গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলা শুরু করেছেন বলে চালকদের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক কাউন্টারের মাস্টার। আবার তাঁদের বিরুদ্ধেও যাত্রীদের ক্ষোভ আছে। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনায় কিছু সংকট রয়ে গেলেও যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে আগ্রহ লক্ষণীয়।
নগর পরিবহনের বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত রফিকুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে তৈরি হওয়া আগ্রহের জায়গাটি বোঝা গেল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নগর পরিবহনের জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করলেও লাভ। কারণ অন্যরা রাস্তায় বসে থাকে, মোড়ে মোড়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটা জ্যাম না থাকলে এক টানে চলে যায়। ভাড়াও তুলনামূলক কম। তাই এই বাসে যাওয়ার চেষ্টা করি। গাড়ি আরও বাড়ালে যাত্রীদের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা নগর পরিবহন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে ৫০টি বাস নিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। প্রথম দিকে সাড়া কম পাওয়া গেলেও এখন চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ১০০ বাস নামানোয় যাত্রীদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। এমনিতে নগর পরিবহনের কাউন্টারে দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি কাউন্টারেই যাত্রীরা নগর পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটির দিন ও দুপুর হওয়ায় এ ভিড় যদিও তুলনামূলক কম।
এমনিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে যাত্রী সংখ্যায় তারতম্য দেখা যায়। সকালে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। নগর পরিবহনে তখন তিল ঠাঁইয়ের জায়গা থাকে না। টিকিট কেটে বসে থাকলেও বাসে উঠতে পারেন না অনেকে। দেখা যায়, এক-দুটি বাস পরে তারা জায়গা পাচ্ছেন। কিন্তু সারা দিনের চিত্র এমন নয়। বিশেষত দুপুরের দিকে নগর পরিবহনের দ্বিতল বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই যেতে দেখা যায়। যদিও এই একই সময়ে অন্য বেসরকারি মালিকানাধীন বাসগুলো যাত্রী-বোঝাই থাকে। এর কারণ হিসেবে কাউন্টারের অবস্থানকে দায়ী করলেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন কাউন্টারের মাস্টার জানান, যেসব জায়গায় কাউন্টারগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলো বাস কাউন্টারের জন্য একটু অপ্রচলিত। অধিকাংশ কাউন্টার অন্য বাস থামার জায়গা থেকে একটু দূরে।
কাউন্টারে মাস্টারদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি কাউন্টারে গিয়ে। কাঁচপুরগামী বাসের শাহবাগের কাউন্টার খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। শাহবাগের কথাই ধরা যাক। ব্যস্ত এই সড়কে চলাচলকারী বেসরকারি বাসগুলো শাহবাগ মোড় থেকেই যাত্রী তোলে। যেগুলোর কাউন্টার আছে, সেগুলো তোলে রমনা পার্কের কোনা থেকে। নগর পরিবহনের কাউন্টারের অবস্থান এই দুইয়ের মাঝামাঝি। ফলে অনেকে দূরে গিয়ে টিকিট কেনার ঝক্কি নিতে চান না অনেকেই। তাই তাঁরা বেসরকারি পরিবহনেই চলাচল করেন। এ ছাড়া পল্টনের কাউন্টারও ভেতরের দিকে। কাউন্টারের অবস্থান জটিলতা যাত্রীদের অনেক সময় সমস্যায় ফেলে দেয়। তবুও অনেকেই নিয়মিত চলাচল করেন নগর পরিবহনে।
ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শফিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাসের সার্ভিস অনেক ভালো। দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য বাস থেকে এই বাসের ভাড়াও কম। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। যেমন বাসের সংখ্যা অনেক কম। সকালে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেকক্ষণ পর গাড়ি আসে।’
অবশ্য এরই মধ্যে এই বাসের চালকেরা কিছু অনিয়ম শুরু করেছেন বলেও জানালেন শফিকুল। তিনি বলেন, ‘অনেকে টিকিট ছাড়া ওঠে। আবার ড্রাইভার মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠায়। এই সমস্যাগুলো ছাড়া সব ঠিকঠাক।’
কাউন্টার ছাড়া মাঝ-রাস্তায় বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল সরেজমিনে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করলেন বেশ কয়েকটি কাউন্টারের মাস্টার। পল্টন মোড়ের কাউন্টার মাস্টার সিফাত বলেন, ‘ড্রাইভারেরা রাস্তায় টিকিট ছাড়া যাত্রী নেয়। তাদের এমন আচরণ বন্ধ না করলে পরিবহনের ক্ষতি হবে।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমরা দুই-একটা যাত্রী তুলি। এটা আমাদের চা খরচের জন্য। আমাদের দিনে তো কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হয় না। তবে খুব বেশি যাত্রী টিকিট ছাড়া আমরা তুলি না।’
অভিযোগ আছে কাউন্টার মাস্টারদের নিয়েও। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, কিছু কাউন্টার মাস্টার যাত্রীদের ঠিকমতো তথ্য দিতে চান না। বাস কখন আসবে—জানতে চাইলে বলেন, ‘সময় লাগবে।’ অনেকে যাত্রীদের অন্য গাড়িতে যাওয়ার কথাও বলেন। আবার বেসরকারি পরিবহনে যাত্রী তুলে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বাসের সংখ্যা, কাউন্টারের অবস্থানগত জটিলতা ইত্যাদি সত্ত্বেও যাত্রীদের মধ্যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পরিবহন সেবা। বাস সংখ্যা বাড়লে এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অনেকে। তাঁদের মতে, বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় জ্যামের কারণে একটা বাস আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাই যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়। জ্যামের কারণে টিকিট বিক্রিও কমেছে বলে জানালেন কেউ কেউ। আবার দিনের ব্যস্ত সময়ে টিকিট বেশি বিক্রি হলেও তখন যাত্রীদের স্থান-সংকুলান নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয়। নানা ব্যবস্থাপনাগত সংকট থাকলেও নগর পরিবহনের জনপ্রিয়তা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে মূলত এর ভাড়ার হার ও এর নিয়ম মেনে চলার কারণে।

মাঝে টিকিট বিক্রি কমলেও এখন আবার বাড়ছে বলে জানালেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝে টিকিট বিক্রি কমেছিল তবে এখন আবার আগের চেয়ে বেড়েছে।’
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুস শাকুর যেমন নগর পরিবহনের সেবায় সন্তুষ্ট। যতটা অভিযোগ, তা বাস-সংখ্যা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘অন্য বাসগুলোর সিট ভালো না। এই বাসের সিট পরিষ্কার। প্রতিটা সিটে ফ্যান আছে। তাই এই বাসেই আসা-যাওয়া করি। তবে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় সব সময় বাস পাওয়া যায় না।’
যাত্রী ও কাউন্টার মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে যতটা বোঝা গেল, নিয়ম মেনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা গেলে এই পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আরও।
বিভিন্ন অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ওয়াকিবহাল। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানালেন ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত পরিদর্শন অভিযান চলে। পুলিশও চেক করে। তবে এতেও কাজ না হলে আমরা কাউন্টারম্যানদের বদলে দিচ্ছি দ্রুতই।’
একই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানালেন ধ্রুব। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রুটে আরও বাস নামানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলা শুরু করেছেন বলে চালকদের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক কাউন্টারের মাস্টার। আবার তাঁদের বিরুদ্ধেও যাত্রীদের ক্ষোভ আছে। সব মিলিয়ে ব্যবস্থাপনায় কিছু সংকট রয়ে গেলেও যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে আগ্রহ লক্ষণীয়।
নগর পরিবহনের বাসে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত রফিকুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যাত্রীদের মধ্যে এই পরিবহন নিয়ে তৈরি হওয়া আগ্রহের জায়গাটি বোঝা গেল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নগর পরিবহনের জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করলেও লাভ। কারণ অন্যরা রাস্তায় বসে থাকে, মোড়ে মোড়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটা জ্যাম না থাকলে এক টানে চলে যায়। ভাড়াও তুলনামূলক কম। তাই এই বাসে যাওয়ার চেষ্টা করি। গাড়ি আরও বাড়ালে যাত্রীদের জন্য খুব ভালো হবে।’
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা নগর পরিবহন। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রুটে ৫০টি বাস নিয়ে শুরু হয় এ যাত্রা। প্রথম দিকে সাড়া কম পাওয়া গেলেও এখন চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। এর মধ্যে নতুন করে আরও ১০০ বাস নামানোয় যাত্রীদের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। এমনিতে নগর পরিবহনের কাউন্টারে দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা যায়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি কাউন্টারেই যাত্রীরা নগর পরিবহনের বাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটির দিন ও দুপুর হওয়ায় এ ভিড় যদিও তুলনামূলক কম।
এমনিতে দিনের বিভিন্ন সময়ে যাত্রী সংখ্যায় তারতম্য দেখা যায়। সকালে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। নগর পরিবহনে তখন তিল ঠাঁইয়ের জায়গা থাকে না। টিকিট কেটে বসে থাকলেও বাসে উঠতে পারেন না অনেকে। দেখা যায়, এক-দুটি বাস পরে তারা জায়গা পাচ্ছেন। কিন্তু সারা দিনের চিত্র এমন নয়। বিশেষত দুপুরের দিকে নগর পরিবহনের দ্বিতল বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই যেতে দেখা যায়। যদিও এই একই সময়ে অন্য বেসরকারি মালিকানাধীন বাসগুলো যাত্রী-বোঝাই থাকে। এর কারণ হিসেবে কাউন্টারের অবস্থানকে দায়ী করলেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন কাউন্টারের মাস্টার জানান, যেসব জায়গায় কাউন্টারগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলো বাস কাউন্টারের জন্য একটু অপ্রচলিত। অধিকাংশ কাউন্টার অন্য বাস থামার জায়গা থেকে একটু দূরে।
কাউন্টারে মাস্টারদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল বেশ কয়েকটি কাউন্টারে গিয়ে। কাঁচপুরগামী বাসের শাহবাগের কাউন্টার খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। শাহবাগের কথাই ধরা যাক। ব্যস্ত এই সড়কে চলাচলকারী বেসরকারি বাসগুলো শাহবাগ মোড় থেকেই যাত্রী তোলে। যেগুলোর কাউন্টার আছে, সেগুলো তোলে রমনা পার্কের কোনা থেকে। নগর পরিবহনের কাউন্টারের অবস্থান এই দুইয়ের মাঝামাঝি। ফলে অনেকে দূরে গিয়ে টিকিট কেনার ঝক্কি নিতে চান না অনেকেই। তাই তাঁরা বেসরকারি পরিবহনেই চলাচল করেন। এ ছাড়া পল্টনের কাউন্টারও ভেতরের দিকে। কাউন্টারের অবস্থান জটিলতা যাত্রীদের অনেক সময় সমস্যায় ফেলে দেয়। তবুও অনেকেই নিয়মিত চলাচল করেন নগর পরিবহনে।
ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শফিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাসের সার্ভিস অনেক ভালো। দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য বাস থেকে এই বাসের ভাড়াও কম। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। যেমন বাসের সংখ্যা অনেক কম। সকালে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেকক্ষণ পর গাড়ি আসে।’
অবশ্য এরই মধ্যে এই বাসের চালকেরা কিছু অনিয়ম শুরু করেছেন বলেও জানালেন শফিকুল। তিনি বলেন, ‘অনেকে টিকিট ছাড়া ওঠে। আবার ড্রাইভার মাঝে মাঝে রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠায়। এই সমস্যাগুলো ছাড়া সব ঠিকঠাক।’
কাউন্টার ছাড়া মাঝ-রাস্তায় বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল সরেজমিনে। এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করলেন বেশ কয়েকটি কাউন্টারের মাস্টার। পল্টন মোড়ের কাউন্টার মাস্টার সিফাত বলেন, ‘ড্রাইভারেরা রাস্তায় টিকিট ছাড়া যাত্রী নেয়। তাদের এমন আচরণ বন্ধ না করলে পরিবহনের ক্ষতি হবে।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমরা দুই-একটা যাত্রী তুলি। এটা আমাদের চা খরচের জন্য। আমাদের দিনে তো কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হয় না। তবে খুব বেশি যাত্রী টিকিট ছাড়া আমরা তুলি না।’
অভিযোগ আছে কাউন্টার মাস্টারদের নিয়েও। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, কিছু কাউন্টার মাস্টার যাত্রীদের ঠিকমতো তথ্য দিতে চান না। বাস কখন আসবে—জানতে চাইলে বলেন, ‘সময় লাগবে।’ অনেকে যাত্রীদের অন্য গাড়িতে যাওয়ার কথাও বলেন। আবার বেসরকারি পরিবহনে যাত্রী তুলে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বাসের সংখ্যা, কাউন্টারের অবস্থানগত জটিলতা ইত্যাদি সত্ত্বেও যাত্রীদের মধ্যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পরিবহন সেবা। বাস সংখ্যা বাড়লে এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অনেকে। তাঁদের মতে, বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় জ্যামের কারণে একটা বাস আসতে ৩০-৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাই যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়। জ্যামের কারণে টিকিট বিক্রিও কমেছে বলে জানালেন কেউ কেউ। আবার দিনের ব্যস্ত সময়ে টিকিট বেশি বিক্রি হলেও তখন যাত্রীদের স্থান-সংকুলান নিয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয়। নানা ব্যবস্থাপনাগত সংকট থাকলেও নগর পরিবহনের জনপ্রিয়তা যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে মূলত এর ভাড়ার হার ও এর নিয়ম মেনে চলার কারণে।

মাঝে টিকিট বিক্রি কমলেও এখন আবার বাড়ছে বলে জানালেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝে টিকিট বিক্রি কমেছিল তবে এখন আবার আগের চেয়ে বেড়েছে।’
মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুস শাকুর যেমন নগর পরিবহনের সেবায় সন্তুষ্ট। যতটা অভিযোগ, তা বাস-সংখ্যা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘অন্য বাসগুলোর সিট ভালো না। এই বাসের সিট পরিষ্কার। প্রতিটা সিটে ফ্যান আছে। তাই এই বাসেই আসা-যাওয়া করি। তবে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় সব সময় বাস পাওয়া যায় না।’
যাত্রী ও কাউন্টার মাস্টারদের সঙ্গে কথা বলে যতটা বোঝা গেল, নিয়ম মেনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা গেলে এই পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আরও।
বিভিন্ন অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ওয়াকিবহাল। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানালেন ডিটিসিএর ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত পরিদর্শন অভিযান চলে। পুলিশও চেক করে। তবে এতেও কাজ না হলে আমরা কাউন্টারম্যানদের বদলে দিচ্ছি দ্রুতই।’
একই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানালেন ধ্রুব। তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রুটে আরও বাস নামানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
২ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া। একই সঙ্গে দূরত্বের জন্যও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। এরপর জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই সচিবালয়ের নিকারের সভায় মাদারীপুরের ডাসারকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ডাসার উপজেলাটি কালকিনি উপজেলার মধ্যে ছিল। তখন মাদারীপুরে উপজেলার সংখ্যা ছিল চারটি। ডাসারকে উপজেলা ঘোষণার পর এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচটি। ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট ডাসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়। উপজেলাটির আয়তন ৭৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৩ জন।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়নি। ফলে এই উপজেলার মানুষকে চিকিৎসা নিতে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ধুলগাও গ্রামের নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স তিন বছর। ঠান্ডা-সর্দিসহ নানা সময় নানান অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই মাঝেমধ্যেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। আয় করতে পারেন না। আমরা গরিব মানুষ, সরকারিভাবে ডাক্তার দেখাতে হয়। তাই মাদারীপুর শহরে গিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দেখাতে হয়। এতে করে আমাদের সময় বেশি লাগে, গাড়ি ভাড়ার টাকা লাগে।’ তিনি বলেন, ‘এই উপজেলায় একটি সরকারি হাসপাতাল হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার মায়ের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। তাই একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের ডাসার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। তাই কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। তখন নিজ বাড়ি থেকে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এই উপজেলায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
ডাসারের নবগ্রামের বাসিন্দা নিতু রাণী বলেন, ‘আমাদের ডাসার উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা উপজেলাবাসী চাই অন্য উপজেলার মতো এই উপজেলাতেও একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ-উল-আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া। একই সঙ্গে দূরত্বের জন্যও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। এরপর জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই সচিবালয়ের নিকারের সভায় মাদারীপুরের ডাসারকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ডাসার উপজেলাটি কালকিনি উপজেলার মধ্যে ছিল। তখন মাদারীপুরে উপজেলার সংখ্যা ছিল চারটি। ডাসারকে উপজেলা ঘোষণার পর এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচটি। ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট ডাসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়। উপজেলাটির আয়তন ৭৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৩ জন।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়নি। ফলে এই উপজেলার মানুষকে চিকিৎসা নিতে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ধুলগাও গ্রামের নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স তিন বছর। ঠান্ডা-সর্দিসহ নানা সময় নানান অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই মাঝেমধ্যেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। আয় করতে পারেন না। আমরা গরিব মানুষ, সরকারিভাবে ডাক্তার দেখাতে হয়। তাই মাদারীপুর শহরে গিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দেখাতে হয়। এতে করে আমাদের সময় বেশি লাগে, গাড়ি ভাড়ার টাকা লাগে।’ তিনি বলেন, ‘এই উপজেলায় একটি সরকারি হাসপাতাল হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার মায়ের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। তাই একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের ডাসার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। তাই কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। তখন নিজ বাড়ি থেকে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এই উপজেলায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
ডাসারের নবগ্রামের বাসিন্দা নিতু রাণী বলেন, ‘আমাদের ডাসার উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা উপজেলাবাসী চাই অন্য উপজেলার মতো এই উপজেলাতেও একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ-উল-আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনকি পুলিশও ‘ম্যানেজ’ হয়ে আছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালী মোয়াজ্জেন আলী এবং তাঁর সহযোগী এমদাদুল, মিল্লাদ ও আলমগীর। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি সেখান থেকে বালু উত্তোলন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু তোলার কারণে তীরবর্তী কাশিগঞ্জ গ্রাম, কৃষিজমি ও মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ হুমকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া বালু পরিবহনের ট্রলির কারণে সেখানকার রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন চালালেও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাঁদের ভাষ্যমতে, ইউএনও সকালে অভিযান চালালে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে আবার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান বালুখেকো মোয়াজ্জেন আলী। তবে মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বাড়ির কাজের প্রয়োজনে কিছু বালু তুলতে ব্যক্তিগত ড্রেজার মেশিন বসিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নামে অপপ্রচার হওয়ায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে মেশিন তুলে ফেলি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশ টাকা খায় কি না, তা বিএনপি নেতা হিসেবে আমি বলতে চাই না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মোয়াজ্জেন দীর্ঘ বছর ধরে সেখান থেকে বালু তুলছেন।’
রাজরামপুর, কাশিগঞ্জ এলাকার বাইরে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধাই খামার, উত্তর মাধাই খামার, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, অরুণনেছা ঘাট, দালালপাড়া, কালুপাড়া ইউনিয়নের চান্দামারীর ঘাট, বৈরামপুর, দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরঘাট, শেখেরহাট, মোস্তফাপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে চিকলী ও যমুনেশ্বরী নদী থেকেও ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় মাসে ১৫-২০টি বালুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালু ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে সরে পড়ায় তাদের ধরা যায় না। ওই সময়ে এলাকার মানুষও মুখ খোলে না। ঘটনাস্থলে শুধু পাওয়া যায় ড্রেজার মেশিন।’
‘থানা ম্যানেজ’ হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া তো দূরের কথা; বালুর বিষয়ে এক কাপ চাও খাইনি।’

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনকি পুলিশও ‘ম্যানেজ’ হয়ে আছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালী মোয়াজ্জেন আলী এবং তাঁর সহযোগী এমদাদুল, মিল্লাদ ও আলমগীর। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি সেখান থেকে বালু উত্তোলন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু তোলার কারণে তীরবর্তী কাশিগঞ্জ গ্রাম, কৃষিজমি ও মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ হুমকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া বালু পরিবহনের ট্রলির কারণে সেখানকার রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন চালালেও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাঁদের ভাষ্যমতে, ইউএনও সকালে অভিযান চালালে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে আবার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান বালুখেকো মোয়াজ্জেন আলী। তবে মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বাড়ির কাজের প্রয়োজনে কিছু বালু তুলতে ব্যক্তিগত ড্রেজার মেশিন বসিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নামে অপপ্রচার হওয়ায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে মেশিন তুলে ফেলি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশ টাকা খায় কি না, তা বিএনপি নেতা হিসেবে আমি বলতে চাই না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মোয়াজ্জেন দীর্ঘ বছর ধরে সেখান থেকে বালু তুলছেন।’
রাজরামপুর, কাশিগঞ্জ এলাকার বাইরে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধাই খামার, উত্তর মাধাই খামার, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, অরুণনেছা ঘাট, দালালপাড়া, কালুপাড়া ইউনিয়নের চান্দামারীর ঘাট, বৈরামপুর, দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরঘাট, শেখেরহাট, মোস্তফাপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে চিকলী ও যমুনেশ্বরী নদী থেকেও ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় মাসে ১৫-২০টি বালুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালু ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে সরে পড়ায় তাদের ধরা যায় না। ওই সময়ে এলাকার মানুষও মুখ খোলে না। ঘটনাস্থলে শুধু পাওয়া যায় ড্রেজার মেশিন।’
‘থানা ম্যানেজ’ হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া তো দূরের কথা; বালুর বিষয়ে এক কাপ চাও খাইনি।’

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
২ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
২ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দূর করতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই রুটে গতকাল বৃহস্পতিবার নগর পরিবহনের ১০০টি বাস সংযোজন হয়েছে। এই পরিবহনে অন্য বেসরকারি পরিবহনের তুলনায় ভাড়া কম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে যেমন সন্তুষ্টি আছে, তেমনি বাসের সংখ্যা কম বলে আছে অভিযোগও। আবার এরই মধ্যে মাঝপথে টিকিট ছাড়া যাত্
১৪ অক্টোবর ২০২২
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
২ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে