাহেরচর বাজারে তাঁর একটি ছোট মুদি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আয়েই চলে পরিবার।
সোহেল হাওলাদার বলেন, ‘প্রতিদিন দুধ ও ন্যাপকিন কিনতেই এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। শিশুরা অসুস্থ হলে তার সঙ্গে যোগ হয় চিকিৎসার খরচ। আমার মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে এই খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।’
তিনি আরও জানান, সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে ৯ দিন থাকতে হয়েছে। ধারদেনা ও এনজিওর ঋণ মিলিয়ে এখন প্রায় ২ লাখ টাকা দেনা হয়েছে। স্ত্রীর প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের, কিন্তু তা কেনার সামর্থ্য তাঁর নেই।
সোহেলের শাশুড়ি শাহনাজ বেগম বলেন, ‘মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মেয়ে লামিয়া বিয়ের পাঁচ বছর পর একসঙ্গে ৫ সন্তান জন্ম দিয়েছে, আমার খুব খুশি। আমার তিন নাতি ও দুই নাতনির নাম রাখা হয়েছে হাসান, হোসাইন, মোয়াজ্জেম, লাবিবা ও উমামা। সিজার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে তাদের জন্ম হয়। অনেকেই এসে দেখে গেছেন, সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ সহযোগিতা করেননি। মা-মেয়ে মিলে সারা দিন বাচ্চাগুলোর যত্ন নিচ্ছি, এতে আমাদেরও শারীরিক কষ্ট হচ্ছে।’
সরকারি বা বেসরকারিভাবে যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে হয়তো এই নিষ্পাপ শিশুদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হবে, এমনটি আশা করছে শাহনাজ বেগম।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, ‘নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বাউফল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের অসহায় পরিবারকে সহায়তার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দ থাকে। তারা যদি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে, আমরা সহযোগিতা করব।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। যদি পরিবারটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে সহায়তা চায়, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’

একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া বেগম। তবে এই আনন্দের সংবাদের পরই দুশ্চিন্তা ভর করেছে সোহেল হাওলাদারের মাথায়। নবজাতকদের পুষ্টি ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দেন লামিয়া বেগম। লামিয়া পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠী গ্রামের মুদি দোকানদার সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী। স্থানীয় বাহেরচর বাজারে তাঁর একটি ছোট মুদি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আয়েই চলে পরিবার।
সোহেল হাওলাদার বলেন, ‘প্রতিদিন দুধ ও ন্যাপকিন কিনতেই এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। শিশুরা অসুস্থ হলে তার সঙ্গে যোগ হয় চিকিৎসার খরচ। আমার মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে এই খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।’
তিনি আরও জানান, সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে ৯ দিন থাকতে হয়েছে। ধারদেনা ও এনজিওর ঋণ মিলিয়ে এখন প্রায় ২ লাখ টাকা দেনা হয়েছে। স্ত্রীর প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের, কিন্তু তা কেনার সামর্থ্য তাঁর নেই।
সোহেলের শাশুড়ি শাহনাজ বেগম বলেন, ‘মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মেয়ে লামিয়া বিয়ের পাঁচ বছর পর একসঙ্গে ৫ সন্তান জন্ম দিয়েছে, আমার খুব খুশি। আমার তিন নাতি ও দুই নাতনির নাম রাখা হয়েছে হাসান, হোসাইন, মোয়াজ্জেম, লাবিবা ও উমামা। সিজার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে তাদের জন্ম হয়। অনেকেই এসে দেখে গেছেন, সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ সহযোগিতা করেননি। মা-মেয়ে মিলে সারা দিন বাচ্চাগুলোর যত্ন নিচ্ছি, এতে আমাদেরও শারীরিক কষ্ট হচ্ছে।’
সরকারি বা বেসরকারিভাবে যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে হয়তো এই নিষ্পাপ শিশুদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হবে, এমনটি আশা করছে শাহনাজ বেগম।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, ‘নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বাউফল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের অসহায় পরিবারকে সহায়তার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দ থাকে। তারা যদি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে, আমরা সহযোগিতা করব।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। যদি পরিবারটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে সহায়তা চায়, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’

প্রিজন ভ্যান থেকে একজন একজন করে নামছেন। শরীর ও পোশাক ঘেমে জবজবে। কষ্টের ছাপ স্পষ্ট সবার চোখমুখে। নেমেই যেন পরশ চাইছিলেন বাতাসের। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের একটি ফটকের ভেতরে ঢোকানো হলো।
৩১ মে ২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার...
২৩ মিনিট আগে
২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা করে যে বিয়ারিং প্যাড মানহীন ঘোষণা করেছিল, মূলত সেই প্যাড ব্যবহার করেই রাজধানীতে চলছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেছেন, উত্তরা থেকে
৮ ঘণ্টা আগে
আমাদের নগর পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নের স্বপ্নযাত্রায় এক অশনিসংকেত বেজে উঠেছে। মেট্রোরেল ভায়াডাক্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’-সম্পর্কিত দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটেছে গত রোববার। এবার প্রাণঘাতী পরিণতি নিয়ে। এই মৌলিক কাঠামোগত উপকরণটির এমন অকাল ব্যর্থতা প্রকল্পের নির্মাণকাজের গুণমান, পরবর্তী তদার
৮ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা করে যে বিয়ারিং প্যাড মানহীন ঘোষণা করেছিল, মূলত সেই প্যাড ব্যবহার করেই রাজধানীতে চলছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেছেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাইয়ের সরবরাহ করা প্যাড বসানো হয়েছে।
গত রোববার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হওয়ায় প্যাডের ‘ত্রুটির’ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এক বছরের একটু বেশি আগেই কাছাকাছি আরেকটি পিলার থেকে প্যাড খুলে পড়েছিল। এ ধরনের ঘটনায় মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
মেট্রোরেলের বর্তমান লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত (প্যাকেজ-৩ ও ৪) অংশের কাজ করেছে থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার (প্যাকেজ-৫) অংশ করেছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম গ্রুপ এবং একটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল (প্যাকেজ-৬) অংশে কাজ করেছে ইতাল-থাই ও জাপানি ঠিকাদার এসএমসিসি।
আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার অংশের আগে ও পরে উভয় অংশের লাইনের কাজে যুক্ত ছিল ইতাল-থাই। অর্থাৎ দুই-দুইবার প্যাড পড়ে যাওয়া ফার্মগেট অংশের কাজে তারা সম্পৃক্ত ছিল না। তবে ডিএমটিসিএলের এমডির বক্তব্য অনুযায়ী, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো রুটেই ব্যবহৃত হয়েছে ইতাল-থাইয়ের সরবরাহ করা প্যাড।
ফারুক আহমেদ গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমটিসিএলের হাতে বর্তমানে এই ইতাল-থাইয়ের বিয়ারিং প্যাড ছাড়া অন্য প্যাড নেই। ক্ষতিগ্রস্ত পিলারেও গতকাল নতুন করে ইতাল-থাইয়ের প্যাডই বসানো হয়েছে। তবে আমরা যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্যাডটি বসিয়েছি। যেহেতু এই প্যাড নিয়ে কথা উঠেছে, আমরা ভবিষ্যতে অন্য কারও থেকে বিয়ারিং প্যাড নেব।’
ডিএমটিসিএলের তৎকালীন কর্মকর্তাদের অনেকে মেট্রোরেল প্রকল্প বা কোম্পানিতে কর্মরত নন। এমডি ছাড়া বর্তমান কর্মকর্তা বা মেট্রোরেল সম্পর্কে অবগত প্রকৌশলীদের কেউ অবশ্য রুটের ঠিক কোন অংশে কোন কোম্পানির প্যাড ব্যবহৃত হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে সব প্যাডই ভিয়েতনাম থেকে আনা হয়েছিল বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন।
কংক্রিটের ঘর্ষণজনিত ক্ষতি ও কম্পন নিয়ন্ত্রণ করতে পিলার এবং তার ওপর থাকা ভায়াডাক্টের সংযোগে বসানো হয় রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি বিয়ারিং প্যাড।
ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বিয়ারিং প্যাড প্রথমবার ব্যবহারের আগে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে ২০২০ সালে এর মান পরীক্ষা করা হয়। সে পরীক্ষায় দেখা যায়, কয়েকটি প্যাডের স্থায়িত্ব, নমনীয়তা ও শক্তি নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়নি। এরপরও সেই প্যাড পুরো প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে।
সূত্র বলেছে, বুয়েটের পরীক্ষায় যখন প্যাডের নিম্নমানের অভিযোগ ওঠে, তত দিনে প্রায় ৮ কিলোমিটার উড়ালপথে প্যাড বসানো হয়ে গিয়েছিল। তারপর বাকি পথেও ইতাল-থাইয়ের প্যাডই বসানো হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছিল, বুয়েটের ল্যাবের পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। খবরে বলা হয়, এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই।
প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার সে বছরের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করতে গিয়ে যথাযথভাবে নিরাপত্তা মূল্যায়ন না করেই মেট্রোরেল চালু করে। সে সময় কম্পন সহনশীলতাসহ প্যাডের মান পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়নি।
রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি কিংবা কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গেছে বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান।
সাবেক সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রকল্পের শুরু থেকে একটা সময় পর্যন্ত ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আফতাব উদ্দিন তালুকদার লাইন-৬-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। প্রকল্পের মান ও তদারকির দায়িত্ব তাঁদের হাতে থাকলেও দুজনই ‘নন-টেকনিক্যাল’ হওয়ায় ঠিকাদারি কাজের সম্ভাব্য ভুল কিংবা কারিগরি ত্রুটি শনাক্ত করতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রথম ঘটনার সুস্পষ্ট কারণ চিহ্নিত হয়নি
জানা গেছে, ২০২৪ সালে প্রথমবার প্যাড খুলে পড়ার পর গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে পাঁচ থেকে সাতটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করলেও সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করতে পারেনি। এমআরটি লাইন-৬-এর সাবেক পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রথম প্যাড খুলে পড়ার পর জাপানি বিশেষজ্ঞরা ড্রোন ব্যবহার করে খতিয়ে দেখেছিলেন; কিন্তু এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা সম্ভব হয়নি। একটি প্যাডের ওপর প্রায় ২০০ টনের কংক্রিটের তৈরি ভায়াডাক্টের চাপ থাকে বলে এটি পড়ে যাওয়া খুবই অস্বাভাবিক।
আগেরবারের সেই তদন্ত কমিটির সদস্য ডিএমটিসিএলের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আব্দুল বাকী মিয়া বলেন, ওই সময় বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছিল। কী কী সুপারিশ করা হয়েছিল, এখন তা মনে নেই।
‘মেরামতের দায়িত্ব এখনো ঠিকাদারের’
প্যাডসহ সার্বিক বিষয়ে কী ভাবা হচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দু-তিন বছর পরপর প্যাড বদলানোর নিয়ম আছে। আমরা দেড় মাস পরপর মনিটরিং করছি। শর্ত অনুযায়ী মেরামতের দায়িত্ব এখনো ঠিকাদারের হাতে। ঠিকাদার ও পরামর্শক কাজ ঠিকমতো করেছেন কি না, আমরা তা দেখছি। প্রাথমিকভাবে দেখেছি, রোববার পড়ে যাওয়া প্যাডের গ্লু (আঠা) ছিল না। তবে কেন পড়েছে, তা তদন্তের পর বলা যাবে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, প্যাড বসানোর সময় ত্রুটি, উপকরণটির নিম্নমান, রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি এবং ট্রেন চলাচলের সময় অতিরিক্ত কম্পন বা চাপ—এমন কোনো কারণে প্যাড পড়ে গেছে।
পুরো রুটে তিন মাস পরপর ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘সমস্যা ডিজাইনে নয়। আমার মতে, এটি নির্মাণে ত্রুটি ও তদারকির ঘাটতির ফল। একই জায়গায় অল্প সময়ে দুবার এমন ঘটনা ঘটায় বোঝা যায়, ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। তাই পুরো প্রকল্পের নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা জরুরি, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো শনাক্ত ও ঠিক করা যায়।’
তদন্ত কমিটির প্রধান যা বললেন
রোববারের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান, মেট্রোর সাবেক এমডি ও সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গতকাল বলেন, ‘এখনই ঘটনার কারণ বলা যাচ্ছে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। আগের তদন্ত প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।’
মান যাচাই চেয়ে রিট
এদিকে মেট্রোরেল এবং সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। রিটে এসব স্থাপনায় ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান যাচাই করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
২৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল
ভারী প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মেট্রোরেলের বিঘ্নিত সেবা গতকাল বেলা ১১টা থেকে আবার স্বাভাবিকভাবে চালু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট পিলারের মাথায় নতুন করে প্যাড বসানোর পর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দক্ষিণের শেষ গন্তব্য মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর পর রোববার নিরাপত্তার কারণে প্রথমে ৩ ঘণ্টা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল। পরে দুই দফায় ফার্মগেট বাদ দিয়ে উভয় দিকে আংশিকভাবে সেবা চালু করা হয়েছিল।

২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা করে যে বিয়ারিং প্যাড মানহীন ঘোষণা করেছিল, মূলত সেই প্যাড ব্যবহার করেই রাজধানীতে চলছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেছেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাইয়ের সরবরাহ করা প্যাড বসানো হয়েছে।
গত রোববার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হওয়ায় প্যাডের ‘ত্রুটির’ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এক বছরের একটু বেশি আগেই কাছাকাছি আরেকটি পিলার থেকে প্যাড খুলে পড়েছিল। এ ধরনের ঘটনায় মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
মেট্রোরেলের বর্তমান লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত (প্যাকেজ-৩ ও ৪) অংশের কাজ করেছে থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার (প্যাকেজ-৫) অংশ করেছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম গ্রুপ এবং একটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল (প্যাকেজ-৬) অংশে কাজ করেছে ইতাল-থাই ও জাপানি ঠিকাদার এসএমসিসি।
আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার অংশের আগে ও পরে উভয় অংশের লাইনের কাজে যুক্ত ছিল ইতাল-থাই। অর্থাৎ দুই-দুইবার প্যাড পড়ে যাওয়া ফার্মগেট অংশের কাজে তারা সম্পৃক্ত ছিল না। তবে ডিএমটিসিএলের এমডির বক্তব্য অনুযায়ী, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো রুটেই ব্যবহৃত হয়েছে ইতাল-থাইয়ের সরবরাহ করা প্যাড।
ফারুক আহমেদ গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমটিসিএলের হাতে বর্তমানে এই ইতাল-থাইয়ের বিয়ারিং প্যাড ছাড়া অন্য প্যাড নেই। ক্ষতিগ্রস্ত পিলারেও গতকাল নতুন করে ইতাল-থাইয়ের প্যাডই বসানো হয়েছে। তবে আমরা যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্যাডটি বসিয়েছি। যেহেতু এই প্যাড নিয়ে কথা উঠেছে, আমরা ভবিষ্যতে অন্য কারও থেকে বিয়ারিং প্যাড নেব।’
ডিএমটিসিএলের তৎকালীন কর্মকর্তাদের অনেকে মেট্রোরেল প্রকল্প বা কোম্পানিতে কর্মরত নন। এমডি ছাড়া বর্তমান কর্মকর্তা বা মেট্রোরেল সম্পর্কে অবগত প্রকৌশলীদের কেউ অবশ্য রুটের ঠিক কোন অংশে কোন কোম্পানির প্যাড ব্যবহৃত হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে সব প্যাডই ভিয়েতনাম থেকে আনা হয়েছিল বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন।
কংক্রিটের ঘর্ষণজনিত ক্ষতি ও কম্পন নিয়ন্ত্রণ করতে পিলার এবং তার ওপর থাকা ভায়াডাক্টের সংযোগে বসানো হয় রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি বিয়ারিং প্যাড।
ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বিয়ারিং প্যাড প্রথমবার ব্যবহারের আগে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে ২০২০ সালে এর মান পরীক্ষা করা হয়। সে পরীক্ষায় দেখা যায়, কয়েকটি প্যাডের স্থায়িত্ব, নমনীয়তা ও শক্তি নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়নি। এরপরও সেই প্যাড পুরো প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে।
সূত্র বলেছে, বুয়েটের পরীক্ষায় যখন প্যাডের নিম্নমানের অভিযোগ ওঠে, তত দিনে প্রায় ৮ কিলোমিটার উড়ালপথে প্যাড বসানো হয়ে গিয়েছিল। তারপর বাকি পথেও ইতাল-থাইয়ের প্যাডই বসানো হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছিল, বুয়েটের ল্যাবের পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। খবরে বলা হয়, এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই।
প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার সে বছরের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করতে গিয়ে যথাযথভাবে নিরাপত্তা মূল্যায়ন না করেই মেট্রোরেল চালু করে। সে সময় কম্পন সহনশীলতাসহ প্যাডের মান পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়নি।
রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি কিংবা কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গেছে বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান।
সাবেক সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রকল্পের শুরু থেকে একটা সময় পর্যন্ত ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আফতাব উদ্দিন তালুকদার লাইন-৬-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। প্রকল্পের মান ও তদারকির দায়িত্ব তাঁদের হাতে থাকলেও দুজনই ‘নন-টেকনিক্যাল’ হওয়ায় ঠিকাদারি কাজের সম্ভাব্য ভুল কিংবা কারিগরি ত্রুটি শনাক্ত করতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রথম ঘটনার সুস্পষ্ট কারণ চিহ্নিত হয়নি
জানা গেছে, ২০২৪ সালে প্রথমবার প্যাড খুলে পড়ার পর গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে পাঁচ থেকে সাতটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করলেও সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করতে পারেনি। এমআরটি লাইন-৬-এর সাবেক পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রথম প্যাড খুলে পড়ার পর জাপানি বিশেষজ্ঞরা ড্রোন ব্যবহার করে খতিয়ে দেখেছিলেন; কিন্তু এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা সম্ভব হয়নি। একটি প্যাডের ওপর প্রায় ২০০ টনের কংক্রিটের তৈরি ভায়াডাক্টের চাপ থাকে বলে এটি পড়ে যাওয়া খুবই অস্বাভাবিক।
আগেরবারের সেই তদন্ত কমিটির সদস্য ডিএমটিসিএলের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আব্দুল বাকী মিয়া বলেন, ওই সময় বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছিল। কী কী সুপারিশ করা হয়েছিল, এখন তা মনে নেই।
‘মেরামতের দায়িত্ব এখনো ঠিকাদারের’
প্যাডসহ সার্বিক বিষয়ে কী ভাবা হচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দু-তিন বছর পরপর প্যাড বদলানোর নিয়ম আছে। আমরা দেড় মাস পরপর মনিটরিং করছি। শর্ত অনুযায়ী মেরামতের দায়িত্ব এখনো ঠিকাদারের হাতে। ঠিকাদার ও পরামর্শক কাজ ঠিকমতো করেছেন কি না, আমরা তা দেখছি। প্রাথমিকভাবে দেখেছি, রোববার পড়ে যাওয়া প্যাডের গ্লু (আঠা) ছিল না। তবে কেন পড়েছে, তা তদন্তের পর বলা যাবে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, প্যাড বসানোর সময় ত্রুটি, উপকরণটির নিম্নমান, রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি এবং ট্রেন চলাচলের সময় অতিরিক্ত কম্পন বা চাপ—এমন কোনো কারণে প্যাড পড়ে গেছে।
পুরো রুটে তিন মাস পরপর ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘সমস্যা ডিজাইনে নয়। আমার মতে, এটি নির্মাণে ত্রুটি ও তদারকির ঘাটতির ফল। একই জায়গায় অল্প সময়ে দুবার এমন ঘটনা ঘটায় বোঝা যায়, ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। তাই পুরো প্রকল্পের নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা জরুরি, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো শনাক্ত ও ঠিক করা যায়।’
তদন্ত কমিটির প্রধান যা বললেন
রোববারের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান, মেট্রোর সাবেক এমডি ও সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গতকাল বলেন, ‘এখনই ঘটনার কারণ বলা যাচ্ছে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। আগের তদন্ত প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।’
মান যাচাই চেয়ে রিট
এদিকে মেট্রোরেল এবং সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। রিটে এসব স্থাপনায় ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান যাচাই করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
২৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল
ভারী প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মেট্রোরেলের বিঘ্নিত সেবা গতকাল বেলা ১১টা থেকে আবার স্বাভাবিকভাবে চালু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট পিলারের মাথায় নতুন করে প্যাড বসানোর পর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দক্ষিণের শেষ গন্তব্য মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর পর রোববার নিরাপত্তার কারণে প্রথমে ৩ ঘণ্টা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল। পরে দুই দফায় ফার্মগেট বাদ দিয়ে উভয় দিকে আংশিকভাবে সেবা চালু করা হয়েছিল।

প্রিজন ভ্যান থেকে একজন একজন করে নামছেন। শরীর ও পোশাক ঘেমে জবজবে। কষ্টের ছাপ স্পষ্ট সবার চোখমুখে। নেমেই যেন পরশ চাইছিলেন বাতাসের। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের একটি ফটকের ভেতরে ঢোকানো হলো।
৩১ মে ২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার...
২৩ মিনিট আগে
একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া বেগম। তবে এই আনন্দের সংবাদের পরই দুশ্চিন্তা ভর করেছে সোহেল হাওলাদারের মাথায়। নবজাতকদের পুষ্টি ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের নগর পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নের স্বপ্নযাত্রায় এক অশনিসংকেত বেজে উঠেছে। মেট্রোরেল ভায়াডাক্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’-সম্পর্কিত দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটেছে গত রোববার। এবার প্রাণঘাতী পরিণতি নিয়ে। এই মৌলিক কাঠামোগত উপকরণটির এমন অকাল ব্যর্থতা প্রকল্পের নির্মাণকাজের গুণমান, পরবর্তী তদার
৮ ঘণ্টা আগেমো. সামছুল হক, অধ্যাপক, বুয়েট

আমাদের নগর পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নের স্বপ্নযাত্রায় এক অশনিসংকেত বেজে উঠেছে। মেট্রোরেল ভায়াডাক্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’-সম্পর্কিত দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটেছে গত রোববার। এবার প্রাণঘাতী পরিণতি নিয়ে। এই মৌলিক কাঠামোগত উপকরণটির এমন অকাল ব্যর্থতা প্রকল্পের নির্মাণকাজের গুণমান, পরবর্তী তদারকি এবং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে দুই ধাপে চালু হওয়া এমআরটি লাইনটি এখনো আড়াই বছর পূর্ণ করেনি। তাই ২০-৩০ বছরের নকশাগত আয়ুষ্কালের একটি বিয়ারিং প্যাডের এমন বিপর্যয় জিনিসটি পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটেনি; বরং এটি এক গভীরতর ও মৌলিক ত্রুটির ইঙ্গিত বহন করে।
বিয়ারিং প্যাড হলো ভূমি থেকে কিছু ওপর দিয়ে চলা যে কোনো রেল বা সড়ক অবকাঠামোর (ভায়াডাক্ট) অত্যাবশ্যক অংশ। ইলাস্টোমেরিক রাবার ও স্টিলের সংমিশ্রণে তৈরি এ প্যাডগুলো কংক্রিট ডেক (যার ওপর দিয়ে ট্রেন চলে) ও পিয়ারের (পিলার বা খুঁটি) মাঝখানে বসানো থাকে। এর মূল কাজ হলো ট্রেনের ওজন সমানভাবে বণ্টন করা, কম্পন শোষণ করা এবং তাপমাত্রা বা চলাচলের কারণে সৃষ্ট ক্ষুদ্র গতিবিধি সামলানো।
কঠিন হয়ে যাওয়া বা সরে যাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে এ প্যাড কাজ করতে ব্যর্থ হলে ট্রেনের লোড বণ্টনে ভারসাম্য নষ্ট হয়। ডেকে অসংগতির সৃষ্টি হয় এবং পিয়ারের কাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।
প্যাড পড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো
রোববারের ঘটনা ইঙ্গিত করে, খুলে পড়া বিয়ারিং প্যাডটি আর পিয়ার ও ডেকের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা অবস্থায় ছিল না। যেহেতু মেট্রো লাইনটি মাত্র দুই বছরের কিছু বেশি সময় আগে চালু করা হয়েছিল, তাই অকাল ক্ষয় বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবজনিত মানের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ ঘটনার সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:
নকশাগত ত্রুটি বা স্থাপনজনিত ভুল: সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ এটিই। পিয়ার পৃষ্ঠের ভুল লেভেলিং, অসম প্যাড পুরুত্ব, তা সঠিকভাবে স্থাপন না করা বা পর্যাপ্ত পার্শ্ব-নিয়ন্ত্রণের অভাবের ফলে বিয়ারিং শুরু থেকেই সঠিকভাবে কাজ করেনি।
নির্মাণপর্যায়ে তদারকির অভাব: এমআরটি লাইন-৬-এর নির্মাণকাজ চলার সময় অভিজ্ঞ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট (PIU) ছিল দুর্বল, যা সড়ক ও রেলওয়ে বিভাগের কয়েকজন প্রেষণে নিযুক্ত প্রকৌশলীর ওপর নির্ভরশীল ছিল। তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নতুন প্রযুক্তিগত জনবল নিয়োগে অনাগ্রহ দেখিয়ে পরামর্শকদের ওপর নির্ভর করেছিলেন, যাঁদের বাণিজ্যিক স্বার্থের কারণে কঠোর সাইট তদারকি ব্যাহত হয়ে থাকতে পারে। এমনটি দেশের বহু প্রকল্পেই দেখা যায়।
মধ্যপ্রাচ্য ও সিঙ্গাপুরে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ডে অভ্যস্ত নির্মাণকাজে যুক্ত শ্রমিকেরা অনেকে তদারকির অভাব ও নিরাপত্তা প্রটোকল লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কেউ কেউ যথাযথ তদারকি ছাড়াই কাজ চলছিল বলে সরাসরি অভিযোগও জানিয়েছিলেন।
তাড়াহুড়ো করে নির্মাণ: তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরামর্শকদের ২০২২ সালের সুপারিশ উপেক্ষা করে ২০১৯ সালের মধ্যেই মেট্রোরেল উদ্বোধনের জোর দাবি জানান। নির্বাচনী তাড়নার কারণে তৈরি করা এই অবাস্তব সময়সূচির ফলে মাঠপর্যায়ে কাজ দ্রুত শেষ করতে গিয়ে সাইট তদারকি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এর সঙ্গে নিজস্ব প্রযুক্তিগত জনবলের অভাব ও পরামর্শক তদারকির দুর্বলতা যুক্ত হয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ফলে মেট্রোর ট্রানজিট-ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (TOD) এবং নন-অপারেশনাল রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উপেক্ষিত হয়, প্রথম ও শেষ মাইল সংযোগব্যবস্থা অবহেলিত থাকে এবং জনসাধারণের ব্যবহারের আগে আবশ্যিক নিরাপত্তা মূল্যায়নও অনিষ্পন্ন থেকে যায়।
নিরাপত্তাব্যবস্থা ও সুপারিশ
এক বছর পেরোতে না পেরোতেই দ্বিতীয় এমন ঘটনা প্রমাণ করে, প্রথম দুর্ঘটনার মূল কারণ সঠিকভাবে শনাক্ত বা সমাধান করা হয়নি। এটি বর্তমান নিরাপত্তা নিরীক্ষা ও দায়বদ্ধতা ব্যবস্থার মারাত্মক দুর্বলতা প্রকাশ করে।
উল্লেখ করা দরকার, বর্তমানে রাজধানীর মেট্রোরেল এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে না। ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ব্যবধানে ও কম কামরা নিয়ে চলছে ট্রেন। তবে সেবার মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গতিশীল লোড ও কম্পনও বাড়বে, যা এ দুর্বল উপাদানগুলোর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে যা করা প্রয়োজন
স্বাধীন বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা নিরীক্ষা: ঘটনার প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে একটি স্বাধীন, দক্ষ ও প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম সংস্থার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানো জরুরি। এটি কোনো অভ্যন্তরীণ তদন্ত হওয়া উচিত নয়।
তাৎক্ষণিক কাঠামোগত ব্যবস্থা: ভায়াডাক্টের সব গুরুত্বপূর্ণ অংশে বাড়তি পার্শ্ব-নিয়ন্ত্রণ, যেমন শিয়ার কি বা গাইডবার সংযোজন করে প্যাডের স্থানচ্যুতি রোধ করতে হবে।
প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট গঠন: ডিএমটিসিএলের অভ্যন্তরে একটি শক্তিশালী, প্রকৌশলী-নেতৃত্বাধীন রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট গঠন করতে হবে। এটি প্রতি ৬ মাসে সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রতি এক বছরে লোড টেস্ট পরিচালনা করবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারবে।
ডিএমটিসিএলের কাঠামোগত সংস্কার: বহু বিলিয়ন টাকার মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী সংস্থাটিকে জ্ঞানভিত্তিক ও সেবাকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে। এটি প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ পেশাদার কর্মীদের হাতে পরিচালিত হতে হবে। বর্তমানের প্রেষণে পাঠানো বা অবসরপ্রাপ্ত সাধারণ আমলাদের প্রাধান্য প্রকল্পের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য বড় ঝুঁকি।
সবশেষে বলব, দুর্ঘটনার মূল কারণ শনাক্ত করে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত না করা হলে ভবিষ্যতে এ রকম আরও প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটতে পারে। মেট্রোরেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে একাধিক দুর্ঘটনা শুধু এর ব্যবহারকারী নয়; বরং প্রতিদিন নিচের সড়কে চলাচলকারী হাজারো নাগরিকের মধ্যেও ভয়ের সঞ্চার করেছে।
ডিএমটিসিএলকে একটি প্রযুক্তিভিত্তিক, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা। দুটি অবোধ শিশুকে এতিম করা এবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি হোক সে পরিবর্তনের সূচনা।

আমাদের নগর পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নের স্বপ্নযাত্রায় এক অশনিসংকেত বেজে উঠেছে। মেট্রোরেল ভায়াডাক্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’-সম্পর্কিত দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটেছে গত রোববার। এবার প্রাণঘাতী পরিণতি নিয়ে। এই মৌলিক কাঠামোগত উপকরণটির এমন অকাল ব্যর্থতা প্রকল্পের নির্মাণকাজের গুণমান, পরবর্তী তদারকি এবং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে দুই ধাপে চালু হওয়া এমআরটি লাইনটি এখনো আড়াই বছর পূর্ণ করেনি। তাই ২০-৩০ বছরের নকশাগত আয়ুষ্কালের একটি বিয়ারিং প্যাডের এমন বিপর্যয় জিনিসটি পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটেনি; বরং এটি এক গভীরতর ও মৌলিক ত্রুটির ইঙ্গিত বহন করে।
বিয়ারিং প্যাড হলো ভূমি থেকে কিছু ওপর দিয়ে চলা যে কোনো রেল বা সড়ক অবকাঠামোর (ভায়াডাক্ট) অত্যাবশ্যক অংশ। ইলাস্টোমেরিক রাবার ও স্টিলের সংমিশ্রণে তৈরি এ প্যাডগুলো কংক্রিট ডেক (যার ওপর দিয়ে ট্রেন চলে) ও পিয়ারের (পিলার বা খুঁটি) মাঝখানে বসানো থাকে। এর মূল কাজ হলো ট্রেনের ওজন সমানভাবে বণ্টন করা, কম্পন শোষণ করা এবং তাপমাত্রা বা চলাচলের কারণে সৃষ্ট ক্ষুদ্র গতিবিধি সামলানো।
কঠিন হয়ে যাওয়া বা সরে যাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণে এ প্যাড কাজ করতে ব্যর্থ হলে ট্রেনের লোড বণ্টনে ভারসাম্য নষ্ট হয়। ডেকে অসংগতির সৃষ্টি হয় এবং পিয়ারের কাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।
প্যাড পড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো
রোববারের ঘটনা ইঙ্গিত করে, খুলে পড়া বিয়ারিং প্যাডটি আর পিয়ার ও ডেকের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা অবস্থায় ছিল না। যেহেতু মেট্রো লাইনটি মাত্র দুই বছরের কিছু বেশি সময় আগে চালু করা হয়েছিল, তাই অকাল ক্ষয় বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবজনিত মানের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ ঘটনার সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:
নকশাগত ত্রুটি বা স্থাপনজনিত ভুল: সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ এটিই। পিয়ার পৃষ্ঠের ভুল লেভেলিং, অসম প্যাড পুরুত্ব, তা সঠিকভাবে স্থাপন না করা বা পর্যাপ্ত পার্শ্ব-নিয়ন্ত্রণের অভাবের ফলে বিয়ারিং শুরু থেকেই সঠিকভাবে কাজ করেনি।
নির্মাণপর্যায়ে তদারকির অভাব: এমআরটি লাইন-৬-এর নির্মাণকাজ চলার সময় অভিজ্ঞ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের ঘাটতি ছিল স্পষ্ট। প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ইউনিট (PIU) ছিল দুর্বল, যা সড়ক ও রেলওয়ে বিভাগের কয়েকজন প্রেষণে নিযুক্ত প্রকৌশলীর ওপর নির্ভরশীল ছিল। তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নতুন প্রযুক্তিগত জনবল নিয়োগে অনাগ্রহ দেখিয়ে পরামর্শকদের ওপর নির্ভর করেছিলেন, যাঁদের বাণিজ্যিক স্বার্থের কারণে কঠোর সাইট তদারকি ব্যাহত হয়ে থাকতে পারে। এমনটি দেশের বহু প্রকল্পেই দেখা যায়।
মধ্যপ্রাচ্য ও সিঙ্গাপুরে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ডে অভ্যস্ত নির্মাণকাজে যুক্ত শ্রমিকেরা অনেকে তদারকির অভাব ও নিরাপত্তা প্রটোকল লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কেউ কেউ যথাযথ তদারকি ছাড়াই কাজ চলছিল বলে সরাসরি অভিযোগও জানিয়েছিলেন।
তাড়াহুড়ো করে নির্মাণ: তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরামর্শকদের ২০২২ সালের সুপারিশ উপেক্ষা করে ২০১৯ সালের মধ্যেই মেট্রোরেল উদ্বোধনের জোর দাবি জানান। নির্বাচনী তাড়নার কারণে তৈরি করা এই অবাস্তব সময়সূচির ফলে মাঠপর্যায়ে কাজ দ্রুত শেষ করতে গিয়ে সাইট তদারকি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এর সঙ্গে নিজস্ব প্রযুক্তিগত জনবলের অভাব ও পরামর্শক তদারকির দুর্বলতা যুক্ত হয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ফলে মেট্রোর ট্রানজিট-ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (TOD) এবং নন-অপারেশনাল রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উপেক্ষিত হয়, প্রথম ও শেষ মাইল সংযোগব্যবস্থা অবহেলিত থাকে এবং জনসাধারণের ব্যবহারের আগে আবশ্যিক নিরাপত্তা মূল্যায়নও অনিষ্পন্ন থেকে যায়।
নিরাপত্তাব্যবস্থা ও সুপারিশ
এক বছর পেরোতে না পেরোতেই দ্বিতীয় এমন ঘটনা প্রমাণ করে, প্রথম দুর্ঘটনার মূল কারণ সঠিকভাবে শনাক্ত বা সমাধান করা হয়নি। এটি বর্তমান নিরাপত্তা নিরীক্ষা ও দায়বদ্ধতা ব্যবস্থার মারাত্মক দুর্বলতা প্রকাশ করে।
উল্লেখ করা দরকার, বর্তমানে রাজধানীর মেট্রোরেল এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় পরিচালিত হচ্ছে না। ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ব্যবধানে ও কম কামরা নিয়ে চলছে ট্রেন। তবে সেবার মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গতিশীল লোড ও কম্পনও বাড়বে, যা এ দুর্বল উপাদানগুলোর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে যা করা প্রয়োজন
স্বাধীন বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা নিরীক্ষা: ঘটনার প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে একটি স্বাধীন, দক্ষ ও প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম সংস্থার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানো জরুরি। এটি কোনো অভ্যন্তরীণ তদন্ত হওয়া উচিত নয়।
তাৎক্ষণিক কাঠামোগত ব্যবস্থা: ভায়াডাক্টের সব গুরুত্বপূর্ণ অংশে বাড়তি পার্শ্ব-নিয়ন্ত্রণ, যেমন শিয়ার কি বা গাইডবার সংযোজন করে প্যাডের স্থানচ্যুতি রোধ করতে হবে।
প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট গঠন: ডিএমটিসিএলের অভ্যন্তরে একটি শক্তিশালী, প্রকৌশলী-নেতৃত্বাধীন রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট গঠন করতে হবে। এটি প্রতি ৬ মাসে সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রতি এক বছরে লোড টেস্ট পরিচালনা করবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারবে।
ডিএমটিসিএলের কাঠামোগত সংস্কার: বহু বিলিয়ন টাকার মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী সংস্থাটিকে জ্ঞানভিত্তিক ও সেবাকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে। এটি প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ পেশাদার কর্মীদের হাতে পরিচালিত হতে হবে। বর্তমানের প্রেষণে পাঠানো বা অবসরপ্রাপ্ত সাধারণ আমলাদের প্রাধান্য প্রকল্পের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য বড় ঝুঁকি।
সবশেষে বলব, দুর্ঘটনার মূল কারণ শনাক্ত করে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত না করা হলে ভবিষ্যতে এ রকম আরও প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটতে পারে। মেট্রোরেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে একাধিক দুর্ঘটনা শুধু এর ব্যবহারকারী নয়; বরং প্রতিদিন নিচের সড়কে চলাচলকারী হাজারো নাগরিকের মধ্যেও ভয়ের সঞ্চার করেছে।
ডিএমটিসিএলকে একটি প্রযুক্তিভিত্তিক, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা। দুটি অবোধ শিশুকে এতিম করা এবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি হোক সে পরিবর্তনের সূচনা।

প্রিজন ভ্যান থেকে একজন একজন করে নামছেন। শরীর ও পোশাক ঘেমে জবজবে। কষ্টের ছাপ স্পষ্ট সবার চোখমুখে। নেমেই যেন পরশ চাইছিলেন বাতাসের। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের একটি ফটকের ভেতরে ঢোকানো হলো।
৩১ মে ২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার...
২৩ মিনিট আগে
একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া বেগম। তবে এই আনন্দের সংবাদের পরই দুশ্চিন্তা ভর করেছে সোহেল হাওলাদারের মাথায়। নবজাতকদের পুষ্টি ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা করে যে বিয়ারিং প্যাড মানহীন ঘোষণা করেছিল, মূলত সেই প্যাড ব্যবহার করেই রাজধানীতে চলছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেছেন, উত্তরা থেকে
৮ ঘণ্টা আগে