Ajker Patrika

ফেরি ডুবি: ২০ কোটি টাকা ক্ষতির কথা বলছেন মালিকেরা

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফেরি ডুবি: ২০ কোটি টাকা ক্ষতির কথা বলছেন মালিকেরা

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পণ্যবোঝাই ১৪টি ভারী যান ও চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে শাহ আমানত নামের রো রো ফেরি ডুবিতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন যানবাহনসহ পণ্যের মালিকেরা। এ অবস্থায় সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। 

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ফেরির মাস্টার-সুকানীদের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে আমাদের। পদ্মায় তলিয়ে থাকা যানবাহনগুলো উদ্ধারকারী জাহাজের ক্রেনের মাধ্যমে তীরে ওঠাতে যানবাহনের ইঞ্জিনসহ বডির ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় পানিতে তলিয়ে থাকায় মালামালগুলো নষ্ট হয়েছে। 

তবে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, মাস্টার-সুকানিদের ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। 

এদিকে ফেরি ডুবির ঘটনায় গত চার দিনে উদ্ধারকরীরা বিআইডব্লিউটিএর একটিমাত্র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’র মাধ্যমে ১২টি ট্রাক-কাভার্ডভ্যানসহ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারলেও এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে দুটি ভারী যানসহ তিনটি মোটরসাইকেল। পানির নিচে তলিয়ে থাকা এসব ভারী যানে রয়েছে লাখ লাখ টাকার মালামাল। উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য ঘটনার চার দিন পর আজ শনিবার আরও একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে উদ্ধার তৎপরতায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। 
 
সোয়েবুর রহমান নামে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের এক মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাস্টার এবং সুকানীর ভুলের কারণেই ফেরি ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে মাস্টার-সুকানীদের কোন সমস্যা না হলেও ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে আমাদের। ডুবে থাকা আমার ট্রাকটি উদ্ধার হলেও মালামালের কোন হদিস পাইনি। গাড়িতে সেনাকল্যাণ কাজের প্রায় কোটি টাকার ধাতব পদার্থ ছিল। এ ছাড়া গাড়িটি মেরামতে ছয় থেকে আট লাখ টাকা ব্যয় হবে। 

ক্ষতিগ্রস্ত অপর এক কাভার্ডভ্যান মালিক হারুনুর রশিদ জানান, বেনাপোল থেকে গার্মেন্টসের সুতা বোঝাইকৃত আমার গাড়িটি ঢাকার উদ্দেশে আসে। তিন দিন পর পানির নিচ থেকে গাড়িটি উদ্ধার হলেও এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুনরায় মেরামতের জন্য গাড়িটি যশোর নিতে হবে। আর এ কাজে মোটা টাকা ব্যয় হবে। 

ফেরি সংস্থা বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান বলেন, ফেরির মাস্টার-সুকানীদের অবহেলা বা ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তবে তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। 

উদ্ধার কাজ তদারকিতে থাকা ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডুবে যাওয়া ফেরিতে থাকা ১৪টি ভারী যানের প্রায় ২০ কোটি টাকার মালামাল নষ্টসহ যানবাহনগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় যাদের অবহেলা রয়েছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত