Ajker Patrika

হাফ ভাড়া বিতর্কে নীলাচল পরিবহনের ৯ বাস আটক, টাকা নিয়ে মধ্যস্থতার অভিযোগ

জাবি প্রতিনিধি 
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী নীলাচল পরিবহনের ৯টি বাস আটকে রেখে পরে ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী নীলাচল পরিবহনের ৯টি বাস আটকে রেখে পরে ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হাফ ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী নীলাচল পরিবহনের ৯টি বাস আটকে রেখে পরে ছেড়ে দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে বাস ছেড়ে দেওয়ার সময় টাকা নিয়ে মধ্যস্থতার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রোববার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে আটকে রাখা হয় ৯টি বাস। এই বাসগুলোর চাবি নিয়ে যান শহীদ সালাম-বরকত হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা বাসগুলো ছেড়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক ছাত্র কামরুল হাসান হিরন নীলাচল পরিবহনের একটি বাসে উঠেছিলেন। গন্তব্যস্থলে ১২০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসের সহকারী তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে হিরন ফুল ভাড়া দিয়ে বাস থেকে নামেন এবং সহপাঠীদের নিয়ে বাস আটক করেন। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য বাসের প্রতিনিধিরা ক্যাম্পাসে আসেন এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেন।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও আটক বাসচালকদের ভাষ্যমতে, নীলাচল পরিবহনের চেকার মো. ফয়সাল এবং সাভারের বিএনপির এক নেতার আত্মীয় বেলালসহ অন্যান্য বাসের প্রতিনিধিরা ক্যাম্পাসে এসে সমস্যার সমাধান করেন। তবে বিষয়টি সমাধান করার জন্য বাসের প্রতিনিধিরা ১৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা পৌঁছানোর কথা বলেন। পরে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাসের চাবি ফেরত দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টরেরা জানতে চাইলে চেকার ফয়সাল অসামঞ্জস্য কথা বলেন এবং পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা একটি বাস এখনও আটক করে রেখেছেন এবং প্রশাসনকে পুরো ঘটনা উদ্‌ঘাটনের জন্য অনুরোধ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চেকার ফয়সাল, বেলালসহ নীলাচল পরিবহনের প্রতিনিধিরা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের নেতা নবীনুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। নবীনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, টাকা লেনদেনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধু শিক্ষার্থীদের অনুরোধে বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং বাস ছেড়ে দেওয়ার পরও আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অসামঞ্জস্যতা খুঁজে পেয়েছি। একটি বাস এখনও আটক করা হয়েছে এবং বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ও প্রশাসন আরও তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত