Ajker Patrika

যুবকের মৃতদেহ দীর্ঘ সময় থানায় রেখে দেওয়ায় সড়ক অবরোধ

প্রতিনিধি, মাদারীপুর
যুবকের মৃতদেহ দীর্ঘ সময় থানায় রেখে দেওয়ায় সড়ক অবরোধ

যুবকের মৃতদেহ থানায় দীর্ঘ সময় রেখে দেওয়ার প্রতিবাদে মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করে স্বজনেরা। এতে প্রায় ৩ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে অবরোধ তুলে দেয় বিক্ষুব্ধরা।

আজ বুধবার মাদারীপুর পৌর শহরের পশ্চিম খাগদী এলাকায় ভারসাম্যহীন যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের পশ্চিম খাগদী এলাকার করিম হাওলাদারের ভারসাম্যহীন ছেলে রিয়াদ হাওলাদার (২২) ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এরপর পরিবারের লোকজন সদর থানায় খবর দেন। পরে বেলা ১২টার দিকে চরমুগরিয়া ফাঁড়ির পুলিশ ও সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় ওই যুবকের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু ময়নাতদন্ত না করে দীর্ঘ সময় মৃতদেহ চরমুগরিয়া ফাঁড়ির সামনে রেখে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা।

এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের খাগদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা। এ সময় সড়কের দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে যুবকের চাচা আব্দুর রহমান জানান, পুলিশ মরদেহ নিয়ে টালবাহানা করলে তাঁরা ডিসির কাছে আবেদন করেন। তিনি মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দেন। কিন্তু পুলিশ তাতেও রাজি হয়নি বলে জানান তিনি। দীর্ঘ সময় মরদেহ ফেলে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মৃতদেহ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করলে অবরোধ তুলে নেন বলে জানান তিনি।

যুবকের বাবা করিম হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে জন্মের কয়েক বছর পর থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। নিজেই ফ্যানের সাথে ঝুলে মরে গেছে। আমরা পরিবার থেকে ময়নাতদন্ত না করার কথা বললেও পুলিশ সেই লাশ নিয়ে টানাটানি করছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেছিল, কিছু টাকা দিলে লাশ মাটি দেওয়া যাবে। সেই টাকা দেই নাই দেখে, দীর্ঘ সময় থানায় রাইখা আমাদের কষ্ট দিছে।’ 

সদর থানার ওসি মো. কামরুল হোসেন মিয়া জানান, খবর পেয়ে লাশ চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়। এতে কিছু সময় যায়। তবে তাঁদের কোনো অবহেলা হয়নি। পরে মৃত যুবকের পরিবার জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে মৃতদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

টাকা দাবির বিষয় ওসি বলেন, ‘আমার জানা মতে এই ঘটনায় কোন পুলিশ সদস্য টাকা দাবি করতে পারে না। যদি কেউ প্রমাণ দেয়, তাহলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত